অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা
টিল ডেথ
অসুখের মাথায় ঘা হয়ে গেলে
তাকে কোলাহল থেকে বিচ্ছিন্ন করে এবং সেই ভাঙা বেহালার সাথে সাথে সমস্ত রকম নিয়ম বিধি মেনে নিজেকে নিলাম করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যাওয়া ঠিক কতটা দরকার তা যদি অসুখ একটু বলে দিতে পারতো তাহলে সেই ঈশ্বর আবার নতুন করে কিছু বলে ফেললে ভাল কি মন্দ হতো জানি না
তবে এটুকু বুঝতে পারি বাবা মাকে একসাথে ঝড়ের আগে বা পরে যাই বলি না কেন বিকেলের ফেরিঘাট শেষ হুইসিল বাজালেই আমরা যারা আবার পাটাতনে পাটুকু ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে থাকি তাদের নরম ত্বকে তখনো দগদগে ঘা ফুটে থাকে চর্মরোগের ইতিহাস রচনার
উদাস মনে রাখার দিন আর শুভেচ্ছা বিনিময়ের ধাপ গুলি পেরিয়ে যেতে যেতে ভাবি কোথায় কতদূর কোনখানে কার বুকের ওপর এখনো এই শেষবেলার স্মারক খুঁজে যাচ্ছে অচেনা মানুষ এক বছরের পর বছর
হুইসেলের হুমকিতে শহর ক্রমশ নজরে আসছে। আমাদের ঘা থেকে অসুখ ছিটকে যাচ্ছে তার হিসেব মেলাতে।চামড়া য় ভেসে উঠছে প্রতিবিম্বিত সেই মানুষটার আরেকটা অমানুষ।
আঙুলে তখন নখের বংশ বিস্তার। ছোপছোপ আধমরা দীপশিখা। চুঁইয়ে নামা মলমের মঙ্গলকাব্য থেকে আপাতত এইপারের ফেরিঘাট আর ফেরিওয়ালাদের সন্ধ্যা আমদানি।
মলম লাগাতে লাগাতে ধরেও ধরতে পারছি না হাত। শুধু সামান্য যে অংশটুকু অধিগ্রহণ তাকে আবার কোলাহলে চালান করে দিতেই নিরাময়ের বিজ্ঞাপন চিত্র।
আমি হাঁটতে হাঁটতে আর চুলকাতে চুলকাতে নিজেকে দোষী সাবস্ত করছি
শহরের শেষ প্রান্তের জন্য।
নতুন কোন রোগের হুইসিল শোনার জন্য।যার কৃতজ্ঞতায় অন্তত একবার মরে যেতে পারি আমার আমিকে অস্বীকার করে। তুমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডুবতে ডুবতে স্বাক্ষর ভিজিয়ে ফেলে।
একপশলা মেঘ হয়ে গেল
রিখটার থেকে ল্যান্ডিং পর্যন্ত সমস্তটাই আমি মিথ্যে বলেছি। কোথাও কুসুম ডাকছে আর কোথাও কুসুম ঝড়ে যাচ্ছে মাটিদের কেঁপে ওঠাকে আশ্রয় করে। যদিও এইসব ধুয়ে ফেলতে চাই আমাদের
বাবুসাবান দিয়ে
বাবুপাড়া দিয়ে কিম্বা এমনো যদি হোত
বিজয় একটা মানুষের নামে দাড়ি কামাতে কামাতে নজরে পড়লো খুরেও আরেকটা বিজয় লেগে আছে শহরের আদ্দিকাল থেকে।
ল্যান্ড আরো একটা শরীরের নাম।যাকে কামানো যায় না।শুধু আতসের আসেপাশে ধরলে সামান্য কিছু রাস্তার হদিস পাওয়া যায়। নির্বাক পায়ের মার্কাগুলিও নিজের দলবল সমেত জুয়ার আড্ডা বসালেই চেনা কমল ল্যাভেন্ডার নিয়ে এসে পড়ে ঝগড়া সামলাতে।
একদা জিন্স আর টিশার্ট যার ফুরফুরে ছিল। ছিল মেদ মাখানো খালাসিরেখার নামের বাটোয়ারা।
তাস গুলো উলটে গেল। কিছু চোখ এবার মুখের আশ্রয় নেবে।
লাউ-এর চোচার সাথে মিশে যাওয়া নেশা নিয়ে বাসটা তখন চলে যাচ্ছে কপালের দিকে। শিশুরা শিখছে আমাদের পরিবেশ আর আলাদা আলাদা দুটো দরজায় সাজিয়ে রাখা সেভড সাওয়ারের অজস্র কামরা।
পাটি বিছিয়ে শুতে যাওয়ার আগে ক্ষীর। ক্ষীরের তকতির কথা
তুমি বলেছিলে
দেশভাগের বিদ্বেষের কথা
আর সদ্য বাস থেকে নামতে নামতে কি প্রবল জলজ প্রেম
আমিও মায়ের কথা বললাম
বাবার কথাও
কিছুটা দুধ মিশিয়ে
এখনো মাত্র ২৫টাকায় ভালবাসা আর খিদা মেটানো যায় ১০জনের।
তাকে সীমানার বাড়ি ভাবলে কোন ভুল হবে না
তাকে কমল ভাবলে আমরা সবাই আবার বিজয় ব্লেডের মত সাদা থেকে লাল হতে হতে
লিখে ফেলতে পারবো রাস্তার কথা
সংসারের কথা
এই অছিলায় টুকরো টুকরো খুলে রাখা চাঁদের কথা
Posted in: July 2021 - Cover Story, POETRY