বিপ্লব চক্রবর্তী-র কবিতা
বলো
১.
সমস্ত বিবমিষা শেষে
কবিতার মতো
নাট্যের মতো
সম্পাদনার মতো লাগে
অসংখ্য রঙিন মাছের বহুতল আবাসন আমি খুঁজিনি কোনোদিনও
স্কন্ধকাটা মাছ আমার আহার নয়
কেন আমি কেঁপে উঠব না তা দিলে বলো
২.
সেই দুই সহকারপত্রে যে জোর দাবি ছিল তা প্রতিহত হল। বস্তুত কোনো কিছুর দাবি এমনকি আবদারের যুগ শেষ হয়নি। সে ভাষা যেহেতু শিখিনি। স্বাভাবিকই পাখির তারা জলের মতো জল বা কাচের আয়না যারা বিপরীতে ফিরে গেছে।
একটা টিকটিকির কঙ্কাল পড়ে আছে
আমার জ্যান্ত পোষা টিকিটিকি
যে কোনোদিন আমাকে সজাগ করেনি
৩.
এক অনভিজ্ঞ অবিবেচক পিঁপিড়া
অচ্যুতচরণ
নানা শ্রেণির মাংস রস পানে
পায়নি মাংসাশী বল
অদ্ভুত তো সে নর্দমার আয়নায় নদী ভাবের গল্প লিখে যায়
পাখনার উল্লাস নেই
কণ্ঠরক্ত তার
তৈল-পায়িকা যে
লেহনের ফালতু প্রয়াস কেনো দেখাবে।
Posted in: February 2022, POETRY