সৌরভ বর্ধন-এর কবিতা
পার্থেনোকার্পি
১.
কানের মস্তক খাওয়া হাঁসফাঁস
ধানভানা কোঁখের স্থলে উঁকি মারো
উঁকি মারো পরিযায়ী তাঁবু
প্রধান প্রধান গুহ্যদ্বারে ভেসে মৌরলা প্রাণের হৃদি
যেন আচম্বিতে প্রসবিনী হবেন মৃত্তিকায় ——-
আর প্রিয় নিঃস্ব হারিয়ে ফেলবো আমরা, দেখিবো
সুউচ্চ পট্টবাস খুলে মাথাচারা দিয়েছে বীজধান…
নিকটস্থ কোনো শ্মশানের শবধোয়া আলোতে
আমাদের সরলবর্গীয় হৃদয় ——
আরও কদিন দাঁড়িয়ে থাকবে শরীর, একটি পুরনো মথ
সদ্য পবিত্র হওয়া হাড়গোড় ধুয়ে যাবে সে পথে
যে পথে অনেক জল হারিয়েছে রেখা; একদিন
রেখারাও সচল হবে ——
আমি অস্থির শাবকের আশায় হাঁ করে আছি
জলের অভ্যন্তরে আঁশটে গন্ধ গুলিয়ে উঠছে মাটি
পিপাসা এবং গড়িয়ে পড়ছে স্বেদ…
নির্মোহ শব্দের ডিম নিয়ে ধূসর ডাঁশের দল
আমাকে এখনি নির্বাক করে দেবে তারা ——
২.
আসন্ন প্রতিরোদ গড়ে তোলা শেষ।
দু’দলা শ্লেষ্মা নিয়ে এখন মাতিয়ে রাখো ফনা
বঙ্গদেশে বর্ষা নেমেছে, ব্যবধান খুব অ্যালোভেরা।
ফলে ফিনকি ভেঙে জাগিছে ভাদ্রমাস —–
কাম ও গুল্ম কবলিত এলাকায়
আমি পোতাশ্রয় সাজিয়ে রেখেছি, নিদ্রাহীন
সন্ধি ও বিচ্ছেদের মাঝে ম্যারিনেট করেছি বীজ।
অতঃপর, হাতের মধ্যে
জেগেছে অপটিক নার্ভ, সর্পের পুংকেশর —-
অথচ চক্ষুপটহ ছিঁড়ে বর্ণাঢ্য পিচুটি হাসিতেছে
যেন হাঁটিতেছে রঙিন স্বপ্নের লবণাম্বুরাশি
যেন থ্রি-টায়ার সড়কের প্রান্তে দাঁড়িয়ে
আছে প্রমাণিত আর আবছায়া
আছে সন্দেহাতীত শব্দের মিম!
ঘামের রেশন মেপে আমি
দেখি সেই হাতছুট্ পাপের ভেতর জানকারি
আটকে আছে গুহামুখে ফাঁদ —–
কিন্তু আবহাওয়া এমন
মনে হচ্ছে কাছেই কোথাও বৃষ্টি হয়েছে এখনি —–
৩.
হাত কেঁপে উঠতে পারে শুষ্কতা দেখে
শ্বাসকাজ ঘেমে যেতে পারে নৈরাশ্যে
তবু এই উজ্জ্বল স্বপ্নের আক্রমণে জেগে ওঠো জীবন
আবর্জনা স্তূপ হয়ে থাক অদৃষ্টে ——
আমাদের প্রাচীন পিতার বুক পাথর হয়ে আছে
বিশুদ্ধ জলের পার্সেল নিয়ে
মাছ জেগে আছে চোখে
খুব দামি সংস্কার তাঁর গলগণ্ডে টাঙানো
তিনি নির্মম শৌচাগারের প্রতিভূ, তিনি
কত সাধারণ উপায়ে ছেপেছেন আমার কন্ঠস্বর
আমি অভিভূত ——
আমার মিথুন ছায়াপথ জানে সেই রোল
যে উঠেছিল ভাটার সময়, নদীর চূড়াতে
পা হো হো করে আছড়ে পড়েছিল লাভা
—— এসব কথা আমি কাকে বলব এখন
আমার হাতে তো তেমন কোনো গাছ নেই
নেই কোনো পোষ্য নিঃশ্বাস। তাই নিষিদ্ধ ফসলের প্রতি
এই যে ঘেন্নার পিত্তি মাখানো এক পার্থেনোকার্পি
আমরা গোছাচ্ছি দিনরাত, আমি তাকেও
রেখেছি লেখায়, দেখেছি সুনিপুণ তার জীবন
বীজহীন ফলের মতন বাড়ছে নৃতত্ত্বের বইয়ে…
Posted in: August 2021, POETRY