সব্যসাচী সান্যাল-এর কবিতা
প্রতিরোধের আসর
সম্পূর্ণ বুঝে উঠলে সব অচেনা হয়ে যায়
চমকে উঠবে বলে তুমি হরিণ
থিতিয়ে পড়বে বলেই তুমি মানুষ
মট করে ডাল একটা ভেঙ্গে উঠল পোড়ো বিকেলে
কাঁধ আর বাহুর সন্ধিতে ভোঁতা এক ব্যথা, হঠাৎ
যেন এইমাত্র, সদ্য, কেউ আঘাত করতে শিখল
দুধপোড়ার গন্ধ উঠছে
মানে স্নেহ ঘনিয়ে উঠছে পাত্রে…
[শিরোনাম আপনার হাতে, যদিও কোরিয়ান ভাষায়, ‘শিরো’ একটি ক্রিয়া; ঘৃণা, আর ‘নাম’ মানে মানুষ, জেন্ডার পুরুষ। থাক সে কথা। শিরোনাম আপনার হাতে। দিয়েই ফেলুন। লেখাগুলির থেকে দূরে যেতে যেতে যদি কোথাও খচখচ করে, অনিশ্চিতি আপনাকে ছুঁয়েই ফেলে, তখন আপনার ঘুরে তাকানোয় লেখাগুলি কবিতা হয়ে উঠতে পারে। তা না হলে, এ সমস্ত কাগজের ওপর আঁচড় মাত্র। এতই অর্থহীন, রোশ্যাক ইংকব্লট পরীক্ষার উপকরণ হয়ে উঠতেও অক্ষম]
১.
প্রেমে পড়া তো পতনই; স্পন্টানেইটি
ফলিং ইন লাভ।
ফলিং। কেওসে সমর্পণ।
আমি নির্মাণের লোক, উঠে দাঁড়ানোর পক্ষে
আর বুকের মাসল; পেক্টোরালিস, সচেতন সংকোচন-প্রসারণ করি–
স্নেহবস্তু আছড়ায় কোষে–আজ ভারী জল হবে, অম্লজানে জুড়বে কার্বন।
ডানার ঝাপট…আর দূর এসে দুচোখে বিঁধছে
ছেড়ে যাওয়াই এক চূড়ান্ত নির্মাণ।
এঁকে, মুছে ফেলার থেকে বড় আর শিল্প আছে নাকী!
[উড়ান বিষয়ে সচরাচর মানুষ যা জানে না তা হলো, ডানা পিঠ নয়, মূলত বুকের পেশি দ্বারা চালিত, মানুষের হাতের মত, তাই পরী ও দেবদূতরা কেউ আসলে উড়তে পারেন না। আরেকটি কথা, মেটাবলিকালি, পেশি খুব স্থূলভাবে ধরতে গেলে, দুপ্রকার; গ্লাইকোলিটিক ও অক্সিডেটিভ, প্রথমদল মূলত গ্লুকোজ ব্যবহার করে এনার্জি হিসেবে, দ্বিতীয় ফ্যাট। গ্লুকোজ-এর ব্যবহারে পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে, যা ফ্যাটিগ তৈরী করে। উড়ানের জন্য ব্যবহৃত পেশিগুলি সে কারণেই ফ্যাটের ব্যবহার জানে; ফ্যাট, বাংলায় যা স্নেহপদার্থ। ফ্যাটি অ্যাসিড পুরো ব্যবহৃত হলে জল ও কার্বন-ডাইঅক্সাইড ছাড়া আর কোনো বর্জ্য থাকে না। হৃদয়ও একটি পেশি, যার থামা মানা। হৃদয় তাই স্নেহকে পদার্থজ্ঞানে পরিপূর্ণ ব্যবহারে সক্ষম]
২.
থাকো সম্পৃক্ত, অনুচ্চকিত–
সে বলে–
রইস-আবাসে রঈস
ঘুড়খামারে সহিস…
জুতোর পেরেক সে
জাতে নিস্পৃহ
পায়ের গোড়ালি তাকে বেদনা শেখাবে?
[‘রইস’ শব্দটিতে লক্ষ করুন দ্বিতীয় উচ্চারণে ‘ঈ’ র ব্যবহার। ঈ আপনাকে সমৃদ্ধ করুক, রাস্তা কাঁপিয়ে ছুটে আসা নিশ্চিতির সামনে ঠেলে না দিয়ে—এই কাম্য ]
৩.
