প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর কবিতা
বেলাছোটর ক্যাকোফোনি
৯.
অভিমন্যু অবধি জানিল। অতঃপর শূন্য জলাশয়ে তরঙ্গ। হা হা আসিল স্বরে। আগুনে কি কেহ তৎপর ছিল! অমিল কেবল চিত্রনাট্যে। অভাগার কোলে দেবশিশু। কেহ কিছু জানিল না। কেবল একটি পাতা ত্যাগ করিল জীর্ণ অশ্বত্থকে। দেখিলাম, শান্ত অবসরে এক বৃদ্ধা গড়াইয়া যাইতেছে। রক্ত তাহাকে অনুসরণ করিতেছে। মৃদু বাতাস। কম আলো। ততোধিক কোলাহল। বিশেষণের কিছু বাহুল্য শব্দ সরিয়া বসিল। অন্ধকার। বিশেষণ নাই। লজ্জাবশত। আরো কেহ আসিতেছে। আমি কেবল একটি লেজ দেখিলাম। সম্ভবত পেঁপের ছিন্ন পাতা।
১০.
ছবিসব ছবিতেই। যৎকিঞ্চিত আলো। দ্বিধায় জানালা। আমিও। সে-ও। তথাপি জানালায়। আলোয়। অন্ধকারে। এইরূপ স্তন! আগ্রহ এইরূপ! ছবিতে তো নাই এত বিবিধ! শরীরে যে মৃত্যুর ঘ্রাণ, নাই তো ঐ তুলোয়, ওই ধূলায়! তবে কি ধূলা আপেক্ষিক মাত্র! এই যে খুলিল, এই যে আক্রান্ত, ইহা মজা মাত্র। জলের শব্দ। কলঘরে। ইহা কি অঙ্ক! তুমি এইখানে। অদ্যাবধি। তথাপি স্রোত। ভাসিয়া যাইতেছে। আমি? রক্ত! তুমিও?
১১.
ঐ রজ্জু আমার প্রস্তাব। বস্তুত স্বপ্নময়, বহু নীলের এক ইঙ্গিত। খেলিতে তো বহু ধ্বনি, তথাপি একখানি চ্যুত হলুদ বিকাল ডাকিয়া আনে। বজ্রপাতের অভ্যন্তরে শিষ দেয় ঐহিক এবং অলৌকিক। মুদ্রা কুড়াই আমি। খইয়ের উড়ানে পথ দেখি। বহু ধূলার ভিতরে তোমাকেই সন্ধান, যেহেতু ধ্বজা তোমার হাতেই লিখিয়াছিল অশেষ কৌতুক। আর এই তর্জনি।
Posted in: July 2021 - Cover Story, POETRY