রিমি দে-র কবিতা

ফল




জল  ও আলো খুলে  যাবার পর যা
যা পড়ে  রইল,তাকে অচেনা আঁচড় বলে ডাকি
এই নীলটুকুই এখন অদেখা  খেলার কাতর
যার কোন ফুল কিংবা ফুলে ওঠা নেই
কেঁপে উঠবার  পরও
নীলা ও  আলবিহীন সেসব  ত্রাসের
এই  ধোঁয়াময়  বোধটুকুই এখন নির্ভেজাল সংঘাত
যে অন্ধকারে সর্বস্ব আড়াল করা যায়
নিঃস্ব  হিমরামধনুও  যেন সংশয় তুলে ধরে


যা কিছু পাখি ও অবয়বহীন  প্রলয় এতকাল বহন
করে চলেছি,তার  কিছু   ক্ষয়ে যাওয়া  রক্তাক্ত
শক্তিতেও    মাঝে মাঝে এঁকে  ফেলি  
ঘনশ্রাবণ- মনোময়    সাপের আঘ্রা;ণ  
আর          সর্পিল   ধানগাছ….

এসো মাছ   এসো আতরের নাচ
গাছে গাছে             অন্ধকার ফলে ভরে উঠি
করতলে লেপে দেই  শূন্য;তার   অভিযান


বারবার নিজের এঁটোর  ভেতর নিজেকেই  হারাই হারাই


খেয়ে  ফেলি আধখাওয়া   অপার


আশা   আর    ডাশা  পেয়ারার গান!



ফুল




কে জানে কীভাবে জানাজানি হয়ে যায় কুহুডাক

বর্ষা যাপনের পর ভোররাতে মৃদু ঘুম
কোন ফাঁকে ঢুকে  যায় অক্ষরের পিঠে চেপে
ওই কালো গাছ অনেকটা  বিদ্যুরতের  মতোন
শুরু হয় লেখা       ঘাড়ের কাছে হৃদয়ের শ্বাস
কচিপাতা দুলে ওঠা  হাওয়ার আশ্রয়

তবে কি ধোঁয়াবেসে সে  ই  সেসকল রাত
কান  পেতে বসে থাকা কুয়াশার ধস  
সর্বনাশ মেখে রাখা নীরব শীতল
কল্পনার রঙ নিয়ে ঘরের ভেতর জলছবি খেলা

খাতারাও পাতাদের   ভাঁজ  খোলে তালে তাল
আমি  নির্ভারে ভাবনাবিহীন ঢেলে দেই সবুজ মর্মর

খাঁজে খাঁজে আঁধার কবিতা লেখা হয়
দেয়ালেরা  সেইসব কান্নার  হিমশাদা  কথা গেঁথে নেয়

Facebook Comments

1 thought on “রিমি দে-র কবিতা Leave a comment

Leave a Reply