আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন ও তার সদস্য রাষ্ট্রের ভূমিকা – ড. বিমলেন্দু ঘোষ
সংক্ষিপ্তসার
আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বহু প্রাচীন বাণিজ্য ও বহিরাক্রমণ এই দেশের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু মানুষ আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে চলাচল করেছেন এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। বর্তমানে আফগানিস্তান একটি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ হিসাবে পরিচিত । ২০০১ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহায়তায় উত্তরাঞ্চলীয় জোট তালিবানদের পতন ঘটায়। তালিবানদের পতনের পর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ আফগানিস্তানে বহুজাতিগোষ্ঠীয় সরকার স্থাপনে উৎসাহ দেয়। ২০০৪ সালে আফগানিস্তানে একটি নতুন সংবিধান রচিত হয়। নতুন সংবিধান অনুযায়ী আফগানিস্তানে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৪ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আফগানিস্তানের প্রথম সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ২০২১ সালে উত্তরাঞ্চলীয় জোট আফগানিস্তান থেকে প্রস্থানের সিদ্ধান্ত নিলে তালিবান শাসনের পুনঃ প্রতিষ্ঠা হয়েছে । অন্যদিকে ২০০১ সালে আফগানিস্তান থেকে তালিবানদের অবসানের পরপরই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এই সংস্থা তৈরি হয়েছিল । রাশিয়া, চীন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানগণের দ্বারা সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে গভীর সামরিক বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলতে ২৪শে এপ্রিল ১৯৯৬-এ চীনের সাংহাইয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সাংহাই ফাইভ তৈরি করেছিল। ২০০১ সালে, সাংহাইতে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনটিতে পাঁচটি সদস্য দেশ প্রথমে উজবেকিস্তানকে সাংহাই ফাইভ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি করে এবং তারপরে এই সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপতিরা ২০০১ সালের ১৫ই জুন সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং উচ্চ স্তরের সহযোগিতা করার লক্ষ্য নেয় । ৯ই জুন ২০১৭, আস্তানায় একটি শীর্ষ সম্মেলনে, ভারত এবং পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্থায় পূর্ণ সদস্য হিসাবে যোগদান করেছিল। পূর্বে তালিবান শাসনের অবসান এবং মার্কিন সেনার আফগানিস্তানে প্রবেশ এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এর জন্ম – এক রকম বাস্তবতা তৈরি করেছিল । কিন্তু বর্তমানে মার্কিন সেনার প্রস্থান, আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের পুনঃ প্রতিষ্ঠা এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন কলেবর বৃদ্ধিতে এক নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। সুতরাং, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন ও তার সদস্য রাষ্ট্রের ভূমিকা কি হতে পারে আমার এই প্রবন্ধ তার উপর আলোকপাত করবে।
সূচক শব্দ: ভূ-রাজনীতি, শাসন, ব্যবসা, স্থায়িত্ব, সন্ত্রাসবাদ
ভূমিকা:
আফগানিস্তান হলো পাহাড়ি স্থলবেষ্টিত একটি দেশ। এটি ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যস্থলে একটি ভূ-বেষ্টিত মালভূমির উপর অবস্থিত। আফগানিস্তানকে অনেক সময় দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হিসেবেও গণ্য করা হয়। আফগানিস্তানের পূর্বে ও দক্ষিণে পাকিস্তান, পশ্চিমে ইরান, উত্তরে তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান এবং উত্তর-পূর্বে গণ প্রজাতন্ত্রী চীন। আফগানিস্তান শব্দটির অর্থ আফগান বা পশতুন জাতির দেশ। আফগানিস্তান একটি রুক্ষ এলাকা যার অধিকাংশ এলাকা পর্বত ও মরুভূমি আবৃত। শুধু পার্বত্য উপত্যকা এবং উত্তরের সমভূমিতে গাছপালা দেখা যায়। এখানকার গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক এবং শীতকালে প্রচণ্ড শীত পড়ে। কাবুল আফগানিস্তানের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বহু প্রাচীন বাণিজ্য ও বহিরাক্রমণ এই দেশের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহু মানুষ আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে চলাচল করেছেন এবং এদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। আফগানিস্তানে বসবাসরত সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হল পশতু জাতি। এরা আগে আফগান নামেও পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে আফগান বলতে কেবল পশতু নয়, বরং জাতি নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল নাগরিককেই বোঝায়।
