সব্যসাচী দেব-এর কবিতা
মিশরের ডায়েরি
চারপাশে ছড়ানো স্থাপত্য, যার শিরায় শিরায়
থেকে যায় কালের নিষ্ঠুর স্পর্শ, তবু বহমান
স্মৃতি বুকে নিয়ে জাগে শিল্প ধ্বংসস্তূপের পাশে
স্থপতিরা কোথায় হারিয়ে গেছে, কালস্রোতে ম্লান
হয়নি তো কীর্তিরাশি, কাকে বলে অমরত্ব তবে?
তুতেনখামেন শুধু নাম এক, মূর্তিও বিশাল
বিরাটত্ব দেখে লোকে, ভুলে যায় কার নাম কী যে
মন্দিরপ্রাঙ্গণে তবু ভিড় জমে, প্রাজ্ঞ মহাকাল
নির্মম দুহাতে মুছে ফেলতে চায় কীর্তিনাশা সেজে
ভাস্কর্যের অনুপম লীলা থেকে সরে এসে এক
মুহূর্তের জন্য চোখ ঘুরে যায় একটু দূরের
ধ্বংসস্তূপের দিকে। অমসৃণ ছড়ানো পাথর
রুক্ষ, তার মাঝঝানে জেগে থাকে একা ও নিঃসঙ্গ
একটি খেজুর গাছ, ফলবান। ধ্বংসস্তূপে হাওয়া…
তোমাকে কী দেয় মৃত্যু
তোমাকে কী দেয় মৃত্যু? স্তব্ধতার ভাষা!
কলকাতার রুক্ষ পথে ধুলোর চাদর
বৃষ্টির অপেক্ষা করি, সে বৃষ্টিতে কিছু
কান্না মিশে যায় যদি, হাতের ভিতরে
হাত টেনে বলে দেবে নীরব ভাষাও
কতখানি কথা বলে! সেও কি কবিতা!
সন্ধ্যার দিগন্তে ছায়া, গোধূলি-আলোয়
সিঁড়ির মুখেই তুমি মেলালে সিল্যুটে।
তবু জানি তুমি আছো। যত নীরবতা
আজ সব গান হয়, কথা বলে ওঠে;
সে কথায় ডুব দিই। স্মৃতি নয়, আজ
অন্ধকার ঘরে খুব একলা হয়ে আছি
অপেক্ষায়, রিংটোন বেজে উঠবে ঠিক
ভারি গলা, ‘শঙ্খ বলছি’ বলে উঠবে কেউ…
Posted in: July 2021 - Cover Story, POETRY