শংকরাচার্য্যের মায়াবাদ: ধারে কাটে কি ভারে! : রঞ্জন রায়
চতুর্থ পর্ব
রজ্জুতে সর্প দর্শনের ভ্রান্তিঃ
বলা হচ্ছে যে দড়ি হল সত্যি, কিন্তু আলোআঁধারিতে যে সাপ দেখছি সেটা অবিদ্যা বা মায়ার নির্মাণ। কেন? আসলে দড়ি কিন্তু দেখলাম সাপ। ওখানে দড়িই আছে, সাপ নেই। এটাই মায়ার খেলা। তেমনই আসলে রয়েছে ব্রহ্ম, আমরা অবিদ্যার ফলে দেখছি মায়াজাল, দেখছি নানারঙের এই দিনদুনিয়া।
এখন আরিস্ততলীয় ত্রিপদী লজিকের সঙ্গে তুলনা করলে দেখব ভারতীয় ন্যায় হল পঞ্চপদী। মানে তাতে পাঁচটি বাক্য, তিন নম্বরটি উদাহরণ। দেখুন:
পাহাড়ে আগুন জ্বলছে। (সাধ্য বা যা প্রমাণ করতে হবে)
যেখানে ধোঁয়া সেখানে আগুন। (হেতু বা কারণ)
যেমন, রান্নাঘরে। (হেতুর বাস্তব উদাহরণ)
পাহাড়ে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। (হেতু ও সাধ্যের সমাবেশের উল্লেখ)
অতএব, পাহাড়ে আগুন জ্বলছে। (সিদ্ধান্ত)
এই সিস্টেমে তিন নম্ব্র, অর্থাৎ ‘উদাহরণ’ হল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি এই উদাহরণের একটিমাত্র ব্যতিক্রম দেখাতে পারেন, অর্থাৎ এমন একটা বাস্তব উদাহরণ যাতে ধোঁয়া থাকলেও আগুন নেই, তাহলেই যুক্তিটি বাতিল মনে করা হবে। অর্থাৎ দড়িকে সাপ ভেবে ভয় পাওয়ার উদাহরণে যদি দেখা যায় যে উদ্ভট কল্পনা ছাড়া কোথাও সাপ বলে কিছু নেই বা থাকলেও সাপকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই তবেই মায়ার সাপ যুক্তিটি দাঁড়ায়, নইলে নয়।
তাই উদাহরণটি খুঁটিয়ে দেখা যাক।
এক, যদি এই ভ্রান্তি ম্যাজিশিয়ানের মত মায়ার খেলা হত, তাহলে সবাই একসঙ্গে ওখানে সাপ দেখত, দড়ি নয়। কিন্তু একই সময়ে কেউ কেউ সাপ দেখবে, অন্যেরা দড়ি। এটা নির্ভর করবে স্থান-কাল, আলো-আঁধারি, যে দেখছে তার চোখের অবস্থা সব মিলিয়ে।
দুই, যে কখনও সাপ দেখেনি সে কি বাঁকা হয়ে পড়ে থাকা দড়িতে সাপ দেখবে? আদৌ নয়। তাহলে যারা সাপ দেখছে তারা আগে সাপের বাস্তব অস্তিত্ব দেখেছে। মানে সাপটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক বা উদ্ভট কিছু নয়।
তিন, দড়িতে সাপই কেন দেখে? হাতি কেন নয়? তার মানে কোথাও সাপ ও দড়ির মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।
চার, এই দেখার ভ্রান্তি যদি অবিদ্যা বা মায়ার খেলা হত তাহলে এমন সব অদ্ভুত জিনিস দেখা যেত যার সঙ্গে দড়ির কোন সম্পর্ক নেই।
পাঁচ, সাপকে পুরোপুরি মিথ্যে বলছি কী করে? আমাদের অভিজ্ঞতায় সাপ রয়েছে, তার ছোবলমারার স্বভাব এবং বিষের প্রভাব জানার ফলে ভয় রয়েছে।খালি সাপটা সেই সময় সেই জায়গায় নেই, ওইটুকুই।
ছয়, কেবল রজ্জুতে সর্পভ্রম কেন? সর্পে রজ্জু ভ্রমও তো হয়।বাস্তব জীবনে দড়ি ভেবে সাপের ছোবল খেয়েছে এমন অভিজ্ঞতা বিরল নয়। এর দার্শনিক তাৎপর্য হল দড়ি ও সাপ উভয়েই বাস্তব, কোনটাই মায়া নয়। দুটোরই দার্শনিক স্ট্যাটাস সমান—অভিজ্ঞতালব্ধ বাহ্যবস্তু। ভুলটা সাপের বা দড়ির নয়, তৃতীয় ব্যক্তির দেখার। তাই ও দুটোর সঙ্গে তৃতীয় ব্যক্তির স্বতন্ত্র অস্তিত্ব মানতে হবে। অর্থাৎ, সর্প -রজ্জু-ন্যায় অনুসরণ করলে ব্রহ্ম(রজ্জু),বাহ্যজগত(সর্প) এবং ব্যক্তিজীবটির স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করতে হবে।
স্বপ্নো নু , মায়া নু, মতিভ্রমো নুঃ দুই দুনিয়ার তত্ত্ব
অদ্বৈত বেদান্ত বাহ্যদুনিয়ার অস্তিত্ব খারিজ করতে গিয়ে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ নিয়ে আসে। তাহল স্বপ্ন।
মোদ্দা কথা, আমরা কীভাবে নিশ্চিত হতে পারি যে আমাদের চেতনার বা অনুভূতির বাইরে কোন বাহ্যজগত আছে?
