শুভদীপ মৈত্র-র কবিতা
বর্ষার চতুর্দশপদী
১
আতপ শরীরে যেন নেমেছে অঘ্রাণ
ফোটাও হাঁড়ির চাল শেষ মৃদু আঁচে
সুঁই-ফোঁড় দিনকাল ওষ্ঠাগত প্রাণ
এ হদ্দ চাষাড়ে জীব আশা নিয়ে বাঁচে।
তুমি হও জৈষ্ঠ্য শেষের মরহুমি ঝিল
চোখের কিনারে গিয়ে অতলান্ত ঝাঁপে
ডুব দিয়ে কী সাহসে, ফিরে-আসা-চিল
নই আমি, নিতান্ত কেজো – রুদ্ধ মনস্তাপে।
এভাবে দেখালে যদি পোয়াতি-সবুজ
আষাঢ়ের লোভ রঙ নমনীয় ঘাসে
বন ফড়িং-এর মতো হয়েছে অবুঝ
আঁচলের পারে বেঁধে রেখো অবকাশে।
বিষন্ন ঘোরের এই গণ্ডি সামাজিক
আভাসে যা কিছু থাকে প্রেম ও বাতিক।।
২
যাকে আমি ছন্দ বলে জেনেছি সময়ে গতিময়,
শরীর ধারণে স্থির। যেভাবে ধাওয়া করে মাঝমাঠ জুড়ে
গোলি-র ওড়ানো বল উৎসাহী খেলুড়ে,
বুঝিনি আসলে সব প্রতিবর্ত ক্রিয়া,
যেভাবে বর্ষার গান আপিস সংকট ফেলে বুনে
শব্দভ্রমে ছান্দসিক বয়ে যায় পিরিতি বাখানে –
নিছক অভ্যাস-বসে চলাচলে ঘোর বিদূষক
নিমন্ত্রণ রক্ষা করো ফ্ল্যান্যুর দর্শক।
বেওকুফ কবি ও প্রেমিক নাজেহাল চুলকোয় মাথা
ওমের্তায় মৃদু হেসে করলিওনি চুপ,
শহুরে ইশারা ছবি একটা দুটো খোলা নীল ছাতা
তবুও অমিল থেকে মিলে যায় সহজিয়া রূপ।
লিপিবদ্ধ প্রেমে তাও খোঁজো কথনভঙ্গির পূর্ব ইতিহাস
মুখের রেখায় ধরে, নিয়ে এলে বেকেটিয় ত্রাস।।
Posted in: July 2021 - Cover Story, POETRY