জিয়া হক-এর কবিতা
উপবেশনের প্রকারভেদ
ক.
রাস্তার ধারে ধারে যে গাছ হয়েছে তাকে আহার করতে হবে ধুলো।
গোসল করিয়ে, মুছিয়ে কে দেবে ঐ ডাল, ঐ পালা?
তাদের সম্মানে পথচারী, গৃহবাসী, বাসযাত্রী, সাইকেলারোহী
থুতু রেখে যায়
পরবর্তীতে থুতুই পানীয়।
কিন্তু অপরের? অ-পরের মানে তো নিজের
নিজেই নিজেরে মাখো, চেখে চেখে ডাকো, এখন
দিকে দিকে উৎসব, চৌধারে আচার–
ফলের, জলপাইয়ের, কামরাঙার সে আচার নয়
এটা আচরণ–মানে যে বন্দনায় শুধু চরণ রয়েছে।
তাও কি সত্যি হল?
খ.
পেলাস্টিকের পর্দা উড়িয়ে শিশুদের সালাম–
তোমাদের হাসিগুলি নিলাম করে উদ্বৃত্ত হল আধুলি।
এই ধূলিমলিন মনের মধ্যে জায়গা এত সংক্ষেপ যে,
দু’জনের আসন পড়ে না।
আপনি চেয়েছেন সকলে মুগ্ধ হয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মতো–
বসে থাকুন টেবিলের ধারে।
কিছু চোখ থেকে বর্ষা নামবে ফুলের, ফুল থেকে
গন্ধ দেবে সিঁড়ি–আপনার পা ডালে ডালে উবে চলে যাবে।
এ গ্রন্থের অধ্যায়গুলি ছবিহীন, সংজ্ঞাতিরিক্ত–
আমাদের সেগুলোই ভাল লাগে কেন?
লেখকের মুক্তি আছে, অধ্যাপকের মুক্তি নেই।
পাঠ্যাংশের অনেকটা জুড়ে যদিও ‘মুক্তি’।
আস্থাবান, ঐ চোখের মুগ্ধতার টেক্সট পড়া এবার বন্ধ করুন প্রিয়।
সামাজিকতায় লাজুকতা থাকলে সমস্তটাই
পরতন্ত্রে চলে যায়
Posted in: August 2021, POETRY