অমিত পাটোয়ারী-র কবিতা
জিন্দান সম্প্রদায়
১
তপ সহযোগী ; চারটি রোদকণা রাখি , চারটি রমণী
দিনালোকে কার কানে জাগে এত নরমেধ ধ্বনি ?
কার কানে ? কার অথৈ জলে একলা একমাত্র মাছ…
বেল্ল খসা নিঃসাড় গাছ
চুলহীন , আয়ুহীন হ’লো
এতগুলো ঝড় খেয়ে রবিশস্যমঙ্গলও
বেঁচে আছে ; ম’রে গেছে শুধু কনকের পুকুরের হাঁস
দিনালোকে তাড়ি খেয়ে নেশা করে শ্মশানের ঘাস
২
শব যেমন পড়ে থাকে তেমন— হাড়মালা… হাড়মালা…
তার চিহ্নে যে আদিম ঢিপি ,
তার উপর নগ্ন মসীলিপি
যেমন সহস্রবাহু হয়ে স্তব্ধতা দ্যায় , দ্যায় কীর্ণ জ্বালা ;
জোব্বা পরিহিত একজন হিম দরাউস , কুঠুরির থানে
বাংলা অলোক নিয়ে তথাগত কাজুবাদামের সন্ধানে
কাঁধ ভেঙে দেবে বাংলার ; ফিরে যাবে তারপর দেশে—
বীর্য অবিরল একা হবে জিহ্বায় , রাধাভাবে, ধনেশে
৩
কোকিল সহজিয়া বাজ , তাহেরপুরের গোপবালিকারা
সেই বাজে মুহ্যমতী একঢাল অবিমিশ্রধারা
বৃন্দাবন তৈরি করে। চারুবনে , বনের গভীরতায়
সাধু যোসেফের ঘরে যায় ;
মেষের পায়ে লেগে যাওয়া কৃষ্ণসার মাটি
নক্ষত্রের বদলে অপরূপ দিক নির্দেশক হয়।
সদ্য পিতৃহারা খ্রীষ্টমাসে রাধাচূড়ার প্রবল শাখাটি
চিরমথি নুয়ে বলে— মায়া ডেরেন , মায়া প্রপঞ্চময়