সৌমনা দাশগুপ্ত-র কবিতা

মেঘকোলনের গান

মেঘকোলনের গানে পূর্বাপর ভিজে যায় সূর্য। মেধা ও শিশির নামে টুপিয়ে টুপিয়ে
সফেদ রক্তের প্রাণ, মদের বাদামি ফেনা, ক্রাচে ভর দিয়ে আসে আঁধার-ঘোটক

স্পঞ্জের জিভ থেকে ঝরে পাঁশুটে সকাল

মোমসমুদ্রের পিঠে ভাসছে নুলিয়া, ট্যারেন্টুলার স্রোত ডুবোপাহাড়ের পেটে, গুহামুখে
ধূসর হৃৎপিণ্ডের লাবডুব, লবণগন্ধী ফুসফুস, ঝিনুকের আধবোজা মুখ, আলোর স্বরাট

উড়ে আসে বাঁশপাতা, তাদের নোঙর পড়ে ধুলোর বন্দরে, পানাপুকুরের দিকে সুঁড়িপথে
ফুটে ওঠে তারাদের দূরবিন, দূরালাপ দূরবেধী ভেসে আসে

বিনফসলের মাঠে বাতাসের হ্রেষা

সময়ঘড়ির কাঁটা থম মেরে বসে আছে মেঘেদের কুয়াশাকুটিরে
কানাগলি অন্ধগলি। ধাক্কা খাচ্ছে নক্ষত্রের বেহালাবাগান

পত্রমোচনের দিন, একা একটি গাছের ডাল বিঁধে আছে আকাশের পেটে

রোদের ট্র্যাম্পেট

স্মৃতির ঔরসজাত স্পর্শডানা, মাইটোসিস ও মিয়োসিস শেষে পাশ ফিরে ঘুমোচ্ছে সময়
সৌরকক্ষ থেকে সরে এল একখানি চাঁদ, ঝরে গেল দৈববাণীর থেকে কাটাজিভ

স্বপ্নের নিভন্ত শিখা, ফাটা ঠোঁট, ঘামের প্রদাহ থেকে ফুটে ওঠা মেঘত্বকে লোহিত আপেল
যেন বসন্তগুটিকা ফেটে নামছে গ্যাঁজলা, বিবমিষাস্রোত, সুড়ঙ্গের ইস্তেহার উড়ছে বাতাসে

শ্লথ ছন্দে নেচে যায় আলোর পুত্তলি উত্তল লেন্সের পিঠে, যেন ব্যালেরিনা

হাটখোলা পড়ে আছে চর, নতুন বসতি হোক, হোক হোক আলো-চিৎকার
খামারের স্মৃতি নিয়ে তমসালোলুপ এক দাঁড়কাক বসে থাকে তারার শিথানে
জগঝম্প বেজে ওঠে রোদের ট্রাম্পেট রবিফসলের খেতে, মাংসের পল্লিতে

ট্রেনের রক্তাক্ত চোখ, হুইসিল

Facebook Comments

Leave a Reply