অমিতাভ প্রহরাজ-এর কবিতা

বিভা

তোমারও কোনোদিন ঠিক বিভা হবে, আমি অজগরে চেপে ছুতে আসবো তখন কোনো দূরের দেউল থেকে লজ্জাতরুণ গাছের অবিচ্ছিন্ন বাগানটিতে তোমার…… তখন তোমার চোখে পড়বে আমার ঘামের ছায়া, আর অনর্গল বলা রোগটিতে আমি বলে যাবো, মলিন হারানো শিশুর হদিস করেছি নিজেকে বলে বলে তোমার ভরাট সজল কোলের ভেতর শাঁখস্রোতদল জলে গাঢ় লবণবিন্দুধারী প্রাণের কারণ নিয়ে গলে যাবো…… তুমি তখন নিজের শুভ্র আঙুলখানি দাঁতের অল্প কামড়ে নিজেকে রক্তমুখী করে তুলো……

জাজ্বল্য

এইভাবে জলের মতো যুদ্ধে ঠেলে দিলে? অশ্রু বেজে জাজ্বল্য বাজে তখন, সন্ধ্যায়, কি বলি কি বলি, নিখাদ জল হয়ে ছিলে যখন জ্বলছিলে। চোখেই তো ছিলে, তবু জলের মতো যুদ্ধে ঠেলে দিলে? একবারও ভাবলে না, সারাদিন পথে ঘাটে হাটে মাঠে, টুকটুক টুকটুক করে ঢেউ কুড়িয়ে কুড়িয়ে একমাথা সমুদ্র নিয়ে দাঁড়াতে গিয়ে কিঞ্চিৎ টলুমলু হয়ে গেল তাই, এইভাবে, জলের মতো যুদ্ধে ঢেলে দিলে? প্রতিদিন গোধূলি ঘামিয়ে ঘামিয়ে সন্ধ্যে নামানোর কাজ, প্রতিদিন রাত্রি ডলে ডলে দিনের সকাল লাল করার ডিউটি, সব, স-অ-অ-ব মাত্র একটানে কেড়ে নিলে? এইভাবে জলের মতো যুদ্ধে ঠেলে দিলে? অশ্রু বেজে ওঠে জাজ্বল্য বাজে শুধু জলের মতো কেন যুদ্ধে ঠেলে দিলে।

আর এ যুদ্ধে আমার ভূমিকা থাকে না, খালি তোমার ক্ষেতে প্রবাহিত হতে হতে দেখি স্রোতস্বিনী শ্লোকগুলি…বড়ো পরিশ্রম হল। সুবঙ্কিম রেখাগুলি বেঁকে গেল অশ্রু ধুয়ে ধুয়ে কেন…কেন..কেন

এই জলের মতো যুদ্ধে ঠেলে দিলে….

Facebook Comments

Leave a Reply