সোনালী চক্রবর্তী-র কবিতা
যৌতুক
প্রতিটা মেয়ের ছায়াতেই একটা করে ভাঙা বাতিঘর দেখতে দেখতে পুরো নাভিজন্মটা পেরিয়ে চলেছি অথচ কেউ আমায় উদ্ভিদ সনাক্ত করে উপড়ে দেওয়ার প্রয়োজন বুঝছে না। সিঁদুরে মেঘ কখন সহজিয়া পথ খুঁজে নিয়ে দেউলিয়া হতে চাইছে সামান্য জলের অজুহাতে, পারদের উপর কোনো আলো সেই প্রতিবিম্বের ঠিকানা চাইছে না। অর্জন ভাবতে বসলে মনে হয় কেন যে ডানা পুড়িয়ে পুড়িয়ে সামান্য কিছু হীরে খোঁজা হলো, এতো জানাই ছিলো আমার শ্যাওলার সেতার, যত নিপুণ ছড় ততই গর্ভস্থ মাটিতে বেহুদা জেগে থাকা কবরে ফুটে উঠবে প্রলাপ-এ-পারিজাত।
সারভাইভ্যল ইন দ্যা সেকেন্ড
বিষণ্ণ সিঁথিদের ঘিরে অসুস্থ জ্যোৎস্নার পরিক্রমা বিলাস দেখতে দেখতে ক্লান্ত হচ্ছি আমি। সময়কে নদী বলেই তো ডাকে মানুষেরা, ইদানীং তার জলেদের কাছে প্রতিটা সূর্য আলোর নামে একমুঠো করে বালি বয়ে আনে, চর দীর্ঘায়ুকামী। যদিও আক্ষেপের মানে ভাঙা বাঁশিতে ছিদ্র গোনা তবু মনে হয়, এত যে ভুলে যাই জনমভোর, প্রায় সব একদা প্রিয় কিছু, কেন শ্বাস নেওয়া মনে রেখে রেখে আয়ুকে ক্লান্তির অবসর দিয়ে যেতে হলো?
Related posts:
Posted in: July 2021 - Cover Story, POETRY