পার্থসারথী লাহিড়ী-র কবিতা
বৃষ্টি বলল
সেরকম কোন সীমাবদ্ধই না –
“যে রাগিণী গেছে থেমে” …
“তারি ছায়া পড়েছে শ্রাবণগগনতলে॥”
গুড়োগুড়ো এপিস্টেলস আর কি, একক –
নিজস্য বহুত্ব বা অবাক বহুবচন …
.
কথাদের নৈসর্গিক পুং ও গর্ভকেশরচক্র,
শব্দ, দেখা-শোনা …
তাকে বেড়ে দেওয়াও একটা আর্ট –
সাদে কি দৃশ্য বদল হয়?
এমন করে ভাল বলো আমাকে –
তারপর আশ্চর্য
চিহ্ন বরাবর ঝরঝর ঝড় যখন …
যাবতীয় নিকেশগুলোকে জড়িয়ে থাকতে হয় ।
.
এভাবে না বললেও হত
হয়তো হতও না
অথচ –
বৃষ্টি –
লাগলে
ওইটুকু নিয়ে থাকা –
ভাল ।
.
বহুব্রীহি নিষেকসংযোজনী
সংযমী সমাজ –
গুছিয়ে যত্নে রাখা যাকে বলে।
এই খোঁজ নিখোঁজগুলো –
বরাবর ঝরাপাতা নেই নামে, নিয়মে
গুছানো ফ্লাওয়ার ভাস।
গায়ে মেখে রাখাও যায় …
.
শরীর একটা কন্টেনার বিশেষ, ভেসেলও তো –
জমিয়ে রাখা যায়।
জমা নিয়ে “তোল পাল তোল, চল ভাসি …”
ভেসে যাওয়াও যায়,
যা খুশি অত সোজা না –
ঠিক বেরিয়ে যাওয়ার আগে আগে –
এলে,
মনে।
আপাতত,
টুকটাক সময় নষ্ট করে আসি –
.
অনির্দিষ্ট কিছু হয়না, শেষমেশ রূপান্তর,
শেষ বলেও কিছু নেই, তারতার দিগন্ত …
মেঘ আছে –
অর্থগুলো টুকে টুকে …
অনিয়ম রকম সর্বস্য বহুরূপ …
আমার নিশীথরাতের বাদলধারা
এখন বাতাসে শুধুই পাটের গন্ধ –
যারা পুঁটীমাছ কেনে
তারা জানে
পুঁটীমাছের গায়েও লেগে থাকে এ সময় …
.
রাতবৃষ্টি –
ভোর থেকে উপযোগী রোদ্দুর।
লতিকা উথলে ওঠা স্তন মোছে
অথবা ফুঁ দিয়ে যন্ত্রণা গুঁজে দেয় চারামুখে।
.
লতিকার গা যেভাবে জাগ হয়
বিণ মানে বিশেষণ – ঠিক?
সেভাবে নিংড়ে আনে আভিধানিক সোনারংগি আঁশ …
.
এর পর পাল্লাপৈরান – আ গ্রাম্য জাগতিক যন্ত্র
লতিকা আর জুট কর্পরেশন, মাঝে কাঁটা,
মধ্যমণি শব্দের অর্থ কি মাঝের মানুষ?
“দোলে দোদুল নাই তুলনা তুলনা
দোলে দোদুল দোলে ঝুলনা” …
.
লতিকাসমগ্র থেকে চারা মেয়েটা রাস্তায় ঠ্যাং ছড়িয়ে টম্যাটো খাচ্ছে। .
তার শরীরেও পাটজাগের গন্ধ।
.
কচুর লতি আর পুঁটীমাছ, কলাপাতায় পাতুরি,
লতিগ্রস্ত কাদোবাড়ি –
আহা সুগন্ধি আকাশমুখি কাঁচালংকা !
বীজতলা থেকে কাদোগারা –
গ্রামীণ বিদ্যুৎ যোজনার ঠিক উল্টোদিকে, আলো আঁধার
টকটকে উবু হয়ে আছে উনুন,
গ্রামীণ ভাষায় একে ভেল্টে থাকা বলে …
গনগনে ক্লিওপেট্রা –
“আমার নিশীথ রাতের বাদল ধারা …”
চারাটি ঘুমোচ্ছে,
একটা চ্যাং মাছ হাপুস দিল মোনালিসায়
স্তন ছেঁকে ফেলে দিচ্ছে, পাট জাগের গন্ধ।
Posted in: July 2021 - Cover Story, POETRY