আফগানিস্তানে মণি, সোনা, তামা ও কয়লা প্রাকৃতিক গ্যাসের উল্লেখযোগ্য মজুদ রয়েছে। এছাড়া পেট্রোলিয়াম ও কয়লাও এখানে পাওয়া যায়। দেশটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তামা, লোহা, বেরাইট, ক্রোমাইট, সীসা, দস্তা, গন্ধক, লবণ, ইউরেনিয়াম ও অভ্রের মজুদ আছে। বহু শতাব্দী ধরে আফগানিস্তান দুষ্প্রাপ্য ও অর্ধ-দুষ্প্রাপ্য পাথরেরও একটি উৎসস্থল, যাদের মধ্যে আছে নীলকান্তমণি, চুনি, নীলা ও পান্না।
আফগানিস্তানের খুবই সামান্য এলাকায়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উপত্যকায় কৃষিকাজ হয় । গম আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শস্য। এরপর রয়েছে যব, ভুট্টা, ধান, তুলা প্রভৃতি । আফগানিস্তান থেকে রপ্তানিকৃত দ্রব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাদাম, আঙুর ও তরমুজ কিশমিশ। অন্যান্য ফলের মধ্যে রয়েছে চেরি, ডুমুর, তুঁত ও ডালিম। আফগানিস্তানে বিপুল পরিমাণে কারাকুল ভেড়া পালন করা হয়। এছাড়া এখানে অন্যান্য জাতের ভেড়া ও ছাগল পালন করা হয়।
আফগানিস্তান প্রশাসনিক ভাবে ৩৪টি প্রদেশে বিভক্ত। প্রতি প্রদেশের নিজস্ব রাজধানী আছে। প্রদেশগুলি আবার জেলায় বিভক্ত। একেকটি জেলা সাধারণত একটি করে শহর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল নিয়ে গঠিত। ৩৪টি প্রদেশ হল- ১. বাদাখশান, ২. বাদগিস, ৩. বাগলান, ৪. বাল্খ, ৫. বামিয়ান, ৬. দাইকুন্ডি, ৭. ফারাহ, ৮. ফারিয়াব, ৯. গজনি, ১০. ঘাওর, ১১. হেলমান্দ, ১২. হেরাত, ১৩. জোওয্জান, ১৪. কাবুল, ১৫. কান্দাহার, ১৬. কাপিসা, ১৭. খোস্ত, ১৮. কুনার, ১৯. কুন্দুজ, ২০. লাগমান, ২১. লোওগার, ২২. নানকারহার, ২৩. নিমরুজ, ২৪. নুরেস্তান, ২৫. ওরুজ্গান, ২৬. পাক্তিয়া, ২৭. পাক্তিকা, ২৮. পাঞ্জশির, ২৯. পারভান, ৩০. সামাংগান, ৩১. সারে বোল, ৩২. তাখার, ৩৩. ওয়ার্দাক, ৩৪. জাবুল।
১৯শ শতাব্দীতে আফগানিস্তান ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যকার দ্বন্দ্বে মধ্যবর্তী ক্রীড়নক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৭৩ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে সামরিক কর্মকর্তাগণ রাজার পতন ঘটান এবং প্রজাতন্ত্র গঠন করেন। ১৯১৯ সালে তৃতীয় ব্রিটিশ-আফগান যুদ্ধশেষে আফগানিস্তান যুক্তরাজ্য থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিপ্রায়ে ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েতরা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় এবং এর সাথে সাথে দেশটিতে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে তালিবান নামক একটি ইসলামিক গোষ্ঠী কাবুলের দখল নেয়। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং ২০০১-এর শেষে তালিবানদের উৎখাত করে। ২০০৪ সালে আফগানিস্তানের সংবিধান নতুন করে লেখা হয় এবং একটি রাষ্ট্রপতি-ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা চালু হয়। ২০২১ সালে উত্তরাঞ্চলীয় জোট আফগানিস্তান থেকে প্রস্থানের সিদ্ধান্ত নিলে তালিবান শাসনের পুনঃ প্রতিষ্ঠা হয়েছে ।
অন্যদিকে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ৮টি এশীয় রাষ্ট্রের সম্মিলিত জোট যা মূলত আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতাকে উদ্দেশ্য করে গঠিত হয়েছে। যদিও এই সংস্থা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অনেক আগে । রাশিয়া, চীন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানগণের দ্বারা সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে গভীর সামরিক বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলতে ২৬ শে এপ্রিল ১৯৯৬ এ চীনের সাংহাইয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সাংহাই ফাইভ গ্রুপিং তৈরি করা হয়েছিল। ২৪শে এপ্রিল ১৯৯৭-তে একই দেশগুলি রাশিয়ার মস্কোয় একটি বৈঠকে সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে সামরিক বাহিনী হ্রাস সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। পাশাপাশি ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে রাশিয়া, চীন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানগণ মিলিত হয়েছে সমস্যা সমাধানের জন্য, সাথে সাথে পারস্পারিক বোঝাপড়া ও বিশ্বাস আরও দৃঢ় হরেছে ।
