স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী ও আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা : খগেন্দ্রনাথ অধিকারী ও ভ্রান্তি অধিকারী

২০২১ সাল হল স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তির সাল: ইংরেজদের নাগপাশ থেকে ভারতবাসীর শৃঙ্খল মোচনের হীরক জয়ন্তীর সাল। এই সালে দাঁড়িয়ে আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে যে পৌনে এক শতাব্দীকাল আগে স্বাধীনতা লাভ করলেও আমাদের দেশের জনগণের ব্যক্তি স্বাধীনতার চেহারাটা কি? গোড়াতেই বলে রাখা দরকার যে স্বাধীনতা কথাটি বহুল প্রচলিত হলেও, অনেকেই এই শব্দটিকে ইচ্ছামত ব্যবহার করছেন। অনেকের মতে, স্বাধীনতা হল ইচ্ছামত কাজ করার অধিকার। নৈরাজ্যবাদী চিন্তাবিদরা, অর্থাৎ প্রুধোঁ, বাকুলিন প্রমুখ চিন্তাবিদরা স্বাধীনতা সম্পর্কে এই তত্ত্ব দিয়েছেন। আমাদের দেশে গান্ধীজীও এই বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি দিয়েছেন।
বলা বাহুল্য যে সুস্থ সমাজ জীবনের সঙ্গে স্বাধীনতা সম্পর্কে নৈরাশ্যবাদী তত্ত্ব সম্পূর্ণরূপেই সংগতি বিহীন। তার কারণ হল এই যে মানুষ হল সমাজবদ্ধ জীব। সমাজের বাইরে গিয়ে কোন মানুষই বাঁচতে পারে না। সমাজে একজনের জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পত্তি অন্যের জীবন-স্বাধীনতা ও সম্পত্তির দ্বারা নির্ভরশীল। অর্থাৎ স্বাধীনতা কখনোই অবাধ, অসীম ও সর্বব্যাপী হতে পারে না। সমাজের বৃহত্তর অংশের মানুষের কল্যাণ সাধনের জন্য স্বাধীনতা আপেক্ষিক হতে বাধ্য। হতে বাধ্য সসীম।

অন্যভাবে বলতে গেলে বলা চলে যে, স্বাধীনতার অধিকার বিশ্বের কোন দেশেই নিয়ন্ত্রণ বিহীন নয়। আমরা যদি বিশ্বের বিভিন্ন উদারনৈতিক গণতন্ত্রের কথা ধরি, তাহলে দেখা যাবে যে কি আমেরিকা, কি কানাডা, কি অস্ট্রেলিয়া, কি জাপান বিশ্বের সকল উদারনৈতিক গণতন্ত্রের দেশেই স্বাধীনতার অধিকারের উপর অজস্র নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আমাদের দেশের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে যে মৌলিক অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আমরা সেখানেও লক্ষ্য করি যে মৌলিক অধিকারের উপর “reasonable restrictions” বা যুক্তিযুক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা বলা হয়েছে। জনস্বার্থে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, নৈতিকতা, ইত্যাদির তাগিদে রাষ্ট্র এই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে।

আমাদের দেশের নাগরিক অধিকার রক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে বহুল আলোচিত UAPA বা Unlawful Activities Prevention Act –এর রয়েছে নাড়ীর যোগ। পৃথিবীর সমাজতান্ত্রিক—অসমাজতান্ত্রিক নির্বিশেষে সকল দেশের সাংবিধানিক ও আইনগত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে সব ব্যবস্থাতেই অস্বাভাবিক অবস্থার মোকাবিলার জন্য অর্থাৎ অন্তর্ঘাত, অগ্নিসংযোগ, ইত্যাদি যে আইনি ও দেশদ্রোহী কাজ কর্ম বন্ধ করবার জন্য বিশেষ আইনি ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশেও এই ধরণের ব্যবস্থা পরাধীন ভারতে ইংরেজ আমলেও ছিল এবং স্বাধীন ভারতেও রয়েছে। “Unlawful Activities Prevention Act” হল এই ধরনের ব্যবস্থাদির অন্যতম।

