সাঁঝবাতি পাল-এর কবিতা
জটিল
নিজের অজান্তে পলাশ,অপরাধ বেড়ে চলেছে দিনদিন।
ভয় পেয়ে আঁকড়ে ধরেছি,
বুঝতেই পারিনি কখন দমবন্ধ হয়ে এসেছে তোমার!
হাত বুলিয়েছি ক্ষতস্থানে,তা আরও আরও গভীর হয়েছে ক্রমশ!
সমস্ত লাশের ভিড়ে…
তোমায় আমি জীবিত দেখতে চাই রোজ রোজ,
অথচ দেখো কেমন নৃশংস হয়ে উঠছি দিনদিন !
আমিও কাঁদতে চাই পলাশ…তোমার মত
নোনাজলে যেভাবে খসে পড়ে তোমার চোখের পলক,
যেভাবে আঘাত ঢেকে তুমি গোলাপ সাজাও বুকে,
আমারও তো ইচ্ছে করে…
তবুও আমি অন্ধকারে মানিয়ে যাই রোজ
রক্তের স্রোত আরও অসামাজিক হয়ে ওঠে,
এবারে মহামারী শেষে আবার ঘুমিয়ে পড়লে শহর,
তুমি আমায় জটিল হওয়া শেখাবে ?
অবজ্ঞা
মেঘ ছিঁড়ে অভিমানী রোদ মুখ তোলে হঠাৎ, হয়তো ভেবেছিল, আমি এখনও মেঘলা ভালোবাসি!
দুপুরের ভাতে একটা মিষ্টি গরম ভাপ…
কিছু পুঁই-ডগ আনন্দে ছলকে ওঠে
আরও পেঁচিয়ে ধরে আকর্ষ,
তোর কথা একবারও মনে পড়ে না ওদের!
রেলিং এর ভেজা শাড়ি
টুপটাপ জল ঝরিয়ে চলে অবিরত…
তোর অবজ্ঞা বিন্দুমাত্র গায়ে মাখেনা তাও!
একটা লালচোখে-মাছি ভনভন করে চোখের সামনে…
ও জানেই না…তুই হঠাৎ করে অচেনা হয়ে গেছিস খুব!
একশ্বাসে ভাতের মিষ্টি ভাপ ভরে নিয়ে বুকে…
আমিও এবার মুখে গ্রাস তুলি, একদম ওদের মতো… তোর কথা না ভেবেই…
Posted in: POETRY, September 2021