সমন্বয়-এর কবিতা

হার্প আকৃতি নদীর স্পষ্টত

১.

ছুরির মধ্যে জন্মনুন হালকা লয়ে,
না – বলা কোণঠাসা
হতে গিয়ে লোমের বর্ননা হয়ে গেলো।

আগুন সরিয়ে ছাই। হতে চায় না যে হাত, আমি; শুকিয়ে নেওয়া রাতবিরাতের ঝঙ্কার … হাফচাঁদ ও মায়েদের সিলিং ফুঁড়ে আসা – সম্মহন ।
বেশী আর নেই

দিকের সাথে দিক হন্যে ঘুরছে। পশ্চিমের পুবে মেলাতে বাকি থাকে কেরোসিন গন্ধ। বুড়ো ছায়া কখন তলপেট হতে গেলো। হতেও পারে, পথভুল – হারিয়ে যাওয়া একটা খচরামো, ভাষাগর্তে সত্তর আশি নব্বই একুশ… একে একে পাগলা হাততালি

২.

উবু হয়ে বসা ঘণ্টা, দুলেছে। একে একে ভাঙতি না পেয়ে খুচরো বেরোতে পারেনি – উরু ভর্তি টায়ারের রোগ। ভারী মাউন্টেন চিৎকার। ভাঙা পাথরের তলায় খোঁজা নুন। ইতিহাসবিদের ভুল। দুলছে হলুদ ঘণ্টা। সাক্ষাৎ, দুলছে। পুরোনো টোটেম ফেটে কখন যে ভোজ গরম বিকাল হয়ে গেলো। কখন যে এক পা কেটে আরেক পায়ে চুমু। ভোর হয় ভোরের আগে। খুন হতে চাওয়া পেটির মতন।

৩.

যারা এমন, দেয়ালের ঘরঘর অনুভব করছেন,
দেহ উদাল নদীর শক্ত ডাঙায়…বহু বহু

বয়সের দাগ পুকুরের ট্যাটুর হয়ে আছে
জমানো পুকুর বলছেন, ” দে একটা ঝাঁপ … ”

তোমার চোখ ও ট্যাটুর মধ্যে
একটাই বল
ভোর সাড়ে পাঁচ থেকে যাত্রা শুরু ক’রে
রাতের হাঁটাচলা, সে বোঝে, লাফিয়ে লাফিয়ে,
সন্ধ্যা ধরে রাখে । অবশ্য গহীনের এটাও ভুল

কখনও ধীর করবে গতি – পিচে তার রঙ
মিশে যাবে, বাকিদের ছায়ায় – অথচ
তোমার দেহ। শুনছে না নির্মিতি…
পালিত কাফিনের থেকে
কেটে আনে সুর

না যদিও

হার্প আকৃতি নদীর স্পষ্টত এক
পদ্ম ভেসে যায়… এরকম কবিতায়

৪.

এতো পুরোনো দশা কাটিয়ে উঠতে চাই না।

ঝিমুনি নেশার মতন পাতা আঁকড়ে বসে আছে,
বসে আছি আমি — তোমার বিখ্যাত রটনা। কেউ আমার মতন ঘেরাও করতে পারেনি জালিকা ও তার অনাবিষ্কৃত মাকড়শাদের – কারা শব্দ ব’লে ডাকে?

ঈশ্বর, পাতা আঁকড়ে বসে থাকা ওদের আগ্রহ,
বাল্যবন্ধুর মতন সুখের বাধ্যতা, অথচ রটনা ভেবে মরছে এটাও তার দখল পদ্ধতি… যদিও ওরা উধাও হতে পারে।… তুমি বেঁচে থাকো গণিত অথবা রটনায়… বিখ্যাত জাগলার, তুমি

যাদের বাল্যবন্ধু হলে…তুমি নও এতো পুরোনো দশা…তাদের উধাও হতে দেখি, আমি

Facebook Comments

Posted in: January 2022, POETRY

Tagged as: , ,

Leave a Reply