মির্জালী বিশ্বরূপ-এর কবিতা

১.

আবার যখন দ্যাখা হবে তখন তুমি একা হবে ভীষণ
কবে কোন শহরে অথবা গ্রামে ধ্বংস-বিধ্বংস
নামবে আমি জানি না জানি না

সোহবতের লবণজল ঝাঁপির সেলাম পাবে ঠিক
পীরের হাসির প্রতিক্রিয়ায় কলাগাছের নকল ফুল
ঐ ফুলে-ই ফুটবে আবার কফিনের কালো গোলাপ

যখন তুমি একা হবে তখন-ই আবার দ্যাখা হবে
ভীষণ ভাবে-ই তোমার সঙ্গে আমার

এই জীবনের বাঘের মুখে একরোখা এক আদর
এই জীবনের হাঁসের চোখে ধবল-পথের প্রাচীন মন্ত্র
সব জামানা-ই জানতে পারে ইন্তেজারের সারাদিন

সারারাতের যা যা কদর তার ঝাপটাতে চাঁদের পুজো
দৈনিক এক আকরিকে সব তিতিক্ষার নতুন জীবন
ঐ জীবনে-ই আসে আবার পাশের বাড়ির টেলিগ্রাম

যখন তুমি একা হবে তখন-ই আবার দ্যাখা হবে
ভীষণ ভাবে-ই আমার সঙ্গে তোমার।।

২.

দরদী বন্য-নদীর তীরে ব’সে আছে ওই তিমিরে
পাকা ধান ফ’লে গিয়ে হলুদ ঘাসের হেমন্ত কোথায়
কৈ কবেকার ভোরবেলা ছেলেখেলা ছেলেমেয়েদের
তিতিরের গানে গানে কৈ অম্লান কাঁচালিচুদের বাগান

এই গলি মোহনা ডোবা চাঁদ প্রান্তর যৌবনবতীদের
ডাঁটিয়াল শহরে ধোঁয়াশার বৈরাগী ভাতে-ই শ্রান্ত ক্লান্ত
ক্লাবে ক্লাবে ঠাঁই পাবে ওহে উত্থিতা দায়িত্বের দাবিদার
পুলিশের জল খেলেও যাবে না জগতের ডান্ডিমারা

বাড়ালে নগর বাড়ে। বাড়ে না পৃথিবীর সমস্ত নগরী
ছিঁচকে জিনিশ যত তুচ্ছাতিতুচ্ছ থ্রিলারের নয় ঝিল
হয় হয় ঠাকুরমা ঠাকুরদাদা হিসাবের মালগাড়ির হয়
বায়োস্কোপের ইঞ্চি দেখে দেখে হাঁচির ইঞ্জিন প’ড়ে যায়

বাঁশির বাঁশরী কিছু মটকানো অভিভাবক কিশোরীর
ভুলে গেলে ভালোলাগে কপালের চন্দন আর নিয়তি
টেক্কা দিতে দিতে হিরন্ময়ী ক্ষান্তি আউশের চালের
কে কাকে জমি দেবে জায়গা দেবে বোঝা গ্যালো না

কে কাকে মাটি দেবে আগুন দেবে টিকটিকি জানে না
মানে না মানুষে আর ঝান্ডিমারির ঝুনো কোনো ঈশ্বর
জিৎ আর হার নিয়ে সংসারের ধুলো বালি ঝারি ঝাল
সকাল সকালের পাগড়িতে উদগ্রীব খোরাকের ডোঙা

ঠাহর-ই সমুদ্র পাবে যেখানে বাতিকের লবণ নোনতা
সরকার ভালো হ’লে কৃষকেরও জীবন ভালো-ই হয়
হেক্টর পেলে তো ডেকচিও পেলে বাবা এবং মায়েদের
নবান্নের গোমস্তা হ’য়ে থেকেও শেষে অমরত্ব মেলে না

কামধেনু রামধনু শতাব্দীর ফুটপাতে তাঁবু পেতে আছে
শিকারে শিকারে দরবারির পরিসরে ভগবান কোথায় হে
জান্ যদি দিবি-মন মান দিবি না ধন দিবি না নিজেদের
লুঙ্গিতে-ই কুয়োর কালো জল যুদ্ধাস্ত্রের মাথা রেখেছে।।

Facebook Comments

Leave a Reply