কেন পারি না? আমরা প্রতিনিয়ত ইন্দ্রিয়ের সংযোগে ছুঁয়ে দেখে শুনে চেখে যে অনুভুতি পাচ্ছি তা কি মিথ্যে হতে পারে?
হ্যাঁ, পারে। তুমি খালি অনুভূতিই পাচ্ছ, কিন্তু কী করে নিশ্চিত হচ্ছ যে অনুভূতির পেছনে বা বাইরে কোন বস্তু রয়েছে?
এটা কী কথা হল? এখন ঘরে এই টিভিসেটটা দেখতে পাচ্ছি।আমি যদি ঘর থেকে বেরিয়ে যাই তাহলে কি সেটটা ওখানে থাকবে না?
কীকরে নিশ্চিন্ত হচ্ছ? যদি কেউ তুলে নিয়ে গিয়ে থাকে?
আরে তাহলেও তো আবার যখন ঘরে গিয়ে দেখব তখন টের পাব যে ওটা নেই, তখন থানায় গিয়ে ডায়েরি করব।কিন্তু টিভিসেটের অস্তিত্ব যদি আমার চেতনার উপরই নির্ভর করত তাহলে আমি ঘরেই থাকি বা বাইরে, টিভিটা সবসময় দেখতে পেতাম। কারণ টিভি আমার ঘরে নেই, চেতনায় রয়েছে।
এই প্রশ্নে–অর্থাৎ বাহ্যবস্তুর অস্তিত্ব কি কেবল ব্যক্তিমানুষের চেতনায়–আইন্সটাইন ও রবীন্দ্রনাথের চিত্তাকর্ষক কথোপকথন রয়েছে। তাতে অবশ্য আইনস্টাইন বাহ্যিক জগতের অস্তিত্ব ব্যক্তিনিরপেক্ষ বলে জানিয়েছিলেন।রবীন্দ্রনাথের মতে, মানুষের অনুপস্থিতিতে বস্তুর অস্তিত্ব প্রশ্নাতীত হতে পারে না।
মনে করুন, “আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে”।
মায়াবাদী বলবেন—সমস্যাটা বুঝতে পারছ না। দেখ, স্বপ্নেও অমন অনুভূতি হয়, যেন আমি কোন বস্তু ছুঁতে দেখতে শুনতে বা চাখতে পারছি, তার মানে কি ওটা আছে? জেগে টের পাচ্ছ সব ভোঁ-ভাঁ,—‘নিশার স্বপনসুখে সুখী যে কী সুখ তার, জাগে সে কাঁদিতে’। তেমনই এই যে নামরূপের বাহ্যজগত, হতে পারে আসলে তুমি স্বপন দেখিছ, জাগিয়া দেখিবে ওটা মিথ্যা। কাজেই ইন্দ্রিয়য়ানুভূতি থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় না যে বাহ্যজগত আছে, ওটা কোন পাক্কা প্রমাণ নয়। শাস্ত্রবাক্য শোন: ’ইন্দ্রজালমিব মায়াময়ম, স্বপ্নমিব মিথাদর্শনম’।
এই মিথ্যাদুনিয়া হল ইন্দ্রজালের মত মায়াময়, যেমন স্বপ্নে টের পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ইন্দ্রিয়ানুভুতি বা প্রত্যক্ষানুভুতি সত্যের কোন গ্যারান্টি নয়, অমন অনুভূতি স্বপ্নেও হয়। আর জেগে উঠলে ভুলটা টের পাওয়া যায়। মানে, ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান হল স্বপ্নলব্ধ জ্ঞান অথবা হ্যালুসিনেশনের মত প্রমাণ-নির্ভরযোগ্য নয়; কেবল শাস্ত্রের জ্ঞানই ভরসা করার মত।
এই যুক্তিটির দুটো স্টেপ।
এক, স্বপ্নে বা হ্যালুসিনেশনে কোন বস্তুর অস্তিত্ব নিয়ে যে অনুভুতি হয় সেটা মিথ্যে বা ধোঁকা । দুই, কাজেই বস্তুজগতের অস্তিত্বের ব্যাপারে যত প্রত্যক্ষানুভুতি সব ওই স্বপ্নের মত মিথ্যে বা ধোঁকা।‘এ সংসারটা ধোঁকার টাটি’(কথামৃত)।
উত্তরপক্ষ: আমাদের দু’টো আপত্তি।
এক, কয়েকজন মিথ্যে সাক্ষী দিয়েছে। তার মানে কি আদালতে সবার সাক্ষ্য মিথ্যে? কোন কোন পুলিশ ঘুষ খেয়েছে। তারমানে কি সব পুলিশ ঘুষ খায়?
