জয়শীলা গুহ বাগচী-র কবিতা
মহামারী ও অনন্ত ছাদজীবন
১১.
আজকাল ছিঁড়ে ছিঁড়ে উড়িয়ে দিই
শ্যাওলা জমা আকাশ
ঘন মেঘের শরীরে বুলিয়ে দিই দ্রাঘিমা পেনসিল
লালচে অন্ধকার ধীর পায়ে হেঁটে যায়
হেঁটে যায় গোলকধাঁধার অনন্ত মেঘ
যেখান থেকে সমবেত পিঁপড়েরা
শুকনো ডাল ভাতের গান বাঁধে
ভাসিয়ে দেয় স্নেহপ্রবণ দিগন্ত ফাটলে
আমি ছাদকে গায়ে জড়িয়ে ঝিমোই
গায়ের ফাঁকফোকর দিয়ে বয়ে যায়
যেসব ঝিরঝিরে রাত
তাদের গায়ে গলে যাওয়া চাঁদ ঢেলে দিই
উবু হয়ে বসে থাকি চাঁদ মাখা বিদ্যুতে…
ক্রমশ খুলে যাচ্ছে জলের ভার
ছাদময় দুলছে জ্বর মাখা বৃষ্টি ফুল
১২.
দলা দলা কালো মেঘে ছাদ ভরে আছে
এসময় ওদের গায়ে কিছু দানা পুঁতে দিই
কিছু পাখি ঝুলিয়ে রাখি
সাজিয়ে দিই বেড়ালের চোখ
ছাদের ভেতরে মহামারী অভাব অভিযোগ
আঁচড়ায় গজরায়
তবু বিষণ্ণ মানিপ্লান্টে বেঁধে দিই ডানা
ডানার গায়ে হিসেবের শিস
আর ছাদ জুড়ে শূন্য রঙের আলো
আমাদের সময়ে যেসব হতাশ, হেরে যাওয়া বৃষ্টি আছে
তাদের হাতে পাখিদের ফুসফুস আর
ত্রাণের খিচুড়িতে অল্প অল্প বিশ্বাসের শব্দ
রিমঝিম করে নেমে আসছে
এদিক ওদিক তখন
মনোহর বেজে উঠেছে…
জুলাইএর ময়ূর বাগানে ফোন এসেছে
ছাদ উপচানো বন্ধু বৃষ্টির
Related posts:
Posted in: July 2021 - Cover Story, POETRY