অর্ক মণ্ডল-এর কবিতা
আমান
তরল প্রবাহে নামা।
হাওয়া বুদ্বুদে ফুলে ওঠা।
কংক্রিট শয়তানী। গোপনীয় মেদ। বিস্ফার।
কোনো ধ্বংসেরই কোনো বয়ান না রাখা।
খুনির হৃদয়ে ধীর যাম।
শীত সরোবর পাশে পথ।
জন্ম ভেঙে ভেঙে দূর বিষের
পাহাড়। মৃত্যুরা কুয়াশার গাছ।
প্রতিবাদী শুধু ঝ’রে ঘুরে ঘুরে
নেমে আসা বাদামী পাতারা।
স্বপ্নে দরজা ভাঙা। শ্বেত শুভ্র হাত।
রোদের ফলার মতো ফাঁপা।
নির্ঘুম
অনন্ত গোলকের গায়ে
অগোছালো বিন্দু, গুচ্ছ রেখা।
জুড়ছে, পৃথক হচ্ছে,
দূরে যাচ্ছে, কাছে আসছে।
অপরাধবোধ কিছু ঝুঁকে পড়েছে
জন্মবৃত্তান্ত ঘাঁটতে।
চৈতন্য নিবিষ্ট গুছিয়ে নিচ্ছে
মধুময় মৃত্যুর পাতা।
আমাদের নিম্ন আকাশ
নিচু হতে হতে ক্রমে
হৃদয়ের নিম্নে বেসাতি।
ভাঙা দর্পণ জুড়ে
শিরার আমূল।
সহজ আলাপ রাখি মনোতাপে।
বেলা যায়.. রোদ পড়ে আসে।
স্তিমিত বিরোধটুকু করতলে নিয়ে
ধীর গোধূলির লাল…
চোখ তুলে দেখি মায়া জাগে।
পাখি ফিরবার পথ আমাদের দুরাশার
গায়ে, আর মুখে-মুখে ভ্রমের কথন।
ভ্রমের অনেক স্তুপ সামলে রেখেছি;
শেষ ভাগে আকাশকে পাব এই
সফলতা রাখি।