অরিত্র চ্যাটার্জি-র কবিতা

কলকাতা ২০২১

দশক ফুরিয়ে এল, এইবার ফিরে আসা যায়
কিনা তুমি ভেবে দেখো জোড়াতালি বিটুমেন পথে
প্রাত্যহিক অসমাপিকার মত কারা যেন ফেলে রেখে
গেছে ওই মিথস্ক্রিয় ছাপ, অনুজ্জ্বল জানলার পাশে
আর্দ্র ছায়াখানি এখন শরীরবিহীন, যা কিছু দেহজ
তাই, তাপ ও তরল জুড়িয়ে গিয়ে আদতে অতীতচারী
ছাঁচ কবে ভেঙ্গে গেছে তবুও আধার রয়েছে একটা
নারকোলমালা, লঘু যৌন ইচ্ছার মত কালচে জল
বরাবর কার মুখ ভেসে ওঠে, গার্হস্থ্য জ্যামিতির ভুল
যেইখানে শুরু হয়েছিল সহস্রের ভিড়ে প্রতিশব্দহীন
সেই উড়ালপুল ও বাসস্ট্যান্ড, সরলবর্গীয় প্রাণীদের
খিদে এবং ঢেউ সযত্নে এড়িয়ে যে মেয়েটি অপেক্ষমান
ফীডার রোড বরাবর শেষ গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার আগেই
চোখের সিপিয়া কাটাতে তাকে ঠিক খুঁজে নিও তুমি …

সকাল ঘুমিয়ে আছে নিরুপায় বেড়ালের কোলে
পড়ে থাকা আলসের ধারে তার যতটুকু ওম
যেন দূরতর রেডিওর
ওয়েভলেংথ বরাবর কয়েকটা সাইকেল চলে যায়
আর ঠিক সময়ে তাদের কতজন ফেরে
এসব তো খুব জটিল সরণ, তবুও সেই হিসেব
অনেকক্ষণ ধরে কেউ করে, হুইলচেয়ারে বসে
একদিন তাদের ছেলেমেয়েরা খানিক দূরে চলে যায়
আবার ফিরে আসেও, অন্তত সেরকমই কথা থাকে
সেই ভেবে তারা হাত নাড়ে, কাচের ওপাশ থেকে
ঠুনকো জিনিস, অথচ স্থানভেদে কী বিষম ব্যারিকেড
যে ছেলেটি জানে, সে এখন উড়ান-সম্ভাবী
এসময়টা তার ভেতর খুব মেঘ করে
আর ভেজা স্ক্রিনের আড়ালে তাকে যে জড়িয়ে রাখে
তাদের দু’জনের-ই কখনো দারুণ আনন্দাশ্রু হোক
কারণ খুব তীব্র এই আবেগের বিপক্ষে
আমাদের যথোপযুক্ত কোনো মেটাফর নেই…

Facebook Comments

Leave a Reply