সমন্বয়-এর কবিতা

চেরি কিশকে লেখা অথবা দো দিনকা কিসসা

 

১.

 

আমার সন্নিকটে ভাঙা ফিল্টার উপচে
সহজাত কারণ থেকে দু টুকরো বাঁশি ভেঙে পড়েছে , জন্মনগরে শক্ত হচ্ছে এই তারিখ
শীত জারিত হোক আর যাই, তোমাকে চাই
লেপে দেওয়া আলতার মতোন ন্যাকা ন্যাকা কূটনীতি—
“ও আমার ঈশ্বর” ব’লে মেখে গেলো —
আবারও বাংলা কবিতায় , হায় !
তুমি টমেটোর উচিয়ে রেখেছো স্মৃতিবৃন্ত
আমি মেয়েলী , মলয়ুপমা নেই ।

 

২.

 

মাগার জাহাজ কেটে থোকা থোকা
কাট টু শিউলী মারলে সোজা ব্রহ্মার পত্নী ।
সুরসুরি থেকে একটা জানলা মেলে দিলে
জমাট কমতো — রগরগে বেগতিক হতো কম
মৃদু উল্লাস ও রটনা সহযোগে নির্মিত হতো কুসুম
“শরীর শরীর, আমার মন নেই মদন” ব’লে
ইস্তেহার লিখছি প্যারালেলি ভয়েস ওভার, তোমার ।

 

৩.

ঈশ্বর আমাকে রেখে গেছে বার্তায়
দু আঙুলের মাঝের আন্দোলনে
ফুচকার খুব নীচু হীনমন্যতায়
একাকার শ্রাবণে হওয়ায় হওয়ায়
দ্বারকার কাছে তুমি ছিলে না ।

হে কিশ, তোমার এঁটেলের কলসি বানানো হাত
হে কিশ, তোমার সিমেন্ট খোদাই এর হস্তমেশিন
হে কিশ, তোমার বর্শা ছোড়ার নিবিড় হস্ত
হে কিশ, তুমি পোক্ত পোকাদের থেকে বের ক’রে
আনো পতঙ্গ, জিহ্বায় লাগিয়ে কাট টু

টুকটুক ক’রে হেঁটে যাচ্ছ এইট বীর ঘাড়ে
স্লো রেচনে (বলতেই হলো)

 

৪.

 

ওই যে বনানী, পুঁজ থেকে গলে পড়ছে মদ, বেনারস নামের এক রঙ — তা বিশ্বাস ক’রে এক দুপুর-শরীর হামলা করলো দেহে । সে পক্ষী তোমার তামাটে উরুতে ভেজানো গড়ল দেখো জমে জমে অতি অস্থীর হলো ভাস্কর্য, উচুঁ একটা সুর লক্ষ্য ক’রে কুনুই উড়ছে যেন
রিদিমে চলছে খনন যোগ্য সন্ধী — ওঠা নামার এমন স্বপ্নে, কে ফেটে পড়ে কাকে, ডেকে ডেকে
চিৎকার করে খালি, চেরি … আমরা স্বস্তি বলতে বুঝি সকাল দুপায়ের ফাঁকে, নির্ধারিত কাজের পূর্বে তার মুখে বাণী নেই কোনো …

ফসলের গাম্ভীর্য কেড়ে আমাদের জীভ সমৃদ্ধ, তলপেট খামচে খামচে যে ধ্বনি সৃষ্টি করি তাকে যুদ্ধ নামে আটক করেছি, ইঙ্গিত থেবড়ে সাদা দাঁত বেরোয় তখন ইতিহাসবিহীন, তুমি বলবে, মরচের রসায়নে নিভৃত উল্কির মতন ভেসে যাচ্ছ । নাবালক অধিকারে তট ভেজে শুধু । আদতে

অভিমান অতিকায় ওষুধ যা কোনও পক্ষ নেয়নি
অর্বিটে তেতো কৈশোর বয়সী এই প্রেম ক্ষয় করলে দেখবে বিকেলের আস্তরণ ছড়িয়ে রয়েছে ভাঁজে দু একটা মোষ পঁচিশ গ্রামের পিংপং একটা মারকাটারি খেলার প্রয়োজনে কয়েক শো শিকারী হরিনাম নিচ্ছে
তার মানেই শীতকাল নয়, তার মানেই তুমি ভেবে নিয়েছো এ অরণ্য পরিচিত, অথচ ছাতার অনুপস্থিতিতে বর্ষা নামেনি

দখল করবার মুহূর্তে পদ্ম দুলে দুলে ভীড় করলো বাতাস, ও মুখে চন্দনগন্ধী মৃতের সংরক্ষন সম্ভব। উপায় না চেয়ে কন্ঠে বাগানের বৃদ্ধি নেই কাচির প্রলাপে স্নেহ ঢেলে চায় চেরি — চাকরী, ছোটো পৃথিবীতে পায়ের অনুশীলন যোগ্য সিড়ি, ছোটো পৃথিবীতে হাতের ভরাট যোগ্য সুগন্ধী, যেন তোমার তিন জোড়া পাপড়ি নির্লিপ্ত… যোগাযোগের সুর কটা বোয়ামে ডুবিয়ে বুরোদা সে আলোর বয়স কম করে আনে আর তলব আসে সাবমেরিনের, ধোঁয়া ধুনো সমেট এক বিসর্জন খুলে যায়, কর্পোরেশনের মাঠের মতোন উপযোগী এক একটা যৌনাঙ্গ প্রসঙ্গ টেনে বলে আবার আগামী শীরায় বেজে চলে বৈঠক অনুরোধে যতটুক পিচ্ছিল কানাগলি থাকে চলকে ওঠে তারা গাভীর রঙের এক বসতি সরে আসে স্বপ্নে
একা একটা তৎসম বীর্য মাখানো, ভেসে যায়

মন্থর কোনও রোদের কাছে রেখেছিলে অতীত? ওটা জানলায় খুঁজে পাবে কবির ভাষা, যে ব্রিজের ওপর তুমি তাকিয়ে ছিলে ওপরে ভয়েজার ও তারার মধ্যকালের সভ্যতায় । আর বুরোদার ঘোড়া নিয়েছিলো যারা ও পাড়ার বোরে আর উপন্যাসে যা হয়, নেই নেই ক’রে কয়েকটা যুগ কেটে গিয়েছিলো হাতির পিঠে
শিরদাঁড়ার মাফিক গোড়া থেকে গেলো একটা ছায়া
আলো জ্বালিয়ে ডিউটি আবার ঘুমিয়ে পড়লে,
বাতাসে ভাজ এঁকে যাচ্ছিলো মেন্ডেলিনবাদক
যে যেখানে শায়িত হয়েছে সবই তো আমার শয্যা,
উচুঁ ইটের গাথনি ঢেলে ঢেলে যখন শিলকোটা মাইথনের সুদূর বিকালে ঘূর্ণিজল মনে পড়ে
আর শান্ত করতে পারা কোনও নিগ্রোর পেশী , অবুঝ তারাই যারা মেঘে মানুষের মুখ খুঁজেছিলো

 

Facebook Comments

Posted in: February 2022, POETRY

Tagged as: , ,

Leave a Reply