দুই, স্বপ্নের অনুভুতিকে মিথ্যা বলছ কিসের ভিত্তিতে? তার মানে জাগ্রত অনুভূতিকে সত্যি বলে মানছ। একটাকে সত্যি না বললে আরেকটাকে মিথ্যে বলছ কী করে? তোমরা তো স্বপ্নের উদাহরণ দিয়ে সব অনুভূতিকেই খারিজ করে দিচ্ছ।
মায়াবাদী: মূল পয়েন্ট মিস করছ। তুমি জেগে আছ নাকি ঘুমিয়ে রয়েছ তাই বা বুঝছ কেমন করে? হতে পারে যে এই বিতর্কটি স্বপ্নের ঘোরে করছ? স্বপ্ন এবং জাগ্রত দুটো অবস্থার অনুভূতিতে এত মিল যে ফারাক করা মুশকিল। হতে পারে যে বিশ্বে তুমি রয়েছ সেটা স্বপ্নের দুনিয়ায় অবস্থিত। আসল বিশ্ব ব্রহ্মজ্ঞান হলে চিনতে পারবে।
‘গোরী চুনরিয়া আত্মা মোরী মৈল হ্যায় মায়াজাল।
ও দুনিয়া মোর বাবুলকে ঘর, এ দুনিয়া শ্বশুরাল’।।
উত্তরপক্ষ:
এক, স্বপ্নে অনুভূতির সময় অপেক্ষিত ইচ্ছেপূরণ(সুখপ্রাপ্তি বা বেদনার উপশম)হয় না। জাগ্রত অনুভূতিতে সেটা হয়।এটা দিয়ে তফাৎ বোঝা যায়।যেমন স্বপ্নে গেলাস গেলাস জল খেলেও তেষ্টা মেটে না। জেগে উঠে জল খেলে মেটে।
দুই, ন্যায়শাস্ত্র অনুযায়ী একটি প্রমাণ পরবর্তী কোন ওজনদার বিপরীততথ্য বা প্রমাণের জোরে খারিজ না হলে তাকে সত্য বলে মানতে হবে। যেমন স্বপ্নের অনুভূতিকে জাগ্রত অনুভূতি খারিজ করে দেয়। তারপর যদি কোন অনুভূতি জাগ্রত অনুভূতিকে খারিজ না করে তাহলে বুঝতে হবে দ্বিতীয় অনুভূতিটি সত্যি, মানে জেগে আছি। একে বৌদ্ধ দার্শনিক শুভগুপ্ত বলছেন ‘অবিসম্বাদদৃষ্টি’।
পূর্বমীমাংসার কুমারিল ভট্টের মতে ‘স্বাভাবিক জাগ্রত অবস্থায় আমরা বাহ্যজগতের ব্যাপারে যা অনুভব করি তা’ সত্যি। কারণ এটা এমন জ্ঞান যাকে অন্য কোন পরবর্তী জ্ঞান এসে খারিজ করেনি। যেমন জাগ্রত অবস্থার অনুভূতি স্বপ্নের অনুভূতিকে খারিজ করে।
উপসংহার
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে এটা দেখতে পাচ্ছি যে শংকরের মায়াবাদের মেটাফিজিক্যাল স্ট্রাকচার বা অন্টোলজি বেশ গোলমেলে। রামানুজের মত সোজাসুজি মায়াকে ব্রহ্মের শক্তি এবং বিশ্বব্রহ্মান্ডকে তাঁর সচেতন ইচ্ছার ফল বললে মডেলটা বেশ আঁটোসাটো হত। কিন্তু উনি আনলেন এক অতিরিক্ত ধারণা ‘অবিদ্যা’ যে ব্রহ্মের মতই অনাদি কিন্তু ব্রহ্মের অংশ বা মহিমা নয়। অথচ সে এমন শক্তিশালী যে চেতনাকে আবিল করে গোলাপি হাতি দেখাতে পারে। সে বাস্তব(সৎ) বা অবাস্তব কোনটাই নয়। সে যে কী তাও পরিভাষায় ধরতে না পেরে উনি ‘অনির্বচনীয়’ বা ভাষায় বলা যায় না বলে কাটিয়ে দিলেন ।
জ্ঞানতত্ত্বের কথায় বলতে হয় যে উনি যুক্তির ব্যাপারে মুশকিলে পড়লে শাস্ত্রবাক্যের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু অন্যান্য স্কুলের আস্তিকেরা দেখিয়েছেন যে তাঁর ব্যাখ্যাই উপনিষদের শ্লোকগুলোর সর্বমান্য ব্যাখ্যা নয়।‘অবিদ্যা’ শব্দটি উপনিষদে নেই।
