অহনা সরকারের লেখা
বিশ্বাসঘাতক
বিশ্বাসঘাতক ভালো থেকো অনুমান তৈরি সেখানেই হচ্ছে। ডায়রির পথ জনা কুড়ি সেবার আমরা কুলু মানালি হয়ে রাতে আশ্রয় খাতির। পাহাড়ের ভরসা নেই কোনো যখন তখন যেখানে সেখানে হিহি অতিতম।
ঘন কুয়াশায় দাঁড়ানো আবৃত্ত দেখছি। তোমার বিতী তুমিই ঘনতা কাটিয়ে সিঁড়ি পথ নামার খেয়ালে উদাস্য আরো একটু
নিচে যাই চায়ের জল বসাতে হবে
কাব্য এটাই এই লাইন কটা যতক্ষণ না ছিঁড়ে ফেলছো।
সুঁচ পরিসরে তীক্ষ দ্বন্দ্ব রেখে দাও। হরি হর থাক রাখা
মহায়য়আআ দে ব্
অতেক
খচ্চরের বাচ্চা বৃষ্টি বাইরে ভিজছে। তাকে তুলে ঘরে আনাই যায়। ইচ্ছে করলো না। জানলায় বসে তার একান্ত ভেজা দেখছে। গায়ের জল রোমে টুপিয়ে সরষের মেঝে বিকেলেই পুঁতেছিলাম চারাগুলো পায়ের চাপে চেপ্টে এখন আধমরা। আর ফলবে বলে তো মনে হয় না। বাচ্চাটা ডেকে ওঠে দুবার
ওর ভেজা দেখতে কেন ভালো লাগছে এত? অসহায় প্রাণী একটা ভিজছে
টুকরি উঠিয়ে চাল কুড়ালাম চালের বীজ আসলে। পাহাড়ে বন্যা নামবে আসে নি এখনো। জল পাহাড়ের গা থেকে পড়া দেখেছো? পতনন্মুখ ধৈর্য্য? স্থাপর নয় খাঁজ দেহে বুকে ব্লাউজের হুক খুললে দু বা তিন ফোঁটা জল সেই ধারায় পদধন ছুঁয়ে ভিজিয়ে পাহাড়তল নারীক্ষেত্র শীত নেই কোনো ওখানে
গড়িয়ে গড়ান ভীষ্ম
এতসবের মধ্যেই তার দেহ সিঁয়ও শরীর
নমজানু নত হই
পা দূর্বা চাইছে
Posted in: August 2021, POETRY