রঙ্গন রায়-এর কবিতা
জারুল
ফুলের ভারে যেভাবে নুয়ে পড়েছে জারুল বৃক্ষ , যেন ,
তোমারই বুকে ফুটে আছে অসংখ্য জারুল , যেন ,
কালিদাসের বর্ণনা সত্যি করতে , উঠে পড়ে লেগেছে প্রতিটি জারুল কন্যা
ছোটবেলার সাবধান বাণী মনে পড়ে — রাত্রিবেলা গাছের কাছে যেতে নেই ;
প্রকৃতপক্ষে কখনোই ফুল তোলার সময় ধার্য করা হয়নি
অরণ্যের নিজস্ব ইশতেহারে , দিনের বেলাতেও ফুল তোলার কথা
লেখা নেই কোথাও
সপ্তপর্ণী
মাঝেমাঝে সাঁঝবাতির মনে হয় ,
শহরের শুকনো সৈকত ছেড়ে
লাটাগুড়ির দিকে চলে যায় —
কাশফুল ঝড়ে গেলে তিস্তা , বুড়ি
সুতরাং জঙ্গল ভালো
সেখানে সপ্তপর্ণী আছে , যার সাতটি পাতায়
সাতটি ভাই ভীষণ ঝগড়া করে
চম্পা , বসবার পাতা না পেয়ে
উড়ে বেড়ায় , উড়েই বেড়ায়
এমন নিবিড় পাখিদের গাছে
পুষ্প সন্দেহাতীত ভাবে আলোচনার অযোগ্য
বস্তুতঃ সাঁঝবাতিরা শহর ছেড়ে কোনোদিন
পালাতে পারেনা
অরণ্যেরও দেখা হয়না , সন্ধ্যাপ্রদীপ
Posted in: December 2021, POETRY