বিশ্বাস এক বর্ণ-গন্ধ-আকারহীন তরল
গ্রীষ্মে, মিশলে বস্তু, মিঠাস সে, জিভের গোড়ায়
ঘন করে লালা রস, লাংস মুচড়ে ওঠে
তুঁতে কামিজ তোমার, ভিজিয়ে রেখো না বিশ্বাসে,
বস্তু ফিকে হয়ে যাবে, বিনা প্ররোচনায় সারারাত
অন্ধকারে ডানার মত ছটফট করবে
বিশ্বাসকে অনন্ত সময় ঢাল বেয়ে গড়িয়ে যেতে দিলে,
তার প্রকাণ্ড কাছিম পিঠ, বাতাসী রঙের ত্বক
প্রতিভাত হয়–বিশ্বাসী মানুষেরা এই সমস্ত নিশ্চিতি রাখে।
বিশ্বাস নিয়ে আমি তেমন কিছুই জানি না।
আমি ভরসার কথা জানি।
আমার ওপর কেউ ভরসা রাখলে
হাড় পর্যন্ত কেঁপে কেঁপে ওঠে।
[অন্য যে কোনো রঙের চাইতে তুঁতে যে সহজে ওঠে, জলের স্পর্শে, এ বিশ্বাস থাকা ভালো, আকাশে এরকম বিশ্বাস দেখা যায়]
৪.
বন্ধ দরজার পিছনে এক শীর্ণ খাট থাকে
বন্ধ দরজার পিছনে শীর্ণ এক পিঠে
মাদুরের দাগ গেঁথে থাকে
বন্ধ দরজার পিছনে কুঁজো থেকে
গেলাসে অন্ধকার গড়িয়ে নেয় কেউ
বন্ধ দরজার পিছনে বজ্রবিদ্যুতহীন
ঘিনঘিনে বৃষ্টি হয়ে চলে
বন্ধ দরজার পিছনে ডানহাতের তিন আঙুল দিয়ে
বাম কনুইয়ের কাছে শিরা খুঁজে চলে কেউ
বন্ধ দরজার পিছনে যা যা ঘটে তার কোনোটাই
তেমন ভীতিজনক নয়
অন্তত যতক্ষণ কেউ আমাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস না করতে শিখছে
[এবাড়ির গেস্টরুম সিঙ্গল খাটের, দরজা পোক্ত, আমন্ত্রণ রইল]
৫.
পুরনো দরজা খুলতে নেই হে, এসময়
বিপজ্জনক দরজা সমস্ত
খুলো না,
না হলে আবাঁধা পাতকুয়োপাড়ে
পড়ে থাকবে আলগা সাবান
মন ভালো হবে, সকাল সকাল
শিস দিতে দিতে পতন
তোমাকে ডেকে নেবে
পতন তোমাকে চেনে
আধার নম্বর, বছরান্তে ট্যাক্স কত দাও
সব জানে। আর জানে, মৃতমানুষের
চেয়ে বড় কোন সাক্ষী আর নেই।
[আজ পর্যন্ত মৃত কোনো মানুষ বলেনি–
‘আমি তো জানি না…’]
৬.
[বাইরে আকাশে চাঁদ; এমন উঠেছে,
যেন ভোরভোর
কারো অনিষ্ট হবে]
গাড়ির ব্যাটারি, আছে
কেবল, হাঙর ক্লিপ
তোয়ালে, জলের ড্রাম
ডাক্টটেপ, উদাসী প্লায়ার্স
৪০০ ওয়াট, একচোখো আলো
বৃত্তের বাইরে ঘর অন্ধকার
আমিও বিদ্যমান
কাঠের চেয়ারে
মুখবন্ধ, হাত পিঠপিছে
[যদি কিছু আমারে শুধাও]
৭.
পাথর বাঁধানো এই গলি
চৌকো, পিচ্ছিল, সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে
লাল আলো এসে আটকে রয়েছে,
পথজোড়া এই রঙের গারদ।
শব্দ নিভে এল।
লাল দেশে করুণা ঘুমোয়
করুণার ছেলেমেয়েরা ঘুমোয়
কশে লালা, নখের ভেতর দিকে মাটির আঁচড়
[মথ উড়ে আসে]
৮.
স্যাক্সবাজিয়েকে অনুরোধ করি–ইম্যানুয়েল হোক
টিমটিমে আলো, মাংসের ভেতর যা ঘোলাটে হয়ে আছে, শ্বাসের ভেতর বমিভাব হয়ে আছে
তাকে ব্যবহার করে ওঠার প্ররোচনা কে আর দেয়
কেই বা বলবে একটুকরো সাধারণ হয়ে ওঠো
ম্যাসাজ পার্লারে। অ্যালোভেরা লোশন, পেঁয়াজতেল, আর নেপালী মেয়েটার সস্তা পারফিউম ছাপিয়ে, আশ্চর্য এক নখ গিঁথে যায় ঘাড়ের সন্ধিতে।
—
[অনুপম আমার পিলো-টক নামের ফ্যাকাশে সিন্থেটিক লেখাটি পড়ে, হোয়াটসঅ্যাপে, এবং জিজ্ঞেস করে–প্রেমে পড়েছ?]
