শানু চৌধুরী-র কবিতা

رحمانی کیدہ

জেনেছি, শৈশব মহান হলে মায়ের আঁচল থেকে নেমে আসে কলসপত্রী রোদ। আমি সেখানেই আজকাল কবিতা লিখি, নষ্ট বাচ্চাদের মতো। আজকাল মনে হয় কবিতা লিখে কিচ্ছু হবে না। খাবার না পেলে কবিতা লাঞ্ছনার মতো লাগে! হায় কবিতা! আমি সেরকম লিখিনি যা পড়ে চুপ থাকা যায়। আমি জানি,আমার কবিতায় যাঁরা চুপ ছিল তাঁরা অগ্রাহ্য করেছে আমায়। তেতে যাওয়া রোদে ভাঙা জলচক্রের মতো। তারপর একা হলাম,লিখলাম নিজস্ব কীটের কথা! অবিরত ঠাট্টাকে রুইয়ে দেওয়ার পর যেমন বোধ থাকে না। সেরকমই রেহমানী হয় আমার! যার ক্ষমার কবরে, ঢেকে দেওয়া ত্রিপল থেকে নেমে আসে অঝোর জল।

رحمانی کیدہ

আমাকে তুলনা কোরো না তোমার সাথে। আমি কবিতা লিখি না আজকাল,আমার প্রকৃতিতেই ঢুকে গেছে কবিতা। তোমার থেকে বিরাট মাপের জুতো আজকাল পড়ে অনুভব নিই আমার পায়ের। আমি কোনোদিন চোদনা ও খচ্চর কবিদের সম্মান করিনি বরং পিছিয়ে এসে লাথি মারতে চেয়েছি তাঁদের কপালে। তবু দেখি তারার মতো উজ্জ্বল হয়ে যায় তাঁদেরই রুপোলি নখ। আমি প্রচণ্ড পরিশ্রমে ক্লান্ত হই এখন,শামুকের মতো নেতিয়ে ধীর হয়ে পড়ি। আর প্রতিটা অনুভবে বুঝতে পারি, আমার নেশায় আজকাল শুধু আসে গান্ধীর প্রসঙ্গকথা। যেখানে ছিনাল হয়ে গেলেও পরিত্যক্ত হওয়া যায় না আজও। শুধু চোখ বন্ধ করি আর দেখি ঝাপসা হয়ে আসা চোখে ভাসছে আমার একান্ত ফারিস্তা…

رحمانی کیدہ

মানুষের প্রভাব যতদূর বলে জেনেছি আমি , সেখানেই ফুটেছে বানচোদের মতো নিরুপদ্রব গুলদস্তা! আজকাল আমার কবিতায় যখন প্রচুর কথা চলে আসে, আমার অভিজ্ঞতা তখন আমাকে রুখে নেয়! তবু দেখ, এখন অস্ফুট স্বরে কথা বললেই আমার মুখ কেমন কবিতা হয়ে যায় । তবু ভাবি, আমি এই শহরে থেকে আকাঙ্ক্ষার রাজ্যে কিভাবে নিষ্পাপ হব? একটা গ্রামের মকদ্দমা থেকে কিভাবে নেভাবো লেবুফুলের পবিত্র ভাঁজ! হায় চিরায়ত ভেনম! শুকনো খোলস ছেড়ে গেলে আমার কাছে। তবু শয়তানের পুজো করিনি কোনোদিন, তাই ঢেকে রাখো আমাকে এক এঁড়ের বিপন্ন চাদরে,যেখানে কাপড়ের দামে নগ্ন শরীরে নিয়ে প্রতারণা করবে না কেউ।

Facebook Comments

Leave a Reply