ইংরেজ আমলে আমাদের দেশে অজস্র কালা কানুন তৈরি হয়েছে। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখার নামে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পরে এবং ১৮৫৮ সালে এদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনভার অবসান ঘটিয়ে সরাসরি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে শাসন চালু হলে, ব্রিটেনের সংসদ এদেশে ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য একের পর এক কালা কানুন তৈরি করে এবং সেই সব আইনে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কণ্ঠরোধ করে। উল্লেখ্য যে, বিংশ শতাব্দীর গোড়া থেকে আমাদের দেশে বিশেষ করে অবিভক্ত বাংলায় এবং পাঞ্জাবে ও মহারাষ্ট্রে “Revolutionary Terrorism” বা বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদ মাথা চাঁড়া দেয়। এটাকে দমন করার জন্য কার্জন ১৯০৪ সালে “Official Secrets Act” চালু করেন। আধিকারিকরা এই আইন বলে কাউকে কিছু কারণ না দর্শিয়ে বিনা বিচারে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আটক করতেন। আমাদের দেশের “যুগান্তর” ও “অনুশীলন” গোষ্ঠীর বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করে তাদের কণ্ঠকে রোধ করার চেষ্টা করা হয়। ঐতিহাসিক আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলা হয়েছিল এই আইনে: এই আইন বলেই উল্লাসকর দত্ত ও বারীন ঘোষের ফাঁসি হয়।

এর পর ১৯১৫ সালের “Defence of India Act” ছিল আর এক ধাপ এগোনো কালাকানুন। এই আইনে নির্বিচারে অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, ভারত ছাড় আন্দোলন ইত্যাদি আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারীদের আটক করা হয় এবং বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেলে আটক রাখা হয়। বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী জেলেই করেছেন প্রাণ ত্যাগ।

পৃথিবীর সমস্ত দেশেরই অভিজ্ঞতা হল অনুরূপ। উদার গণতন্ত্রের তীর্থ বলে যারা এত গর্ব করে, সেই ব্রিটিশ প্রশাসনের দানবীয় চরিত্র তো আমরা দেখলাম। খোলা হাওয়ার আর এক উমেদার আমেরিকাও এ ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রণী। কৃষাঙ্গ মানুষদের কণ্ঠকে বারে বারে রুদ্ধ করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের কাঁটা তারে। বর্তমানে বর্ণ বৈষম্যবাদ আমেরিকায় সেভাবে আর নেই। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষরা ধর্ম নির্বিশেষে আজ ঐক্যবদ্ধ। সম্প্রতি কৃষ্ণকায় নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু ও মার্কিন শেতাঙ্গ পুলিশদের পাশবিক আচরণ, মুসৌরী মিসিসিপির কূলে শ্বেতকায় কৃষ্ণকায় উভয়কায় মানুষদেরকে একাকার করেছে গণ আন্দোলনের রাজপথে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নসহ গোটা সমাজতান্ত্রিক দুনিয়াতে, গণতন্ত্র মানব আসার ইত্যাদি কিছুই নেই বলে যারা তারস্বরে এতদিন চিৎকার করত এবং বোলত যে কেবলমাত্র তাদের ওখানেই মানব অধিকারের পারাবত নিরাপদ, সেই মার্কিন দুর্গেই “কণ্ঠ আজিকে রুদ্ধ” সবার, “বাঁশী সংগীতহারা”। গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের ভাষাকে জাতীয় প্রতিরক্ষা আইনের ঘেরাটোপে অবরুদ্ধ করা হচ্ছে। সুখের কথা হল যে, মার্কিন ধনকুবেররা সাম্রাজ্যবাদের শিরোমণি হলেও আমেরিকায় আজও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা নয়া উপনিবেশবাদ, বর্ণবৈষম্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরোধী। তাই তাঁরা আজ প্রতিবাদে উত্তাল, উত্তাল, উদ্দাম, চিকাগো, ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাসের রাজপথ।

