দূর্বাদল মজুমদার-এর কবিতা

ঘোরালো কবিতা ১১

একটা শ্মশানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া,
অনেক গুলো মৃত্যুকে পাশে নিয়ে।

একটা এইটুকু নদী
জল খেয়ে খেয়ে বিরাট
তার বুকে থাকা সমস্ত শ্মশান-মশান পোড়া কাঠ ভাঙা হাঁড়ি আর ভাঙা খেলাসান
মুছে দিচ্ছে।

মৃত্যু, একটা ছুটন্ত ঘোড়ার দিকে তাকালো,
একটা গাছের মাথায় শান্ত গোলাপ ফুটে আছে
পেঁজামেঘ রূপ ধরছে জারিত আত্মার,
নদীর বুক থেকে দুঃখ সরে আসছে লোকপটে।

হেসে উঠলো কালপেঁচা
হেসে উঠলো ঢেউ।

সমস্ত কাঙ্খা, চূর্ণ অহং-কারু, সংঘজল, ঋদ্ধিত পাটোয়ারী, আমিষ-ঐশ্বর্যগুন, নৃত-বাহার, রতিপ্রসাদ সমেত ওই ঘোড়াটি মাঝিহীন নৌকায় চলে যাচ্ছে ওপারে।

ঘোরালো কবিতা ১২

বঁটি আমার পায়ে লেগেছে
পা যাচ্ছে স্বপ্নের ঘোরে, ঘোর থেকে উঠোনে। যেখানে বঁটি নেই।
বঁটি শব্দের পিছনে আঁশ লেগে যায়
কিছুটা পেঁয়াজ ও বাংলাভাব।

ওই আঁশবটি গনতন্ত্রকেও তাড়া করে।

আপনাদের আঁশবঁটি নেই?
জিজ্ঞেস করার পর তিনি আর এর ফলার ধারের কাছেও ঘেঁষেন না।

আসলে আঁশবটি একটা ভয়ের নাম।

বড় এক মাছ এসে চাপলো সেই আঁশবটিতে। কাটা গেলোনা।

আঁশবটি নিজেই বলে উঠলো, ” আসলে আঁশবটি বলে বলে আমার তীক্ষ্ণতা কমিয়ে দিয়েছো তোমরা “।

Facebook Comments

Leave a Reply