ধীমান চক্রবর্তী-র কবিতা

ব্যক্তিগত – ১৮২



দু’চারজন শৃঙ্গার, আলো জ্বেলে দেয় —
বাচ্চা বাচ্চা নদী ফুঁড়ে হয়তো নামবে এক
                                          গোল হ্যারিকেনে।
মাথায় রাত্রি নয়। অন্ধ মাছের হাত ধরে
জল,— উঠে এল মেয়েদের হষ্টেলে।
সে কি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চায়?
তোমার হাতে পৃথিবী, হাসপাতাল আর
আস্তিন খোলা ডেল্টা ভাইরাস উপত্যকা।
কোনও অনুভব কিংবা চিন্তা, ধরা নেই
                                          মেঘলা আঙুলে।
একমুঠো ওজনের নরম ছাই দিলে।
মেট্রো-লাইন ধরে হেঁটে চলা অবলোকিতেশ্বর
দিলে। আজ নিজেকে রং করতে করতে
আরশিশৃঙ্খলে, — ক্রমশ অর্ধেক হয়ে উঠি ।



ব্যক্তিগত – ১৮৩



মাথা ঝাঁকানো লুডোদের ভুলগুলো। —
আস্তে ধীরে সংশোধন করে দেয়
                                  মুখোশ পরা রামধনু।
তাঁতঘর খোলা সিলেবাস, লাল তিল।
জেনে নেয় হারিয়ে যাওয়া মূর্ধন্য। তারা
ভ্যাকসিন খেলতে খেলতে জানাচেনা হেড
দিদিমণি হয়। জিভের তলায়
টুকে রাখলে নখরঞ্জনী, ঈষৎ শুভরাত্রি।
রাখলে বর্ষা শুরুর এক নল – দময়ন্তী।
পুবের খোলা চেরাপুঞ্জি পেরিয়ে ঝুমকা গিরা
                                                আঁচল উড়ছে।
চিতাকাঠের সাথে দু’ চারজন রাতও উড়ছে।

ওই রাত ভাগ করে খাই আগুনের সাথে।

Facebook Comments

Leave a Reply