গুচ্ছ অনুবাদ কবিতা : মৌমিতা আলম

গুচ্ছ অনুবাদ – ইংরেজি থেকে বাংলা

মূল কবি ও অনুবাদকের পরিচিতি –

রবিশঙ্কর এন মূলতঃ ইংরেজি ভাষার কবি। ওঁর বিভিন্ন লেখায় শোষণবিরোধী তথা প্রতিরোধের রাজনীতির অভিমূখ প্রকাশ পায়। ওঁর একাধিক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং বাংলা-সহ বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

মৌমিতা আলম ইংরেজি এবং বাংলা ভাষার কবি এবং অনুবাদক। রাজনৈতিক তথা ক্ষমতার বুনিয়াদে শোষিত মানুষের সংগ্রামের কথা ফুটে ওঠে ওঁর লেখায়। ইতিমধ্যে ওঁর ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য মিউসিংস অফ দ্য ডার্ক’ প্রকাশিত হয়েছে।

Original:
“An appeal to the Great Teacher”

You can teach me
How to burn alive a peacock
How to ride a truck over a peasant’s thigh
How to pour molten tar into a man’s mouth
Fire pellets into a kid’s eyes.
You can teach me
How to hammer nails into a victim’s palms
How to drive a pile into a woman’s anus
Compose music from the screams of the helpless
Sing while quartering a convict.
You can even teach me
How to write poetry with the right hand
Flay someone’s skin with the left
How to paint with a lynched man’s blood
Chop in even slices a singer’s tongue.
But, never never never never teach me
How to love.
Never never never never teach me how
To love.
You don’t know
What I know.


অনুবাদ –
“একটি নিবেদন বিখ্যাত(?) শিক্ষকের কাছে”

তুমি আমায় শেখাতে পারো
কিভাবে একটি জীবন্ত ময়ূরকে পুড়িয়ে
হত্যা করতে হয়
কিভাবে ট্রাক এর চাকায় পিষে দিতে হয়
কৃষকের উরুদেশ
কিভাবে গরম আলকাতরা ঢেলে দিতে হয় মুখে
কিভাবে প্যালেট ছুঁড়ে দিতে হয় শিশুদের চোখে।

তুমি আমায় শেখাতে পারো
কিভাবে হাতের তালুতে পুঁতে দিতে হয় পেরেক
কিভাবে গদা ভরে দিতে হয় পায়ুদেশ এ
কিভাবে গান বানাতে হয় অসহায়ত্বের আর্তনাদ দিয়ে
কিভাবে গান গাইতে হয় কারারুদ্ধ
ব্যক্তিকে কোতল করার সময়

তুমি আমায় আরও শেখাতে পারো
কিভাবে ডান হাতে কবিতা লিখতে লিখতে
বা হাতে ছিলে নেওয়া যায় চামড়া
কিভাবে পিটিয়ে মারা ব্যাক্তির রক্ত
দিয়ে রাঙানো যায় ক্যানভাস
কিভাবে দুটোকরো করা যায় জিভ

কিন্তু,
না , না , না, না
কখনোই আমায় ভালোবাসা শেখাতে এসো না

না কখনোই না
আমায় তুমি শেখাতে এসো না কিভাবে ভালোবাসতে হয়

তুমি জানো না
আমি কি জানি

তুমি জানো না
কিভাবে ভালোবাসতে হয়।

মূল কবিতার নাম : An Appeal to The Great Teacher
মূল কবিতা : রবিশঙ্কর এন (Ra Sh)
অনুবাদক : মৌমিতা আলম


Original poem

“A tale of two cities.”

Hauz Rani and House Raja were sibling cities.
They had binary vision on everything.
When Tendulkar hit Shoib into the stands
Hauz Rani wore a deathly silence.
When Inzamam hit successive sixers off Kumble
House Raja ground its teeth.
While Hauz Rani ate buffalo meat
House Raja had bhindi and tinde.
While Hauz Ràni had a row of kebab stalls
House Raja shops sold jelebi and ras malai.
All hell broke loose when a House Raja boy
Fell in love with a Hauz Rani girl.
A few got killed, a few raped, a few shops burned.
Geographically, Hauz Rani stood no chance
As a battalion of House Raja police encircled it.
The House Raja boy is now an IT guy in Massachusetts
While the Hauz Rani girl is grazing goats in Syria.
But, in reality, both were burnt and mixed in a concrete mixer
And poured into two separate pillars
Of the spanking new mall coming up where Hauz Rani once stood.
But, then, who is the couple I met in Pondi
Selling delicious kebabs like hot cakes?
When I said I was from Dilli, he served me some hot jelebis too.
Then, their daughter ran in from school
And I asked her name.
She shyly lisped, “Hauz Rani.”

অনুবাদ –
“দুটি শহরের কাহানি”

হজ রানী আর হজ খাস-
পাশাপাশি দুটি শহর
সবকিছুতেই শহর দুটির ছিল বিপরীত মতামত
যখন টেন্ডুলকার শোয়েব এর বল
পাঠিয়ে দিত গ্যালারি তে
নিস্তব্ধ হয়ে যেত হজ রানী
আর ইনজামাম যখন কুম্বলে কে
পর পর ছয় মারত
হজ রাজার দাঁত কিরমিরিয়ে উঠত রাগে
হজ রানী খেত মহিষের মাংস
আর হজ রাজার পছন্দ ছিল
ভেন্ডি আর টিনডে
হজ রানীতে ছিল সারিসারি কাবাব
এর দোকান
আর হজ রাজায় বিক্রি হতো জিলেপি
আর রসমালাই
নারকীয় তাণ্ডব শুরু হয় একদিন
যখন হজ রাজার এক ছেলে প্রেমে
পরে হজ রানীর এক মেয়ের সাথে

সেই ঝামেলায়
খুন হয় কিছুজন, ধর্ষণ করা হয় কয়েকজনকে
জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কিছু দোকান
হজ রানীর কিছুই করার থাকে না
হজ রাজার অসংখ্য পুলিশ ঘিরে রাখে তাকে
আজ হজ রাজার সেই ছেলেটি ম্যাচাচুসেটস – এ
একজন তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার
আর হজ রানীর মেয়েটি ছাগল
চড়ায় সিরিয়া – তে
কিন্তু আসলে দুজনকে পুড়িয়ে ফেলে
সিমেন্ট ঢালাইয়ের মেশিনে ঢেলে
দুটো স্তম্ভ বানানো হয়েছিল সেই জায়গায়
যেখানে একদা হজ রাণী ছিল।
তাহলে ঐ দম্পতি টি করা
যাদের সাথে আমার পন্ডি তে দেখা হয়েছিল
যারা কিনা কাবাব আর গরম চকলেট বেঁচত
যখন আমি তাদের বলি যে আমি দিল্লি থেকে এসেছি
তারা আমায় গরম জিলেপিও খেতে দিয়েছিল
ঠিক সেসময় তাদের মেয়েটি স্কুল থেকে ফিরলে
আমি জিজ্ঞেস করলাম মেয়েটিকে তার নাম
মেয়েটি রাঙা মুখে
আধো আধো স্বরে বললো –
হজ রানী।

মূল কবিতা – রবিশঙ্কর এন (Ra Sh)

অনুবাদ – মৌমিতা আলম

Facebook Comments

Leave a Reply