প্রদীপ চক্রবর্তী-র কবিতা

বলাৎকার




তুমুল বাঘিনীর ভূমিকায় মিশে আছো ছায়াময়
অতিপ্রাকৃতিক চন্দ্রমাণিক চেনা মেঘের শামিয়ায়
বালুচ খলরোষে সর্পিণী  ফোঁসে
                  গয়না জড়িয়ে ঝুটো কিন্নরী
ঈষৎ স্থাপত্যে তামাদি অক্ষর
                     গ্রাম্য পদ্যকার ক’রে ফেরি




শরীরী মধুর মধু গুঞ্জা মধুকর
হারমণিদ্যুতি আকুতি সায়রে
                       রমণী পরাগী স্বর
শস্যগোলার লোকাল পাখিরা ফিরে গেছে
                                                         চারিভিতে
দৃশ্য বানান বর্ণ ফুল গুল গন্ধে কঠিন
                                                          বৃন্দগীতে



সে গান ডিগদোডিগান বাতাসে ভেসে বেড়ায়
রাতের চষকে বিবসনভূত
ভাঙা সেতুর অপার খিলানের শেষ বিন্দু থেকে
আধখাওয়া চাঁদ ওঠে টোটাভরা পুরোনো বন্দুক



সে বন্দুকে গুণ নেই
পেটের বাচ্চা পেটেই  গেছে মারা
নতুন লালঝুরি ফুলেভরা গাছ
বরষে বরষে   মণিপুরে ফোটে কারা ?




ছত্রিশ – অলিন্দে  শিকড়ে বাজের ডাক




শ্যামল চলেছে অনতিময়ূখ
মরদ – কসম, শেষ পরিধেয় ব্যথা
টমটম বাবু যে ! মেঘা থেকে ময়নকান্তি
অঞ্জন বিন্দুর থেকে খসে মহিষের মাথা


সরপুঁটি কোথায় মেছো বাজারে ?
হলুদ অলকে ছলাৎ কি  তরলতায়
গোধূলির সঙ্গে ময়ূরী হয় না মেয়েদের
অনুল্লেখপূর্ব রমণ রটে যায়

রমণের শেষে ভেঙে যায় কোজাগরী
ময়না লাগিয়ে উড়িয়ে দিলাম তাকে
শিলাজতু নিচে পড়ে আছে  শমশীর
কামিনী আশয় রাকারাত্রির  ফাঁকে

রাকারাত্রির বিপক্ষ দুই শিবির
ভ্রু কুট্টিমে  রুশম  ছিঁড়েছে যত
ঊনপঞ্চাশ বায়ু দানা বাঁটছে  দেহদারু
ছায়াক্কে  ছায়াদের ক্ষত

মাথার খুলিতে ফোটে নীলফুল  
লণ্ঠন নামানো আছে  মাতলা দাঁড়ে
সাঁওতাল গাঁয়ে  আজ জ্যান্ত শুয়োর পুড়ছে
শানাই ফুলের  বিষাণ শোনে কে রে …

Facebook Comments

Leave a Reply