তাহলে কি এটি শংকরের নিজস্ব ইন্টেলেকচুয়াল সংযোজন? তা’নয়, এই অবিদ্যা এবং দৃষ্টিবিভ্রম, দু’রকম সত্য ও স্বপ্নের উদাহরণ আগেই ভারতীয় দর্শনের আঙিনায় এসে গেছল, যদিও বৈদিক সাহিত্যে নয়।
এনেছিলেন মহাযানী বুদ্ধিজমের দুই দিকপাল দার্শনিক -নাগার্জুন (শূন্যবাদ) এবং বসুবন্ধু (বিজ্ঞানবাদ)। এবং তাঁরা ও ধর্মকীর্তি শংকরের কয়েক শতাব্দী আগে ওই প্রশ্নগুলোকে নিজের নিজের অবস্থান থেকে আরও ভালভাবে পেশ করেছিলেন।
আরেকটি কথা। শংকর বারবার মনুস্মৃতিকে বিশেষ সম্মান দিয়েছেন। তাই শাস্ত্রকে সঠিক জ্ঞানের একমাত্র উৎস(শাস্ত্রয়োনিত্যাৎ) বলেও মনুর কথা মেনে সমাজের খেটে খাওয়া বড় অংশ শূদ্রদের ওই জ্ঞানচর্চা থেকে বঞ্চিত রাখার বিধান দিয়ে গেছেন। কারণ যাদের উপনয়ন-সংস্কার হয় না (শূদ্র ও সমস্ত বর্ণের নারীরা)তারা বেদপাঠের অধিকারী নয়।
শুধু তাই নয়, মনুস্মৃতি মেনে অনুমোদন করছেন যে শূদ্র যদি কান দিয়ে বেদ শোনে তবে শাস্তিস্বরূপ তার কানে গরম সীসে ঢেলে দিতে হবে, বলা বাহুল্য অন্য শাস্তিও অনুমোদিত- “শ্রবণাধ্যয়নার্থপ্রতিষেধাৎ শৃতেশ্চ”।
আমার প্রশ্ন যদি সবই ব্রহ্মময় হয়, যদি ব্রহ্মের সঙ্গে নম্বুদ্রিব্রাহ্মণ শংকরাচার্য্য ও শূদ্রের কোন ভেদ না থাকে তাহলে তাদের জ্ঞানপ্রাপ্তির প্রচেষ্টায় শাস্তি দেওয়ার বিধান কেন? তাহলে কি ব্যবহারিক দুনিয়া শংকরাচার্য্যের জন্যেও বিশেষভাবে অস্তিত্ববান?
আর দার্শনিক স্তরে যদি জাগ্রত ও স্বপ্নের দুনিয়ার মধ্যে ফারাক করা কঠিন হয় এবং রজ্জুতে সর্পভ্রমের মত সর্পে রজ্জুভ্রমেরও সমান সম্ভাবনা থাকে, তাহলে ব্যবহারিক দুনিয়া যে সত্যি এবং পারমার্থিক দুনিয়া স্বপ্নবৎ হবে না সেটা কে বলতে পারে?
[সমাপ্ত]
[লেখক – জন্ম কোলকাতায়; গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিসূত্রে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে-গঞ্জে বনেবাদাড়ে কয়েক দশক ধরে ঘুরে বেড়ানো। অবসর জীবন কাটে বই পড়ে, লেখালিখি করে।
প্রকাশিত বই: বাঙাল জীবনের চালচিত্র (গাঙচিল); রমণীয় দ্রোহকাল (লিরিক্যাল); দেকার্তঃ জীবন ও দর্শন (অনুষ্টুপ); যে আঁধার আলোর অধিক (সৃষ্টিসুখ); ফেরারী ফৌজ (ঋতবাক); ছত্তিশগড়ের রূপকথা (ঋতবাক); শহুরে ছত্তিশগড়ের গল্পগুচ্ছ (ঋতবাক); ছত্তিশগড়ের চালচিত্র (সুন্দরবন প্রকাশন); আহিরণ নদী সব জানে (জয়ঢাক প্রকাশন); তিনটি রহস্য গল্প (জয়ঢাক প্রকাশন)।]
Posted in: ARTICLE, September 2021 - Serial