২০০১ সালে, সাংহাইতে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনটিতে পাঁচটি সদস্য দেশ প্রথমে উজবেকিস্তানকে সাংহাই ফাইভ মেকানিজমের অন্তর্ভুক্তি করায় তারপরে ছয় দেশের রাষ্ট্রপতিরা ২০০১ সালের ১৫ ই জুন সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং এটিকে উচ্চ স্তরের সহযোগিতায় রূপান্তর করার লক্ষ্য নেয়, জন্ম হয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন। রাশিয়ার উফায় জুলাই ২০১৫ সালে সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানকে পূর্ণ সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তি করার। উভয়ই জুন ২০১৬ সালে তাজখন্দ, উজবেকিস্তানে বাধ্যবাধকতার স্মারক স্বাক্ষর করেছিলেন, যার ফলে সংস্থায় পূর্ণ সদস্য হিসাবে যোগদানের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৯ জুন ২০১৭, আস্তানায় একটি শীর্ষ সম্মেলনে, ভারত এবং পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্থায় পূর্ণ সদস্য হিসাবে যোগদান করে। এই সংস্থার ৪টি পর্যবেক্ষক দেশ আছে । যেমন-আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান এবং মঙ্গোলিয়া । তাছাড়া এই সংস্থার ৬টি মতবিনিময় অংশীদার- আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং তুরস্ক রয়েছে । সর্বোপরি এই সংস্থার ৪টি অতিথি রাষ্ট্র রয়েছে । যেমন- আশিয়ান, কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস, সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ এবং তুর্কমিনেস্হান । এই সংস্থাটি জনসংখ্যা ও ভৌগলিক দিক দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থা এবং বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক এই সংস্থার অধীনে বসবাস করে ।
এই সংস্থার মূল লক্ষ হল: এই অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও প্রতিবেশিসুলভ মনোভাবকে মজবুত করা এবং সেই সঙ্গে রাজনীতি, ব্যবসা, অর্থনীতি, গবেষণা, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবহন, পর্যটন, পরিবেশরক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে কার্যকরী সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, এই অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিরতা নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা গ্রহণ করা এবং একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ এবং যৌগিক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষে অগ্রসর হওয়া । সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও ইসলামিক র্যা ডিকালিজম প্রশমন করাও এই সংস্থার অন্যতম মূল লক্ষ । এই উদ্দেশ্যে Reg। onal Ant। -Terror। st Structure (RATS) তৈরি করেছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সমন্বয়, যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এবংযার সদর দপ্তর তাসখন্দে অবস্থিত । এই উদ্দেশে সদস্য দেশগুলি নিয়মিত যৌথ সামরিক অভ্যাস করে ।
আফগানিস্তান সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ । কারণ আফগানিস্তানের সঙ্গে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের চারটি দেশের (Ch। na, Pak। stan, Taj। k। stan, and Uzbek। stan) সীমান্ত সম্পর্ক রয়েছে এবং অন্য চরটি দেশ(Russ। a, । nd। a, Kazakhstan, and Kyrgyzstan) খুব কাছের । তাই জন্মলগ্ন থেকেই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন আফগানিস্তান সম্পর্কে সচেতন ছিল । ২০০৫ সালে আফগানিস্তান-সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন যোগাযোগ গোষ্ঠী তৈরি করা হয় যার মাধ্যমে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন-এর সদস্যগুলি আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও স্থিরতায় অংশগ্রহণ করত। ২০১২ সালে আফগানিস্তান সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পর্যবেক্ষক দেশ এর স্বীকৃতি লাভ করে। ২০১৫ সালে কাবুল সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন-এ পূর্ণাঙ্গ সদস্যর জন্য আবেদন করে। ২০০২ সালে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে