প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর কবিতা

বেলাছোটর ক্যাকোফোনি

১৯. 

শব্দের খাঁচা। অতুল নামিতেছে। অথবা নৃত্যের ঐশ্বর্যে মৃদঙ্গ। ইহাকে এখন রাত্রি। ইহাকে এখন অমাবস্যা। ইহাকে এখন জন্মের আবৃত্তি পাঠ করিতে হইবে। আমি নাচিবে। আমি জারজ, সুতরাং ইহা মদ ও মাতসর্যে সঙ্গত করিবে। মৃত্যু দেখে নাই। ত্বকের আড়ালে সাদা তরঙ্গ। চামড়ার কোলাহল। জলের অভাব ঘটিলে বরফ আসিবে। বরফের বিকল্পে কোহল। মরু গোলাপের লাল দেখিবে সে এইবার। ঘুমের অভ্যন্তরে সাদা। সাদার আড়ালে অস্বচ্ছ বাতাস। যুদ্ধ তো এ প্রকারেই বিবৃত অদ্যাবধি। হত্যাই শ্রেষ্ঠ আপেল, ইতিপূর্বে যা বহুল আস্বাদিত। অতএব, হে সম্পর্ক, হে পূর্ব, হে ভবিষ্যৎ, কালোর ভিতরে দ্যাখো পোডিয়ামের অনন্ত জিহ্বা। সে, হে আমার মহান আত্মা, এইবার কথা বলিবে এক না-ভাষায়, এক না-গদ্যে। রক্তের আহ্বানে এই রীতিই তো উপযুক্ত।

২০. 

টেবিল সরিয়া যায়। টেবিল আসে। আলোচনা হয়। দশক। অতঃপর দশক। বহু শতকের মেরু উষ্ণ হয়। মেরু শীতল হয়। রুটিসকল ভাগ হয়। মৃত্যু হয়। দীর্ঘ বক্তব্যে স্বীকৃত হিম কার্বাইন। রূপ ক্রমে অরূপে। বরফে রুটি ওড়ে। বরফ। বরফেও রুটি। ক্রমে পোকাসকল।

Facebook Comments

Leave a Reply