মহাদেব নাথ-এর কবিতা
নামহীন কবিতা
১)
বাড়ি ফিরে যাওয়ার কোনো তাড়া ছিল না আমার
শুধু শুধু চাঁদ এঁকে সময়কে হেলিয়ে দিয়েছিলাম নষ্টের দিকে
সাঁতার শেখার অনাগ্রহ নিয়ে ফিরে গেছে নদী
চোখ জুড়ে শুধু মাছ আর মাছ
কেমন যেন অন্ধকার অন্ধকার লাগে
নিজের এই ব্যস্ততায় জেগে থাকে একজোড়া জুতো
আমি পা বদলে ফেলি
ঘাসের আশেপাশে মায়ের অনুচ্ছেদ
চোখ বুজে দেখি ফেলি স্রোতের আঁকুতি
মা নিজেকে ব্যথা দেয়
কোথাও তার হদিশ নেই
এই একটু আগে যে পাতাটি ভেবেছিল গানের কথা
মা তাকে কী সুন্দর সন্ধ্যা বানালো
আমি ধুলো ধূসরিত একটি ভুল বানান
তবুও গাছের গায়ে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে রাত
সেসব এখন আত্মভোলা এক গোপন
যাদের বারান্দায় শুধু আলো হয়ে ঘুমিয়ে থাকে মা
আমি নিজেই নিজেকে ছায়া বানাই
উপযুক্ত যেকোনো শব্দের অভাবেই
শুকিয়ে যায় আঁচল
বিকেলের রোদে ঢুকে পড়ছে অন্ধকার
শশ্মান ফেরতা এক শশ্মানযাত্রীর দিকে
তাকিয়ে বুঝে ফেলছি
আবার বর্ষা হবে
মৌসুমী ভেলায় ভেসে যাচ্ছে আয়না
২)
না ফেরার আকুতিই লিখিয়ে নিয়েছে
অনাবৃত এই মাশরুম
তবুও জানালা খুলে যায়
আশেপাশে কত অজানা রোদের ছিটেফোঁটা
নিজেকে হাল্কা লাগে
পরিচিত এই অভ্যাস
অনেক আগেই শেষ হয়ে আসা একটা ঈগল
যেন সেই অভিনীত কাঙ্খিত পুরুষ
পুড়ে যাচ্ছে পথ ঘাট
তাপহীন সদর ফলক
আর কিছু খুচরো মানুষ
নিজের চোখ থেকে তুলে নিচ্ছে আলো
অন্ধকার দিয়ে সেতু বানানোর পর
বুঝেছিলাম
নীরব আসলে একটা দর্শক
হাততালি দেয় চিৎকার করে
কিন্তু শুনতে গেলেই সে শুষে নেয় শব্দের মহিমা
ভাঙাচোরা এইসব দরজার কাছ থেকে ভাঙাচোরা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না
তাই তারা চলে গেছে নদী আনতে
আর ঘরে ঘরে রেখে গেছে সংক্ষিপ্ত
Posted in: August 2021, POETRY