শানু চৌধুরী-র কবিতা

ছন্দ আসলে আমার কাছে একটা উপলব্ধি। যা একজন কবিকে নির্দিষ্ট আদর্শ বা নমুনার দিকে চালিত করে। যেখানে কবি লাগামছাড়া হতে পারে না। শব্দকে ভালবাসার যোগ্য করে তুলতে গেলে তাকে মাত্রাকে ভালবাসতে হয়। প্রকৃতপক্ষে ছন্দ কবিকে সংযম শেখায় শব্দের ব্যবহারিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে। তাই কবিতায় ছন্দের ব্যবহারকে আমি গভীর পরিকল্পনার ফল বলেই মনে করি।

হরিণের ছাল ভেবে তেতে গেল রোদ
পাকা নখ কেন বসে দেবীদের ঘরে?

কথা ছিল কতটুকু মায়েদের কাছে
ভাল লাগে সেই মেয়ে ছুটে গেলে গোসল তলাতে

কাহিনির কেউ নেই নেই দেহজল
হয়ে যায় তারা সব বাগিচা প্রবল

আমি একা কথা হই মায়েদের চোখে
ফাঁদ ভেঙে যায় তবু আজমের ঠোঁটে

তছনছের কাছে বসে ছাঁটা বালিয়াড়ি
জীবনের শেষ থেকে গুনেছিল সকলের বাড়ি


বেহালার ছড় ছিল আলো ঘেরা বুকে
সামাজিক হল সেই হরতন চিরতন রূপ
পাতা নিচু হয়ে এলে ছোট হয় বন
আমাদের সৈনিকেরা ডুবে যায় মথের গভীরে

তুমি আজ বোঝো সব হাতের নাগাল
পুষ্টি শেষ হয়ে গেলে ক্ষয়ে যায় লবণ কেমন

Facebook Comments

Leave a Reply