অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা
ফল্গু
অপেক্ষা করে থাকি এই বুঝি কেউ
বুক চিরে দেখবে আমার জল
অনাস্বাদিত প্রাণ নিয়ে আমি নিরন্তর কথা বলে যাই
কেবল নিজের সাথে
মাছহীন বুক থেকে যখন যন্ত্রণা
তীব্র বালি ফুটে আকাশের দিকে ছোটে
পিন্ডের চাল কলা গড়িয়ে আসে আমার দিকে
এই তো পুণ্যসলিলা হৃদয় আমার
আত্মার পাঁজর খুঁটে খাবে
মৃত্যুর শেষ দানাটুকু
ঐশ্বরিক
মেয়ের সবে হাতেখড়ি হয়েছে,
তার শিক্ষিকা সবে বাংলা অনার্স
আমি পাশের ঘরে বসে শুনি
অ আ ক খ উচ্চারণ
ঠিক যেন ভোরের আজান
হে গাধা
লোহার বর্ম হয়ে আগলে রাখো লজ্জা
বোকা শব্দখানি লিখে
স্তব্ধ করে দাও চারপাশ
যে সূর্য পক্ষীরাজের পুজো করে
তাকে তুমি নিভিয়ে দিয়ে নেমে এসো মাটিতে
উড়োজাহাজের টুকরো আছড়ে পড়লে
মাথায়
তুমি রক্ত চেটে করে দাও সাদা
বুকে গেঁথে দাও সহস্র চামচ
কবরের গায়ে নীলরঙ দিয়ে লিখে দাও
গাধার মৃত্যু হয় না