আমাদের দেশ ভারতবর্ষে নব কলেবরে গণকণ্ঠরোধকারী বিধি “Unlawful Activities Prevention Act” নামে ১৯৬৭ সালে প্রণীত হয়। মনে রাখতে হবে যে কোন আইন হঠাৎ করে আপনা থেকে প্রণীত হয় না। তার পিছনে একটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট কাজ করে। UAPA -এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মনে রাখতে হবে যে ১৯৬৭ সালে দেশে চতুর্থ লোকসভা নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে শাসক জাতীয় কংগ্রেস ভীষণভাবে ধাক্কা খায়। জাতীয় রাজনীতিতে তার একদলীয় প্রাধান্য খর্বিত হয়। ন’টি রাজ্যে অকংগ্রেসী যুক্তফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে কমিউনিস্ট ও বামপন্থীরা শাসন ক্ষমতার অংশীদার হয়। গোটা দেশে এক তীব্র প্রতিষ্ঠান বিরোধী ঝড় ওঠে। স্থিতাবস্থা বেসামাল হয়ে পড়ে।

তাই স্থিতাবস্থার ধারক ও বাহকরা প্রতিষ্ঠান বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য এই আইন তৈরি করে। তিন যুগ ধরে এই অস্ত্রটি ব্যবহার করে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের পদলেহনকারী এদেশের শাসকগোষ্ঠী, এদেশের পুঁজিপতি ও সামন্ত প্রভুর পরিবর্তনের শক্তিকে রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে ভুল হোক ঠিক হোক, নকশালরা গোটা দেশের শোষকদের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল; সেই নকশালদেরকে প্রতিহত করতে, তেলেঙ্গানা আন্দোলনের কিম্বদন্তী নেতা কমরেড সি. রাজশেখর রাও, প্রমুখ নেতারা সত্তরের দশকে যে দেশজুড়ে জমি দখল আন্দোলনের ডাক দিয়ে একদিকে দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে তুমুল উদ্দীপনা ও অন্যদিকে সামন্ত প্রভুদের মধ্যে অভাবনীয় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলেন, সেই পরিমণ্ডলকে মোকাবিলা করতে ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকে শুরু করে মোরারজী দেশাই, চরণ সিং, বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং, রাজীব গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী ও বর্তমানে ছাপান্ন ইঞ্চি বুকের ছাতি ওয়ালা “মিত্রোওঁ” ধ্যানের ধ্যানাচী করা শাসক অবধি সবার আমলেই, এই কালা বিধিকে ব্যবহার অপব্যবহার, যাই বলি না কেন, করা হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের শোষণ মুক্তির আন্দোলনের গলা টিপে মারতে।

এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, আমাদের দেশে ১১ই এপ্রিল ২০১৯ থেকে ১৯ শে মে ২০১৯ পর্যন্ত সাতটি পর্যায়ে লোকসভা নির্বাচন হয়। আমাদের ত্রুটিপূর্ণ বহুদলীয় ব্যবস্থার সুযোগে মাত্র ৩০%–এর মতো ভোট পেয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় গেছে। এই ক্ষমতায় গিয়েই তার মনোবল আরো বেড়ে গেছে। সে আরও মারমুখী হয়ে পড়েছে গণ আন্দোলন, গণকন্ঠ রুদ্ধ করার ব্যাপারে তাই, ভোটের ফল বার হবার অব্যবহিত পরেই, ২৪শে জুলাই ২০১৯ তারিখে এই আইনের সংশোধন করে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধের নামে মানুষের কণ্ঠকে রুদ্ধ করার পরিসর আরো বাড়ানো হয়েছে। এই আইনের বেড়াজালে কমরেড ভারভারা রাও সহ একাধিক গণ আন্দোলনের ব্যক্তিত্বকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। জে. এন. ইউ-এর বাগ্মী ছাত্রনেতা কানাইয়া কুমার থেকে শুরু করে স্ট্যান স্বামী প্রমুখ অনেককেই এই আইনের ভিত্তিতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

