জুয়েল মাজহার-এর কবিতা

নাবালক সাবালক মেঘ

১.

বর্ষায় মেঘ এসেছিল দল বেঁধে
মধুমেহ রোগে
কাদায় পৃথিবী ভরে

অনেক যত্নে অনেক কষ্ট ক’রে
আকাশের কাঁথা শুকাতে-না-শুকাতেই
নাবালক মেঘ ভিজিয়েছে ফের
তীব্র হিসুর তোড়ে

সূর্যবুয়া রাগে গজগজ করে:

‘এতো এতো কাঁথা শুকাতে এখন
পারবো না আমি আর
মেঘের পোলারা বড়ো বেশি নচ্ছার’

সূর্যবুয়ার তুমুল বকুনি খেয়ে
হিসু-আহ্লাদী মেঘেরা পগারপার

২.

সাবালক মেঘ

শরতে আকাশে এসেছে নতুন মেঘ
শাদা পাঞ্জাবি, সফেদ কার্ডিগানে;

ছেঁড়া-ছেঁড়া খুশি, খেয়ালের বিন্যাসে
শুভ্র লাজুক নম্র রোমান্টিক

ওই উঁচু ওই ছড়ানো সুনীল মাঠে
শাদা কুয়াশার সাবালক খরগোশ
ছুটছে এবং উড়ছে রাত্রিদিন

সাবালক আর সাবালিকা যতো মেঘ
পেঁজা তুলো হ’য়ে
মধুমেহহীন, ভাসে;
—ওড়ে নির্ভার আকাশে নির্বিবাদে

মাথা নাড়ে কাশ বিস্ময়-নদীতীরে:
‘এমন মেঘেরা ভালো না হ’য়ে কী পারে!’

Facebook Comments

Leave a Reply