—
আই চ্যাম্পিয়ন অল থিংস ডেড
রান্নাঘরে হাতার গড়ন; তার গোল অগ্রভাগ, আর জোড়হীন, একটানে বেরিয়ে আসা লম্বা ঝকঝকে দেহ, এর চেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল কিছুই দেখিনি আমি। অবলং কুমড়োবীজ থেকে চারা বেরোবে নিশ্চয়ই, ফুল; পুরুষ ও স্ত্রী, পতঙ্গ, কুমড়ো, বীজ– এসমস্ত এক ঘুটন, পুনরাবৃত্তির, আবহ যা গলা পেঁচিয়ে ধরে– মুখের ভেতর থেকে লালা শুষে নেয়।
রান্নাঘরের হাতা, সে আমার কাছে প্রত্যাশা রাখেনি কোন, ব্যবহারের আগে ও পরে, তার নিরাবেগ আমাকে কাঁদায়।
আমি আগামীকাল সাঁড়াশির, প্লায়ারের প্রেমে পড়ব, নৈর্ব্যক্তিক ফালক্রামে সারাদিন ভারসাম্য দেখব, এই সম্ভাবনা আমাকে উত্তেজিত করে।]
৯.
হাত থেকে যা পড়ে যায়, সে বৃত্তাকার
চৌকো সাবান, সেও।
উপলব্ধি এই।
অনুভূতি সমস্ত পতনকে
দৃশ্যে রচনা করে। ফ্রেম বাই ফ্রেম।
—
এ প্রচেষ্টা বিনয়ের মত
তবু বিনয় অধরা
[আকাশে দুর্বিনীত তাঁবু কে খাটালো!]
১০.
সুন্দর সেই, যাকে পার্কে রাস্তায়
দেখতে দেখতে আমাদের বয়স বেড়ে যায়
‘কেননা সূর্যের যাত্রা বহুদূর’
কিন্তু সেও সীমাবদ্ধ– প্রেম থেকে সারিডন
এক মনখারাপ থেকে অন্য মনখারাপ অব্দি—
[এই ভাস্কর। সূর্য। সাদা বুশ শার্ট। যে চেনা অবস্থার ওপর আলো ফেলে। অবস্থা, যা প্রকট হওয়ার জন্য বসেই রয়েছে]
আমি কদর্যতার কথা ভাবি। আদতে গোচর নয়
অথচ যমজ, আমারই, লিংগে বিপরীত
অন্ধকারে তার গায়ে হাত ঠেকে যায়। অজান্তেই।
১১.
প্রবাহ জল, তবু, সেই জল
একবিন্দু যে ঠিকরে উঠছে
কলসারাইয়ের মিস্ত্রি
কিছুতেই তাকে বাগ মানাতে পারছে না
এভাবেই কবিতা, আর তার খসে পড়া
অক্ষরটিও কবিতা। তফাৎ এই–
একটি প্রতিরোধ, আর একটি আত্মহত্যা
এসমস্ত দেশে, জলে ক্যালসিয়াম বেশী
কলকাতার মত লোহাভেজা নয়
কলকাতাকে লোহার কারণেই রক্তের
পার্শ্ববর্তী মনে হয়। ক্যালসিয়াম
জমা সিমেনের মত। সোডা আর ভিনিগার
সম্পর্ক পাতালে, সে কী করবে, এটা দেখার।
আমি ও আমার সৌন্দর্যবোধ
একে অপরের থেকে কতদূর গেলে
আকর্ষণ জাগবে? এও দেখার।
[জরায়ু অ্যাসিডিক। সিমেন ক্ষার। এই দ্বৈতাবস্থা জ্ঞাত হলে, কবিতার মধ্যে ভীতি জাগে। তবু কিছু স্পার্ম আজো বিপর্যস্ত বোধে, প্রহারে উদ্যত]
১২.
মায়া তাকে মুকুট পরাবে। বলবে–‘ যাও, থলি হাতে দিগ্বিজয়ে যাও। সাবধান, বাইরে আলো, যা যুগপৎ তরংগ ও সন্ত্রাস, অপরের দীর্ঘশ্বাস দৃষ্টিগ্রাহ্য হলে, শ্বাসরুদ্ধ করে দিতে পারে’।
নিজেকে বহন করা সেও এক ভরকম কাজ। ফলে প্রতিচ্ছায়া সংগে সংগে যায়, ঝুড়ি থেকে আপেল তুলে আলগোছে কামড় বসায়, তার মুখ অম্লকষায় স্বাদে আবছা হতে থাকে, নিরাবেগটুকু আমার, সেই গন্ধে মাংসাষী হয়ে ওঠে ঝিঙে ও কুঁদরু। আমি ও আমার ছায়া দুজনেই ক্রেতা। আজ শনিবার, ঘরে নিরামিষ, ফলে প্রাণীহত্যা রদ, পৃথিবীতে। পৃথিবী, যার আকার, ও কন্টেন্ট আজকের বাজারফর্দ অনুযায়ী। এই মাত্র, আর কোনো জটিলতা নেই।
১৩.