সর্বনাশা এই আইনের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে এর অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে সোচ্চার হওয়া জরুরী। প্রসঙ্গত: উল্লেখ করতে চাই যে ১৯৩৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হিটলার ন্যুরেমবার্গ আইন তৈরি করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল ইহুদিদেরকে নাগরিকত্ব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুধু ইহুদিদের বিরুদ্ধে নয়; প্রতিবাদমুখী জার্মানদের বিরুদ্ধেও হিটলার এই আইনকে ব্যবহার করেছিলেন। একইভাবে, প্রতিষ্ঠানপন্থী মানুষরা ভাবছেন যা UAPA বোধ হয় শুধুমাত্র ব্যবহার হবে প্রতিষ্ঠান বিরোধী লোকদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপের অজুহাতে। কিন্তু, এটা শেষ পর্যন্ত তা থাকবে না। প্রতিষ্ঠানপন্থীদের বিরুদ্ধেও প্রভাবশালী শাসকগোষ্ঠী এটাকে ব্যবহার করে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলি খর্ব করতে পারে। সুতরাং স্বাধীনতার এই হীরকজয়ন্তী বর্ষে UAPA বিরোধী ব্যাপকতম সংগ্রামের মঞ্চ গড়ে তোলাই হবে সকল দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ।
প্রকাশ থাকে যে আমাদের দেশের সুপ্রিম কোর্টও সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ আমলের এই আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ কি কেন্দ্রীয় কি রাজ্য সব সরকারই কানে তুলো দিয়ে আছে। সংগ্রামী হাত দিয়ে ওদের কানটি ধরে টেনে তুলো বার করে দিতে হবে। প্যাঁচার মনে কত আশা। ধুঁধুঁল বনে বাধে বাসা। প্রধান মন্ত্রী হওয়ার লালসে এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আঁকুপাঁকু করছেন। তিনি মোদি বিরোধিতার ছলনা করছেন, ড্রামা করছেন। অথচ তিনি তাঁর নিজ রাজ্যে তাঁর বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে এই আইনকে বলবৎ করছেন। বজ্র নির্ঘোষে আজ দিকে দিকে দাবি তুলতে হবে যেন কেন্দ্রে ও রাজ্যে সর্বত্রই এই আইন প্রয়োগ চিরতরে বন্ধ হয়, এই কালা কানুন যেন অবিলম্বে প্রত্যাহার হয়, এন. আই. এর মতো অসভ্য, বর্বর, স্বৈরাচারী তদন্ত সংস্থা যেন বাতিল হয় এবং সমস্ত আটক ব্যক্তিদেরকে যেন অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হয় ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। আগামী ২৮শে আগষ্ট তারিখে এই সব দাবির ভিত্তিতে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, পূবের বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিমের আরব সাগর, উত্তরে আকাশচুম্বি হিমালয় থেকে দক্ষিণে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত, আসমুদ্র হিমাচল ভারতবর্ষ সংগ্রামের উত্তাল তরঙ্গ মেলায় উদ্যাম হয়ে উঠবে, এ আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় ও বিশ্বাস।

[লেখক পরিচিতি –

অধ্যাপক খগেন্দ্রনাথ অধিকারী রাষ্ট্রীয় বিদ্যাসরস্বতী পুরস্কার ও এশিয়া প্যাসিফিক পুরস্কার সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহু পুরস্কার প্রাপ্ত একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ। ইনি কোলকাতার সাউথ সিটি (দিবা) কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

অধ্যাপিকা ভ্রান্তি অধিকারী একজন সমাজকর্মী, উঃ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি।]

Facebook Comments

Leave a Reply