স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত-র কবিতা
হীনরৌদ্র খেলনানগরী
দৃশ্যত ঘোড়াদের নড়ে ওঠা মুখের প্রতিমায়
মিশে থাকে হাসির প্রবল একটি ধ্বনি। অলীক পাণ্ডিত্য এই
আজ মেনে নেওয়া যায়, লোককাহিনির মূলে যাহারা পুতুল
তাদের প্রতীকগুলি বংশের নবম পুরুষে মিশে গেলে
পিতৃময় এই কথা কিংবা পুত্রেরও সময় যদি হয়
অযুত দিনের মাঝে, অযুত কাহিনি জুড়ে পড়ে থাকে
হীনরৌদ্র খেলনানগরী
আসলে পুতুল নয়, দৃশ্যের অধিক গোধূলি
প্রতিমার ডাকে জেগে ওঠে। ধূলোর স্থাপত্য এই
কিংবা একটি হাসির রূপ, একটি হাসির রেখা
দৃশ্যেরও অনেক অতলে চলে যায় – ঘোড়ার নূপুরে
বাংলার সকল প্রবাদ
পিথাগোরাসের দেশ ঘুরে, হলুদাভ মহিলাদের হাসি, ঘোড়ার নূপুরে বেজে ওঠে
যদিও সকাল, এই উপত্যকার দেশে, রৌদ্রময়, অন্তর্বাসের চেয়ে শাদা
সপ্তাহে ছয়দিন ছায়াহীন, শুধু দেখো, ফ্রাইডে সকালে
একটি প্রসন্নকাক, চেয়ার টেবিল জুড়ে, নজির গড়েছে
ওকে ধান্যতা দেওয়া হোক, হরিদ্রাভ উড্ডয়ন প্রণালীর পাশে
লিখে রাখা হোক মৎস্যের হাজার উপমা
ক্লাসরুম থেকে দূরে, পিথাগোরাসের দেশে, ক্লান্ত নূপুরে
জীবিকার চাহিদাগুলি, ঘোড়ার প্রস্বরে বহুদূর মিশে যেতে পারে
এই দৃশ্যক্লাসরুম জুড়ে, পিথাগোরাসের ছায়া সমকোণে দুলে ওঠে, হাসির রেখায়
ইতিহাস, যদি দেখো, ঘোড়ার নূপুরে ফিরে ফিরে আসে
বাংলার সকল প্রবাদ মৌখিক থেকে যায়, এইখানে, মাতৃপ্রতিমে
জীবনের নরম প্রত্যাশা
খণ্ডদেহী পোকাগুলো জীবনের নরম প্রত্যাশা ভালোবাসে
উপরে মানব যিনি, হাস্যরোলে ভুলে যান, সোমবার নভেম্বর মাস
শীতার্ত বাতাস ধারণ করেছে এক জলের সমতা ভরা পাতার নূপুর
পাখির নীরব এই, হীনরৌদ্রে, পালকের আবছায়া জুড়ে
বাতাসে পাখির সুর, বিনিদ্র দুপুরে এসে মনে পড়ে যায়
অন্ধকার মামুদের মুখ। নবীন যেখানে আজ প্রায়শ্চিত্যমুখী
শেষজন বসে আছে স্মরণসভায়
রন্ধনের অমোঘ পাঁচালি
যদিও প্রকাশপ্রবণ, অতিদ্রুত, শুদ্ধ এই ক্রিয়াপদগুলি
সকালে ব্রাশের গন্ধে অকৃতদার শব্দটিকে ছুঁড়ে দেওয়া হোল
ঈস্টার দ্বীপের থেকে দূরে, মিথ্যে কথার মতো সরু মেয়েমানুষের দিকে
হেঁসেলের অন্ধকারে, প্রতীক্ষাপ্রবাসী, তাদের শ্বেতাভ দাঁত আজ রমণীয়
স্বাস্থ্যহীন, একাকী যারা চশমাসম্বল
এখানে মিথুন চিত্রে দেখা যায়, তারা আজ মাংস ব্যাপারী
বিবাহের সব রীতি ভুলে গিয়ে গান গায়
হীনরৌদ্রে ফেরি করে রন্ধনের অমোঘ পাঁচালি
Posted in: July 2021 - Cover Story, POETRY