দীপেন্দু-র কবিতা

না জীবন, হ্যাঁ জীবন

একটু ঘুম শিখছি
কালো ছাই হতে।
মানুষের শরীরে শুয়ে
বিশাল হয়েও সরল বলছি।
আমি হত্যার আগেও হুমকি খেলছি।
না, জীবন, হ্যাঁ জীবন।
ভুলের নেশায় খালি ভুল করছি।
একটা দুঃখ শেষ হল– হাসিতে।
একটা হাসি শেষ হল– দুঃখতে।
দরজা খুলে দেখবে?
একবার হলেও
শোনার জন্য স্তব্ধ হবে।
একটা শব্দ
সবটা ধ্বংস করবে;
আমি তার খোঁজে মরছি।
না, জীবন, হ্যাঁ জীবন।
দুঃখের নামে সুখের কাছে সরছি।
নাকি সুখের নামে দুঃখের কাছে।
মাথার ভিতর বোমা ফাটবে
রাত বাড়লে কাক ডাকলে
গর্ভস্রাবে ফাটল আসবে।
নামকরণে কতরাত যে ঘুমায়নি,
সে আমাকেই মনে রাখেনি।
না, জীবন, হ্যাঁ জীবন।
তৃষ্ণায় চোখেরা জল চাইছে
আমি দুঃখ দিচ্ছি।
বাদামি হচ্ছি, নীল হচ্ছি।
মানুষ হচ্ছি।
ভ্রূণ থেকে বীর্য হচ্ছি।
ফেয়ার পথে খালি কাওকে
দুঃখ দিচ্ছি।
শুধু যাওয়ার পথেই হাসি।

ফিটিং বোতলে স্যালাইন

আসতে চাইছে না ফিরে একটা স্রোত আমি তাও উপত্যকায় বসে আছি তার স্মৃতি নিয়ে, সে আসলে আমিও তার সাথেই ফিরে যাবো। শেষপ্রান্তে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সবটা না। এলাকা জুড়ে আরশোলা মরে পড়ে আছে আমি বাথরুমে যাওয়ার রাস্তায় কাল সারারাত, কিৎ কিৎ খেলেছি। যারা হিসাব মেলায় তারা জীবনটাও মিলিয়ে দেবে। আমরা খালি মস্তিষ্কে ভবঘুরে স্মৃতি হয়েই মরে যাবো। উনুনে আগুন দাও। জীবনকে উৎস দাও। মানুষটাকে আর কতক্ষণ বসিয়ে রাখবে একটু সুখ দুঃখ খেতে দাও। যাও বেরিয়ে যাও। কারণ নিয়ে ফিরবে। মনে হলে ফিরবে, যাওয়ার হলে যাবে।

খালি ধ্বংস করতে জিজ্ঞাস করোনি। প্রস্তুতি নিতে হাজারবার অনুমতি চয়েছো। সবাই বোকাচোদার মত তা দিয়েছেও। একটা স্রোতের আসার কথা অনেক বছর আগে। কিন্তু আসছে না। কিছুইতেই সে আসছে না। গোটা শরীর টুকরো হয়ে ফিটিং বোতলে স্যালাইন বলছে। রক্তের গ্রুপ পাল্টে আমি চালান করেছি গোপন তথ্য। পাশের ঘরে কারোর ঘুম আসেনি। মৃত্যু চিঠি লিখতে এসেছে নূহের কাটা মুন্ডু। আনতাবড়ি খেলায় জুয়ায় লাগে স্মৃতি। পঁচিশ টাকার বিনিময়ে পাঁচশো

শরীর গেছে চুরি। সব মিলিয়ে যাচ্ছে, কোথায় গেছে সবাই? এখানে নেমে আসছে রাত, হে রক্ষক বিক্রি করো এবার স্টেজে শৌখিন সংলাপ। খিদে দাও দেবতা, দুর্বলতা থেকে আমি নিজেকে বাঁচাতে পারলেও এই নরম তুলতুলে শরীর তা পারবে না। একটা স্রোত ফিরবে বলেছে যখন সে ফিরবে। একটু অপেক্ষা করো। সব মিলিয়ে যাবে, হস্তমৈথুনের সাদা বীর্য এবার তুমি বেরিয়ে আসো। এ সফলতা আমি তুলে রাখবো দামি মস্তিষ্কে।

মহাপ্রস্থানে যাতায়াত বাড়ে

একটা কালো কুকুর চিল্লাচ্ছে,
স্বপ্ন দেখছি;
দৌড়ে যাচ্ছে সাত জোড়া পা।
খিদেরা এসেছে
বিপদ পেরিয়ে।
অনেক পরে ঘুমের আগে।
লোভ করিস না যারা বলেছে,
তারাই লোভী।
আয়নায় সবাই দাঁড়ায়,
একদিন সবাইকে দাঁড়াতে হয়।
তোমার দর্শন গন্ধ ছেটায় মস্তিষ্কে।
পুলিশ আসে রোজ সকালে,
পাপের হিসাব নিতে।
পিছনে বন্ধ দরজা,
সব রাজার ছেলে সাম্রাজ্য বোঝে না,
সূর্য ডুবলে, কালো পৃথিবীকে চেনে না।
কিন্তু পুরুষাঙ্গ তাদের নবা যোনি ঠিকই চেনে।
এই কংক্রিট হাজার বছর টিকবে না,
শরীর টিকবে না।
ইতিহাস টিকবে।
আমি সব জানি, সুন্দর।
মহাপ্রস্থানে যাতায়াত বাড়ে
ফ্যালকন পাখি;
জেরুজালেম দেখে।
মানুষ হবনা প্রতিজ্ঞা নিয়েও,
মিথ্যুক হয়েছি।
আমার আঙ্গুল অন্ধকারে যেভাবে
তোমার নরম চামড়ায় হিসাব বুঝেছে
সেভাবে মস্তিষ্করা কোনদিনই
আলোর ভিতরে মানুষ বোঝেনি।

Facebook Comments

Posted in: May 2022, POETRY

Tagged as: , ,

Leave a Reply