সাম্য রাইয়ান-এর কবিতা
নিউটন
নিরাকার— জলের সাইরেন৷
এলো আমফান— সাফোর
কলোনীতে৷ বৃষ্টিবৈভবে জেগে উঠি৷
শব্দ হয়৷
নিউটন, আপেলতলায় থাকো৷
বাড়িতে যেও না৷
বাড়িতে হৃদয় নেই৷
মানুষভর্তি বেদনা৷
দৌড়
দৌড়ে গেলে ‘দৌড়’
ভায়োলিনঅলা পাখিটিও স্থির থাকে না!
ডানামেলা জানালা থেকে উপচে পড়ে
নাচের মুদ্রা; উজ্জল ঘাসফড়িঙের মতো
বিচিত্র রঙের ফোটা—জেগে ওঠে শরীরজুড়ে, আহত
মাছেরা উপেক্ষা ক’রে বেদনার ছায়া
ডানামেলে ভাসে অপর ডানার দিকে।
কিছু ছেঁড়াপাতা উড়ে যায় পুরনো
গ্রন্থ থেকে; শিউলী ফুলের মতো
উবে যায় অস্ফুট স্বরের মানুষ;
ভুল বানানে রচিত হয় একেকটি রাত!
হাস্যজ্জল মাছেদের যৌবনজুড়ে তবু
আমাকে নিয়ে কোনো স্মৃতিকথা নাই!
আশ্চর্য যাপন
কেন নেমে আসে চিৎপটাঙ
নিস্তরঙ্গ ডেউটিন থেকে মৃদুমন্দ কম্পনে!
কেন ঝরে যায় খেয়াঘাটে ফোটা
শাদা অন্ধকার! জোনাকীরা আলো দিয়ে
বিগলিত মন নিয়ে চলে যায়।
প্রাণের আতঙ্কে প্রাণ
ছুটে পালায়; যায়
ধরাছোয়ার বাহিরে।
হাওয়াই জাহাজ
একদল আত্মহত্যাপ্রবণ কৈ মাছকে
তীর থেকে ডেকে স্বপ্নমাখা শাদাকালো
ফুটবল উপহার দিলাম।
হাওয়াই জাহাজ থেকে নেমে এলো
প্রজনন্মুখ কিশোরী হামিংবার্ড।
আমিও উচ্ছন্নে গেলাম
চাওয়া—না চাওয়ার উর্ধে।
Related posts:
Posted in: January 2022, POETRY