বলে যে, “The SCO member-states fully support the measures prov। ded by Un। ted Nat। ons Secur। ty Counc। l (UNSC) Resolut। ons 1373, 1377, 1383 and 1386 and engage । n full-scale cooperat। on w। th the Counterterror। sm Comm। ttee of the SC, establ। shed by Resolut। on 1373. …. আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ আফগানিস্তান যেখানে সমস্ত মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করবে; প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে” । ২০২১ সালে উত্তরাঞ্চলীয় জোট আফগানিস্তান থেকে প্রস্থানের সিদ্ধান্ত নেয় । এই পেক্ষাপটে, ২০২১ সালের ২৬শে আগস্ট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সচিবালয় এক বিবৃতে উল্লেখ করে যে, “The SCO member states reaff। rm the। r comm। tment to help Afghan। stan bu। ld a peaceful, stable and prosperous country free from terror। sm, warfare and drugs.” বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, “The SCO member nat। ons expressed the। r read। ness to take part । n । nternat। onal efforts toward Afghan। stan’s stab। l। sat। on and development, w। th the Un। ted Nat। ons play। ng the central coord। nat। ng role.”
মার্কিন সেনার প্রস্থানের পর এবং তালিবানরা নিজেদের স্বঘোষিত সরকারের ঘোষণার পর যে নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেখানে যে সমস্ত আঞ্চলিক শক্তি ও আঞ্চলিক সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে তারা হল: রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, সার্ক এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন । সার্কের মাধ্যমে বর্তমানে আফগানিস্তানে কোন ভূমিকা পালন সম্ভব নয় কারণ সার্কের সদস্য দেশ গুলির মধ্যে আফগানিস্তানের নতুন সরকারের স্বীকৃতি নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে । এই মত পার্থক্য আরও স্পষ্ট হয়েছে সম্প্রতি সার্কের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যা ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২১, হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল হয়ে যায় ।
এই পেক্ষাপটে আঞ্চলিক শক্তিগুলি যেমন, রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইরানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ২০২১ সালের ১১শে সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থানের পর রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান এবং ইরান খুবই খুশি । কারণ তারা এই অঞ্চলে মার্কিন সেনার উপস্থিতিকে ভালো চোখে দেখে না । রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং উত্তরাঞ্চলীয় জোটের সংযত করা বা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় । তাই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থানে রাশিয়া বাস্তবিকই খুশি । তাছাড়া মধ্য এশিয়ার দেশগুলি যাকে রাশিয়া নিজের অঙ্গ বলে মনে করে এবং যাদের অনেকের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত সম্পর্ক রয়েছে, সেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থান রাশিয়া কে মধ্য এশিয়া সম্পর্কে উদ্বেগহীন করেছে । অন্যদিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থান চীনের পশ্চিম সীমান্ত নিরাপদ হয়েছে। এমনিতে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা পরিবৃত: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত কোরিয়া উপদ্বীপ দ্বারা, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত ফিলিপাইন দ্বীপ, সিঙ্গাপুর এবং তাইওয়ান দ্বারা এবং পশ্চিম সীমান্ত আফগানিস্তান দ্বারা। ফলত, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থানে চীনের পশ্চিম সীমান্ত নিরাপদ হয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা চীন পরিবৃত সীমান্ত কিছুটা হলেও কমেছে । ইরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈরি সম্পর্ক সর্বজন বিদিত। ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত সম্পর্ক রয়েছে। তাই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থানে ইরান স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থানে পাকিস্তানও খুশি। কারণ এর ফলে পাকিস্তান ইসলামিক বিশ্বের সঙ্গে একাত্মতা দেখাতে সক্ষম হল। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থান ভারতের কাছে জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। ভারত আফগানিস্তানে যে উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে যে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করছিল তা বাধাপ্রাপ্ত হবে ।
তবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থান এই অঞ্চলের দেশগুলির সামনে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ, ইসলামিক র্যা ডিক্যালিজম ও মাদক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। মনে রাখা দরকার আফগানিস্তান বিশ্বের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ, ইসলামিক র্যা ডিকালিজম ও মাদক দ্রব্যের অন্যতম উৎস স্থল। এই অঞ্চলের দেশগুলি কমবেশি সন্ত্রাসবাদ, ইসলামিক র্যা ডিকালিজম ও মাদক সমস্যা দ্বারা আক্রান্ত। রাশিয়ায় Chechens, Tatans, Tuvans এই সমস্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি সক্রিয় । মাদক চোরাচালানে রাশিয়া ক্ষতিগ্রস্ত । Viktor Ivanov, Federal Drug Control Service Director, এর মতে “Drug flows from Afghanistan already pose a serious threat to Russia, where 156000 young Russian die annually from drug addiction and where about 1.5 million people are addicted to heroin.” চীনও সন্ত্রাসবাদ, ইসলামিক র্যা ডিকালিজম ও মাদক সমস্যায় আক্রান্ত। চীনের Xingjian Autonomous Region East Turkestan movement দ্বারা আক্রান্ত। তাছাড়া তিব্বত এবং তাইওয়ান নিয়েও সমস্যা রয়েছে। ভারত কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে এবং ভারতে মাদক দ্রব্যের চোরাকারবারিরা সক্রিয়। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মদত দিলেও নিজে সন্ত্রাসের কবল থেকে মুক্ত নয় মাদক দ্রব্যের চোরাকারবারিরা পাকিস্তানেও সক্রিয়। পাশাপাশি ইসলামিক র্যা ডিকালিজম সংক্রান্ত সমস্যাও পাকিস্তানে রয়েছে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলি অর্থাৎ কাজাখিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্হান এবং তুর্কমিনেস্হান সন্ত্রাসবাদ, ইসলামিক র্যা ডিকালিজম ও মাদক দ্রব্যের চোরাকারবার সমস্যায় জর্জরিত। মধ্য এশিয়ায় Islamic Renaissance Party (IRP), The Islamic Movement of Uzbekistan (IMU), Hizb-ul-Tahrir (HT) প্রভৃতি জঙ্গি সংগঠনগুলি সক্রিয়। ইরান সন্ত্রাসবাদ, ইসলামিক র্যা ডিকালিজম ও মাদক দ্রব্যের চোরাকারবার সমস্যায় জর্জরিত। বস্তুত, এই অঞ্চলের দেশগুলি এমনিতেই সন্ত্রাসবাদ, ইসলামিক র্যা ডিকালিজম ও মাদক সমস্যা ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত। এই প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তানে অস্থিরতা এই অঞ্চলের দেশ গুলির সমস্যাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
বর্তমান আফগানিস্তান পরিস্থিতিতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এবং তার সদস্য দেশগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আফগানিস্তান সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এর পর্যবেক্ষক দেশ এবং পূর্ণাঙ্গ সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এবং তার সদস্য দেশগুলি আফগানিস্তানে রাজনৈতিক স্থিরতা প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে। এক্ষেত্রে আফগানিস্তানের সকল স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক মূলক সরকার গঠন কে সুনিশ্চিত করতে হবে। এরপর আর্থিক উন্নয়ন এবং পুনর্গঠনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যদিও এই কাজ করা খুবই কঠিন ব্যাপার। কারণ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সদস্য দেশ গুলির মধ্যে অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে:
প্রথমত; রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে মধ্য এশিয়ায় তথা আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক উন্নতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের ভূমিকার বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। রাশিয়া সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনকে উত্তরাঞ্চলীয় জোট (NATO) বিকল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। অন্যদিকে চীন কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনকে উত্তরাঞ্চলীয় জোট (NATO) বিকল্প হিসাবে না দেখে নিবিড় আর্থিক সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চায়।
