অনিকেশ দাশগুপ্ত-র কবিতা
প্রারব্ধ
আমি দেখিনি, এ-প্রবাসময় আয়োজন
আরো সম্মুখে নগর ধ্বজ সেদিকে চেয়ে ক্ষমার্হ
মনে কি পড়ে অলঙ্ঘ্য যেভাবে সাজানো অন্তিমের
চিবুকে সূর্যের আভা, বিহ্বল ফিরে দেখে বন্দন
শিশির স্নাত চৌকাঠে নিজ গৃহস্থের অবিকল
আনমনে কে যে ফেলে গেল সুদূর সময় সারি
দখিন নিশুতি থেকে ক্রমে প্রতিমা জঙ্ঘার
দংশন-ভীরু ঝোরায়, নিশ্চুপ দিনান্ত ভাঙে নারী
চরাচর বিভূতির হলুদ গবাক্ষে প্রণয়িণী
কালাকালের প্রমায় মেলে দীক্ষিত যুদ্ধ গরাদ
সাজো-সাজো রবে ত্রাতা, মথিত কোনও জীবনভেদে
পর্যুদস্ত সেতু পারে স্তিমিত চক্রবাল কাহিনী
ঝুটো তাকানো সে কার সুখ-দুঃখে একাকী বুরুজ
পিঠাপিঠি জেগে থাকে অলংকৃত বিশল্যকরণী
গ্রহণ
চূর্ণ হাঁস উড়ে যায় ক্ষীণ জানালার বাঁকে
যুদ্ধ সারল্যে হারানো নিখুঁত ধ্বজের খতিয়ান
গোড়ায় সেই বিশুদ্ধি
যেখানে আলতা রঙের চাপ-চাপ তাঁবু
রোঁয়ায় বিঁধেছে চাঁদ, দেবতাময় স্থৈর্যে নিদ্রা-লোলুপ
কোনও চক্রবালে পাক খেয়ে ওঠে দারু-সূর্য হৃদি-বেদনার
সন্ধ্যা মেঘের ধূসর ঘিরে অকপট নেমে যায় জ্বলন্ত যৌবন
ওষধি হাঁসের দিকে পাশ ফিরে শয্যারত
স্পর্শে-স্পর্শে চূর্ণ হাঁস ওই দীঘল শতাব্দে
ক্ষিপ্র জোয়ারে সোপান ভাঙে অনন্ত চন্দ্রিল
আবেশ
কখনও প্লুত গুঞ্জন অস্ত ভ্রুকুটির
গন্ধর্ব আহ্লাদে বোনে মহৎ বিন্যাস নিকানো চিবুকে
নতুন রঙের পোঁচে পৃথুল সন্ধ্যার ট্রাম এসে দাঁড়ায় ক্ষণিক
জুঁই –পশম থেকে ঝরে আতর,ফালি কুসুমের অগাধ
নিষিদ্ধ আদল লক্ষ্য ক’রে ছুটে যাওয়া সুদূরে
মৃত্যু-পূর্বের শীতল গ্রীবা-দাগ ধ’রে এগোয় শিকারী
মৃত চাবি অকুস্থলে
কোটরে প্রক্ষেপ করে যৌন রীতি
ঘুঙুরে -ঘুঙুরে
বর্ষীয়ান হয় কোনও সিঁড়ি তলা
নর্তকী,নটী,নারীর গহন অলিন্দে শোকাকুল
Posted in: February 2022, POETRY