অর্ণব সাহা-র কবিতা

আলাদিনের চিঠি




১.

রাক্ষস সমুদ্র ফুঁড়ে জনপদে উঠে এসেছেন।
তিনি সম্মানিত। আর মেঘেরা বরণডালা সাজিয়ে
                                     পথঘাট
সুগম করেছে। গোটা শহরেই নিষিদ্ধ কার্ফিউ
পথশিশুদের ডানা ছিঁড়ে নিয়ে তোলা হচ্ছে
                        এতিমখানায়!

মুখে-ভরা ক্ষতচিহ্ন। একজন ভয়ার্ত বালক
স্বপ্ন দ্যাখে রাক্ষসের মৃতদেহ ফুটপাতে থুবড়ে
                                  পড়ে আছে…



২.

চরসের দিনরাত্রি। ঢালু, নেমে আসা বাড়িঘর
ঝিমোয় সারাটাদিন পাঁচিলের নেশাচ্ছন্ন কাক!
কোন্‌ ফেরিওয়ালা হাঁকে—“শীতের লেপতোশক
                                     সস্তায় বানাব…”
বন্ধ সিনেমাহল ভেঙেচুরে ওঠে হাইরাইজ।
স্মৃতির নিউরোন থেকে অদৃশ্য ইলেকট্রিক নিয়ে
যে-কাহিনি লেখা হয়, তার কোনও পূর্বাপর নেই!

নিরালম্ব। কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছি। একা।
পলকা বাতাসের ঝোঁক ফিসফিসিয়ে গল্প বলে,
                         ষড়যন্ত্র বোনে
কাদের পায়ের ছাপ, কাটা জিভ, তাড়া করে ফেরে?

Facebook Comments

Leave a Reply