হিন্দোল গঙ্গোপাধ্যায়-এর কবিতা
সংবাদ… প্রতিদিন
অঙ্ক মিলে গেলে
চলরাশি ও ধ্রুবক বন্ধু হয়ে যায়।
একটা লিখে ফেলার ধারণা মাথার ভেতর,
দস্যুর মত অতর্কিত ঢুকে পড়তে চাইছে-
সেই প্রথম
আমি সাদা পোশাকের পুলিশ দেখেছিলাম,
তার নির্লিপ্তি ও যুগপৎ সজাগতায়
ভেবেছিলাম এবার একটা শেষদৃশ্যের মহড়া প্রস্তুত করা যেতে পারে।
অসময় কি একটা ব্যাধি?
যথেষ্ট ভেবে আমার মনে হয়েছিল
সময়ের আগে নেতিবাচক বসানোয়
প্রহর উল্টোদিকে ঘোরানোর এক মস্ত রসিকতা রয়েছে
মরে যাওয়ার ধাক্কায়
শুভাশিসের চোখ উলটে গেছিল
ওই অবস্থায় আমাদের দেখে, সে হেসে চিয়ার্স বলতে পেরেছিল কি’না
তা নিয়েও আমি ভেবেছি কম না
মেঘের যে ছায়া পড়ে
তা পাহাড়ে হাঁটলে বেশ বোঝা যায়।
আলো এবং কাচের ভারিক্কি
আজ নির্মোহ ঝেড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে হল
শুধু আসার আগে তোমাকে বলা হয়ে ওঠেনি-
আমাদের দেখাসাক্ষাৎ এর দিন, ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে…
৬৭/৩, নিউ আলিপুর রোড
এই ভোর, সাদাটে আবছা আলোয়
আমার জেগে উঠতে ইচ্ছে করে না
অথচ হাসপাতালে
জেগে ওঠা ছাড়া বলার মত কাজই বা কি..
গোটা মহাদেশের হাওয়া ফুলে উঠছে জানালায়
দুপুর নির্জনে, আলগোছে
আমি কি বুকে ভরে নেব তবে আরেকটু সুশ্বাস?
পাশের বাড়ির কিশোরী তার রবারের বল থেকে
কিছু লাল আমার আলজিভে রেখে যায়
এত ওষুধপত্র ড্রিবল করতে করতে ভাবি
এর চেয়ে একটা খাতাপেন পেলে হয়ত বেঁচে যেতাম
.. মেঘবৃষ্টি বা সামান্য রুটির দোকানের কথা
লিখে ফেলাকে, যদি বেঁচে থাকা বলো
কত অজানা লতাপাতা ও ফুল
তোমার পোশাকে ভিড় করতে শুরু করেছে
খুব ঝলমলে একটা বাজারে
পাশাপাশি হেঁটে যাব, তেমন সময় এসে গেল কি সত্যিই এবার?
মাথায় আঙুল ঢুকিয়ে স্নায়ুগুলো রুখে দেওয়ার সুরাহা
এবার শিখে নিলে ভালো হয়
আর কতদিন
কোন অনুষঙ্গ ছাড়াই;
আমি দেখে যাব ধোঁয়াটে ধ্বংসস্তূপ থেকে
ভোরের প্রথম বাস এখনো –
নির্ভুল, শান্ত চলে যায় তোমার বাড়ির দিকে
Posted in: POETRY, September 2021