দেবাঞ্জন দাস-এর কবিতা

ইয়ে ইয়ে নাদান

(১)

মদের মত ঈশ্বর হলে আর ভোরের চাকনা চুর ! কোমরের কাদামাটিতে আঙ্গুল দিয়ে, জিভ দিয়ে, লাভ শেপের হৃদয় দিয়ে আঁকা রাস্তা নিমেষে টলটলে পুকুরের জল হয়ে গ্যালো। কে জানে কবে কোন ঢিল ধ্যান ভাঙ্গাবে আর সুদূর রাস্তার বাঁক বরাবর দুলবে
শব্দের কোমর
ঘুম চোখের কুয়াশা
তাকে শাড়ি মনে হলে
উঠোনে উঠোনে জিরোচ্ছে ইজ্জত
জানো, প্রতিটি রেপের মাঝে ফেলা আলোয়
বিদ্যুৎ লিঙ্গ থেকে মেয়েটার চোখে চলে
সেই হাসি-করুণায় মটরশুঁটির খোসা থেকে মাছি তাড়ায় মেঠো বউরা

বিকেলের ওমলেট রোদ তোলা দিচ্ছে
চুলবুলি হাওয়াকে
তুমি, নারী-পুরুষ, হিঁদু-মোছমানে
পেছনের রক্তরাগ খসিয়ে
সেই সেই বিলা রাস্তার ধারে
অনন্য শিশির পতনের মত বসে আছ
শব্দরা সঙ্গম শেষে ডাকবে হয়ত – হ্যালো…

(২)

নয়ন হারানো আলো হবে একদিন। বাজারের ফুলকপি ডেকে বলবে কেমন আছ? আর মেথি শাক, হায়… নাদানের দাঁতে মেথির টুকরো নিয়ে সেকি রাগ!
দ্যাখো বিকেলের বিদ্যাসাগর, বয়স শেষের পার্টি হোলটাইমার… ধোঁয়ারা বরাবরই গম্ভীর ও একলা। পা থেকে আগুনের আদরে স্নেহ পড়ছে টুপটাপ। আগুনের স্তন, আগুনের লিঙ্গ, ঘামের গন্ধ জেনে ফেলল গোটা শ্মশান। পায়েতে আগুনের লিঙ্গ বোলাতে বোলাতে পথসভায় ভীড় করা মানুষেরা নুপুরের ক্যারিশ্মা দ্যাখে।
হেই মাঠ বরাবর এলো কাশের গুমর, বাসি জামার উষ্ণতায় কাপড় মেলা তার, শীতের বৃষ্টির গন্ধে কেন মাতালে?
আমি তো কেবল চেনা রাস্তায় ঘাসের বীজ খুঁজতে বেরিয়েছিলাম…

Facebook Comments

Posted in: January 2022, POETRY

Tagged as: , ,

Leave a Reply