শানু চৌধুরী-র কবিতা
১.
আজ নবীকরণ হচ্ছে মৌনতার
আর দেশলাই কাঠি পুড়ে ভরে উঠছে সম্যক চিরাগ
যে ঐতিহাসিক গহ্বরে দোলা লাগে, সেখানে মানুষ পৌঁছতে পারেনি আজও…
শুধু কুয়াশাবৃত চরের মতো বাষ্প,
টুকে নিয়েছে প্রতিলিপি
যার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নেই
অথচ দীর্ঘ পিতার মতো
পিতৃতান্ত্রিক সভ্যতা হয়ে ওঠার তাগিদে
বলবৎ করছে নিকষ আকার।
২.
শেষ দৃশ্য মাটি হচ্ছে, হিমবাহের নিচের আয়নায়
আর পারদ থেকে ঝরে যাচ্ছে উৎকট সফর
তুমি বলো, রাত থেকে যেসব প্রমিত ভাষার চিৎকার
চলে গেল কপট মানুষের কাছে,
তাঁদের রূপ প্রসূন হবে কিভাবে?
একটা মনস্তাত্ত্বিক জিওল পড়ে গেল,
নিজস্ব ঋতুর আঙিনায়…
চকচক করে ওঠে যে আধার
প্রতি মর্মরের শ্রদ্ধায়
সেখানে সংগ্রাম দেখেছিল
টেঁকসই নাড়ির দিশা
৩.
নাজুক রাংতার পিঠে ঝরে গেছে বর্ণাঢ্য নিহিলিজম
যে শাখার ক্ষত দূরপাল্লার হতে হতে আজ বর্ধনশীল
তার হাতের কিরণে দেখেছি আমি অ্যানার্কি ভরে ওঠা
তারকাখচিত শোভা! এভাবেই শ্রুতির মন্ত্রে জেগেছিল
আমাদের বিরহ হাওয়ার তাঁবু… ভ্রমণকারীর সংকোচে
আভা মুক্ত সংসারী হয়েছ তুমি আর পালের হাওয়া সমস্ত
ক্রাচের নির্জনতা নিয়ে চলে গেল প্রিয় কস্তুরীর সুগন্ধে
যেখানে ফলের গড়নে বক্রোক্তির সীমা
জ্বলে ওঠে আগুনদানির মতন সাকার সম্ভবা ছলনায়…
৪.
আমার নামে তুমি পেট ভরে খাও।
তারপর ঘৃণার আঁচল নিয়ে সরে যাও,
বিচারসভার দিকে।
নিজের সচেতনতার কাছে এলে
দেখা যায় গোল হয়ে বসে আছে লিলিপুটের তর্জমা
আমি তার ভিতর হাঁটি…শুধু
তরী পার হয়ে যাওয়া জায়েজ জামা
দেখব বলে…
Posted in: December 2021, POETRY
এইসব কবিতা নিয়ে বেশি কিছু কথা বলব না। শুধু বলব তোমার মতো এত নিপুণ বিষয় আর ভাবের মেলবন্ধন আমি আর কারো কবিতায় দেখিনি। কত সচেতন অথচ মনের একেবারে গভীর নির্জনতা থেকে কবিতার উদ্ভব।