শুভঙ্কর দাশ-এর কবিতা

ছাতের বাচ্চারা

আমার ছাতে টবে লাগানো বাচ্চাদের
সাথে কথা বলি রোজ
আজ যেমন একটা তুলসি গাছের পাশে বসে
বলছিলাম – একটু সুড়সুড়ি দিয়ে দে না।

তাদের রোজ কলের জল দি
মাঝে মাঝে চায়ের পাতা, কলার ছালও।

কিন্তু দিলে হবে কী
চোখ সেই আকাশের দিকে
মাঝে মাঝে তাদের গুনগুন শুনি
বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি।
আমিও তাদের সাথে গলা মেলাই মাঝে মাঝে।
ওটুকুই পারি আমি।
আমিতো সাধু নই যে সেই বইয়ে পড়া গল্পের মতো
এনে ফেলব বৃষ্টি বা বলব
অনেক হয়েছে এবার একটু থামুন স্যার।

আর বৃষ্টির জল আসলে তাদের ভালোবাসা
কলকলিয়ে নাচের সময়
ওটা কলের জলে হয়না কখনো।

একদিন

বন্ধু ছিলে একদিন ভাবো
কত মাল কতো জল চলে গেল
গ্যালন গ্যালন শরীরটায়।

আর এখন দেখি তোমার হৃদয়ের চুলে
পাক ধরেছে।
কত কত দিন বৃষ্টি হয়ে গেল
অথচ শরীর ধুলে না।
নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে
বুড়িয়ে গেলে শেষতক।

বাইরে দেখ বৃষ্টি পড়ছে এখন
গা ধুচ্ছে গাছ এমনকি কাকেরাও
ডানা ঝেড়ে পোকাদের বলছে
যাও।

আর তুমি দিন গুনছ বা
দিন হিসেব করছে তোমার আর পোকাদের।
বরং মরে যাও।

আমি ছাতে গিয়ে দেখে আসি
ফুলের পাপড়িতে বৃষ্টি-দানার টলটলানো।

Facebook Comments

Leave a Reply