জয়শীলা গুহ বাগচী-র কবিতা
যৎসামান্য লাল
একটা শব্দও সম্পূর্ণ হচ্ছে না
টাল খেয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাটের ক্রসিংয়ে
অথচ কোথাও কিছু হবার ছিল না
তবুও নিশ্চিন্ত সীমানার বিশ্বাসে
এক একটা নিঃশ্বাস তেরছা হয়
নিভে আসে গোলাকার অভ্যেস
হাওয়া বাতাসের সংখ্যা গুনতে গুনতে
উল্টে যায় নিয়মের সরাইখানা
জীবন জুড়ে হালকা মায়ার সর পড়ে
ঘুমের ভেতর বিছানায় ছুটে চলে অলৌকিক খরগোশ
তুমি চাঁদ তুলে নাও হাতের অন্দরে
অসম্পূর্ণ শব্দ পড়ে থাকে এদিক-ওদিক
আমরা গড়ে উঠি না
দীর্ঘ সগতোক্তি ছাড়া
কোথাও কোনো নদী নেই আর
অপেক্ষার চাঁদ অল্প অল্প লাল হতে থাকে
কবিতার ধুলো
পুরনো গন্ধের ভেতর আমিকে খুলছি
শরীর থেকে ঝরে পড়ছে তামাটে পয়সা,
ব্যাঙের ছাতা, ঘুণে ধরা আসবাব, ষড়যন্ত্রের ধার তারপর কি থাকে
কথাবার্তার হাওয়া বাতাস
শুকনো মস অথবা ঝরে পড়া পুরনো ব্রণ
সারা গায়ে ডাকিনী লাগছে
আর দেখছি ক্রমাগত ফুলতে থাকা
ফুলতোলা লোকজন…
উড়ে যাচ্ছে হাসতে হাসতে
তাদের ডাকতে গেলে
আমি একটি অসমান চিৎকার হয়ে উঠি
তারচেয়ে ধুলোর দাগ হওয়া ভালো
তারচেয়ে ডাকিনীর রেখা হওয়া ভালো
অথবা বাক্সবন্দী জামার অতীত ডিজাইন
শুকনো পাতার মতো হাত ঝমঝম করছে
শুকনো গাছের মতো পা…
মাথার ভেতর প্রাচীন হাওয়া বাতাস
আর ডাকিনী শব্দ
হাওয়া বাতাস আর শব্দের ডাকিনী
কবিতা লিখছে…
Related posts:
Posted in: January 2022, POETRY