দ্বিতীয়ত; চীন এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া চীন ভারত কে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। চীনের Belt and Road Initiative যার মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করতে চায়- এই বিষয়ে ভারতের আপত্তি আছে। কারণ Belt and Road Initiative বিতর্কিত POK উপর দিয়ে গিয়েছে যা ভারত নিজের অংশ বলে মনে করে।
তৃতীয়ত; ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা রয়েছে মূলত কাশ্মীর কে কেন্দ্র করে এবং ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য পাকিস্তান অনেক অংশে দায়ী।
চতুর্থত; মধ্য এশিয়ার দেশ গুলির মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের অংশীদার এবং জাতিগত বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে।
পঞ্চমত; ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের শীতলতা এবং পাশাপাশি Quadri lateral Security Dialogue (QUAD)-কে প্রাসঙ্গিক করে তোলার প্রয়াস বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
সুতরাং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সদস্য দেশ গুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তাছাড়া সদস্য দেশ গুলির আফগানিস্তানে উদ্দেশ্যগত দিক থেকে পার্থক্য আছে। রাশিয়া, ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলি আফগানিস্তানে শান্তি, স্থিতিশীল সরকার এবং উন্নততর আফগানিস্তান চায়। চীন আফগানিস্তানে তার বাণিজ্যিক স্বার্থ কে বেশি প্রাধান্য দেয়; যেহেতু আফগানিস্তান প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। অন্য দিকে পাকিস্তান আফগানিস্তানে একটি ভারত বিরোধী সরকার তৈরি করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আরও বেশি মদত দিতে চায়। ফলে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সদস্য দেশ গুলি ঐক্যবদ্ধ ভাবে আফগানিস্তানে সকল সমস্যায় ভূমিকা নেবে সেই আশা ক্ষীণ।
উপসংহার:
ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে আফগানিস্তানের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া-ইউরোপের যোগাযোগ স্থাপনে অন্যতম দেশ। কিন্তু এই দেশটিতে অস্থিরতা নিত্য সঙ্গী এবং এই প্রবণতা এখনো বর্তমান। ২০২১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার প্রস্থানের পর তালিবানরা আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেছেন। কিন্তু নতুন সরকারে মোল্লা মহম্মদ ইয়াকুব বনাম সিরাউদ্দিন হাক্কানির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জন্য একমাস অতিক্রান্ত হলেও নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠান হয়নি। তাছাড়া নতুন সরকারের অনেকেরই জঙ্গি তালিকায় নাম রয়েছে। সর্বোপরি নতুন সরকারের কোন মহিলা প্রতিনিধি নেই। তাই বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তালিবান সরকার কে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। ফলত আফগানিস্তানে অস্থিরতা কাটার সম্ভাবনা এখন নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলি এককভাবে আফগানিস্তানের সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। আবার সার্কের মাধ্যমে বর্তমানে আফগানিস্তান সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এই প্রেক্ষাপটে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন আফগানিস্তানের সমস্যার সমাধান করতে পারে। যদিও এই সংস্থার সদস্যদের মধ্যে অনেক মত পার্থক্য রয়েছে তথাপি কিছু ক্ষেত্র আছে যেমন; সন্ত্রাসবাদ দমন, ইসলামিক র্যা ডিকালিজম রোধ, মাদক সমস্যার সমাধান, উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতা, বহুদলীয় সরকার গঠনের অঙ্গিকার প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এবং তার সদস্য দেশ গুলি আফগানিস্তানে স্থিরতা, শান্তি এবং উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
তথ্যসূত্র:
Isabelle Facon, (2013) Moscow’s Global foreign and security strategy: Does the Shanghai Cooperation Organization Meet Russian Interests? Asian Survey, Vol.53, No. 3, pp.461-483.