ফুল যে গাছের জননাংগ, আর মানুষ তাকে শ্রদ্ধার্ঘে চড়ায়, বরণে, প্রসাধন, প্রেম ইজাহারে–এটা কি সচেতন? ফুল যদি নিজেকে জননাংগ বলে আইডেন্টিফাই করতে পারত, তবে কী বলত জানতে ইচ্ছে হয়। এই সমস্ত অনান্দনিক জানাজানির সংগে কবিতার সম্পর্ক নেই। আপাতভাবে যৌনাংগের সংগে রাবার ব্যান্ডের সম্পর্কও নর্মাল নয়। পুরুষাংগে রাবার ব্যান্ড বেঁধে রক্তসঞ্চালন ব্যহত হওয়ায় একজন নীল গোলাপ হয়ে গেল, গতকাল পড়েছি। বান্ধবীকে লাল গোলাপ দিতে চাওয়া অথচ সংশয়ী পুরুষেরা হাসাহাসি করছে, সেও দেখলাম। লিভারের অসুখ থাকলে গোলাপ হলুদ হয়ে যায়, আতঙ্ক তাকে ফ্যাকাশে করে তোলে।
[তবু পিংক বোঝাতে তুমি গোলাপিই কেন ভাবো, এও এক ভাবার বিষয়]
১৪.
একবার মোহর বলে ডেকেই দেখ
কণিকারা চমকে উঠবে
আঘাটার শ্যাওলার ঘাড়ের রোঁয়া দাঁড়িয়ে পড়বে
দুপুর আছড়ে
তুহুঁ তুহুঁ বেজে উঠবে কলের পাখি…
লক্ষীর ঝাঁপি কতদিন ছমছম করে শিউরে উঠছে
তুমি মোহর বলে ডেকেই দ্যাখো
একবার
[এ লেখা ঘোর উৎপাদন করবে। যা কবিতার টেকনিকাল দিকগুলোকে ভুলিয়ে দিতে পারে। ঘোর কাটিয়ে, মোহর বলে ডাকুন না ডাকুন–পরপর বেশ কটি শব্দ ‘র’ দিয়ে শেষ হওয়া চোখে লাগবে। সেটা অভ্যাসের ব্যাপার, অভ্যাস, যা চালু ‘নান্দনিকতা’র বশবর্তী। অভ্যাসকে আমি মানবো ভাবলে, সে নিজেই মানব হয়ে ওঠে। সে এক ঝামেলা। বরং নন্দনকে একটি শুয়োর দাও, ঘাড়েগর্দানে। পুষ্যি করুক। একই বাক্যে ক্রিয়াপদের আধিক্য বাক্যটিকে প্রলম্বিত করে, গতি শ্লথ হয়, এও চোখে পড়া ভালো। কবিতা নিয়ে, তার খুঁটিনাটি নিয়ে চিন্তা করা স্বাস্থ্যকর—সরকারী জনস্বাস্থ্যনীতি এ ব্যাপারে সচেতন হোক]
১৫.
অন্তর্ঘাত না থাকলে বোতাম হয়ে ওঠা মানা
কেন না বোতাম নিয়ে অজস্র লেখা হয়ে গেছে
বন্ধ আর খোলা, এইমাত্র বাইনারির ভেতর কেউ
হয়ে উঠতে পারে নাকি! কাল বৃষ্টি হয়েছিল।
আজ উট জেগে উঠছে।
[হাড়ের ভেতর, হাড়েরই তৈরী এক গয়নাবাক্স, সারারাত বেজে গেছে। বোতামের জন্য, তার বৌ-ঝির জন্য কেউ গোপনে বানাচ্ছে অবিচ্ছেদ্য এক ঘর, আসবাব, হাতাখুন্তি, তামাদি দলিল]
১৬.
বাগান একটা থাকেই। বাড়ির হাতায়, জুতোর বাক্সে, ছেঁড়া মানুষের শিরদাঁড়ার দুপাশ দিয়ে জেগে ওঠা নকল আইভি।
শরীর যদি এক তার হয়ে ওঠে বেজে ওঠার নির্দেশ পেয়ে, সে মুড়তে মুড়তে তেকোণ হয়ে যায়৷ গলা মুচড়ে ওঠে আর মাথার জায়গায় কখন এক হুক নিজের অজান্তেই ওয়ার্ডরোবের রডে ঝুলিয়ে দেয় নিজেকে। সিল্ক লিনেন উল আর সুতির বাগান, মানুষের গন্ধে আনচান করছে…।
Posted in: July 2021 - Cover Story, POETRY