সুমন কুণ্ডু-র কবিতা
‘নির্মাণের চিকন পথে’
১.
এত নির্লিপ্ততা নিয়ে শীত কেন যে আসে! দীপাবলী কতটুকু আলো দেবে? মাটি কাটা একটা রাস্তা ছড়িয়ে পড়ে ভাবনা জুড়ে, যার ওপর বছর আটেকের হাঁটাহাঁটি। সন্ধেসময় কোথা থেকে সেখানে হাজির হয় একরাশ ধোঁয়া। রাত এগোয়। ঘুম ঘুম আসেই না।
আলো কমে আসা বাসস্টপগুলোয় আসক্তির অভ্যাস পিচ্ছিল হয়ে আসে| শব্দের নিশ্চুপতায় হালকা কামড় দেই| আর গভীর বলে কিছু হয়না| শুষ্কতা ঘিরে ধরে| সীমানা জুড়ে তার বিন্যাস| অনেক কথা আঙুলেই আটকে যায়। চিনচিনে ব্যথা। এও এক অনুভব, যা নিজেকেই কখনো বলিনি!
২.
অক্টোবরের সাথে কথা বলতে দেখেছি তোমাকে কখনো।
একা একটা স্থির হয়ে থাকা জঙ্গলের পাশ কাটিয়ে ছোট নদীর গা ঘেঁষে কুসুম রোদ। বনফুলের মাথায় এসে বসে কয়েকটা হলদে ফড়িং। রেললাইন এখান থেকে অনেক দূর। এই নিরিবিলিতে তুমি কি যেন খুঁজতেই থাকো!
ক্লান্ত দলছুট একটা পাখি এসে বসে কোলে। বিকেল হয়ে আসে।
কোথা থেকে ঢাকের আওয়াজ ধাক্কা খেয়ে ফেরত এসে মিশে যায় সবুজ নীরবতায়।
তারপর হাওয়ায় উড়তে থাকা কিছু বিষণ্ণ পালক দেখা যায় না আর| নিঃশর্ত একটা সাঁতার। বিশেষত সন্ধে নামার আগে, এত ঘুরপথ, যেখানে আলোই খুব বিপন্ন।
Posted in: January 2022, POETRY