Anna Larson, (2015) Political Parties in Afghanistan, US Institute of Peace.
Alex Vatanka, (2017) Iran’s Bottom Line In Afghanistan, Atlantic Council.
Zachary Constant। no, (2020) The India-Pakistan Rivalry in Afghanistan, US Institute of Peace.
Rajeev Agarwal, (2014) Post Afghan। stan 2014: Options for India and Iran, Institute of Peace and Conflict Studies.
P Kr। shna Mohan Reddy, (October-December, 2013) Afghan। stan’s Pol। t। cal Future Relat। ons w। th Ch। na and Shangha। Cooperat। on Organ। sat। on, The Journal of । nternat। onal । ssues, Vol. 17, No. 4, pp. 130-147.
Joseph Y. S. Cheng , (March/Apr। l 2015) The Afghan। stan S। tuat। on and Ch। na’s New Approach to the SCO, As। an Survey, Vol. 55, No. 2, pp. 346-370.
Humayun Ham। dzada and R। chard Ponz। o , (2019) Central As। a’s Grow। ng Role । n Bu। ld। ng Peace and Reg। onal Connect। v। ty w। th Afghan। stan, US । nst। tute of Peace.
Thomas Eder, (2018) Ch। na’s March West: Emergence । n Central As। a and Afghan। stan, Federal Academy for Secur। ty Pol। cy.
Angela Stanzel, (2018) Fear and loath। ng on the New S। lk Road: Ch। nese secur। ty । n Afghan। stan and beyond, European Counc। l on Fore। gn Relat। ons.
Hugo Chéné, (2015) Ch। na । n Afghan। stan : Balanc। ng Power Project। on and M। n। mal । ntervent। on, । nst। tute of Peace and Confl। ct Stud। es.
Suleman Yousaf, (W। nter 2011 & Spr। ng 2012)Afghan। stan’s reconstruct। on and the । nternat। onal commun। ty, Strateg। c Stud। es , Vol. 31/32, Vol. 31, no. 4/Vol. 32, no. 1, pp. 19-34.
Adam Saud and Azhar Ahmad, (2018) Ch। na’s Engagement । n Afghan। stan: । mpl। cat। ons for the Reg। on, Pol। cy Perspect। ves, Vol. 15, No. 1, pp. 127-138
M। r Sherbaz Khetran, (Summer 2019) SCO Membersh। p and Pak। stan, Strateg। c Stud। es, Vol. 39, No. 2, pp. 83-95.
Rajan Jha , (Otober-December-2015) । nd। a–Afghan। stan Strateg। c Relat। ons । n The Post-Tal। ban Per। od, World Affa। rs: The Journal of । nternat। onal । ssues, Vol. 19, No. 4, pp. 92-107.
Ang। ra SenSarma, । nd। a and Central As। a: Redef। n। ng energy and trade l। nks, Pentagon Press, 2010.
Afghan। stan, Th। rd Way, 2019 & 2020.
Sangbadprat। d। n, 22 September, 2021.
E। samay, 22 September, 2021.
Shangha। Cooperat। on Organ। sat। on, https://en.w। k। ped। a.org/w। k। /Shangha। _Cooperat। on_Organ। sat। on, Accessed on 15/09/2021.
http://eng.sectsco.org/
SCO beg। ns । n Dushanbe: How th। s e। ght-member body can help shape Afghan। stan’s future , https://www.f। rstpost.com/world/why-sco-can-play-an-। mportant-role-। n-shap। ng-out-afghan। stans-future-9943681.html, Accessed on 15/09/2021.
[লেখক – সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, কাঁচরাপাড়া কলেজ, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ।]
Posted in: ARTICLE, September 2021 - Cover Story