ভয়ের ধর্ম : শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

অনেক অনেক দিন আগে মানুষ যখন জঙ্গলে আর পাঁচটা প্রাণীর মতো বসবাস করত, তখনো তাঁরা ভয় পেত। তারপর মানুষ আবিষ্কার করল তাঁর শ্রেষ্ঠ কৌশল। ভাষা। তখন প্ল্যান করতে শিখলো। আলাদা হয়ে গেল অন্যদের চাইতে। তারপর মানুষ তাঁর ভাষা দিয়ে এমন অনেক কিছু বানিয়েছে যার অস্তিত্ব কেবল মনে। তাঁর সেই অসামান্য রচনাবলীর মধ্যে অন্যতম হলো বহু বিচিত্র ধরনের ভয়।

এমন নয় যে ভয় সৃষ্টির যৌক্তিক প্রকল্পগুলির বিরোধিতা হয় নি। কিন্তু মানুষের মস্তিষ্ক স্বভাবতই আলস্যপ্রিয়। শারীরিক পরিশ্রমে সে যতটা আগ্রহী, মানসিক পরিশ্রমী নয়। স্পষ্ট সত্যের বদলে মনোহর মিথ্যা কাহিনী শুনতে খুব ভালোবাসে। এ কারণেই সব ধরনের ধর্মে নরকের বিবরণটা ভয়াবহ। সেটা না হলে মানুষ নরকের ভয় পাবেনা। নরকের ভয় না থাকলে স্বর্গ প্রতিষ্ঠিত করা মুশকিল।

ফলে মানুষ একটা বিচিত্র সিস্টেমে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। পাপ করার পর মানুষ নরকের ভয়ে স্বর্গকে পয়সা দেয়। মানুষের কোন অলৌকিক ক্ষমতা নেই। পাপ সে করতেই পারে। অন্তরে পাপবোধের উদয় হবেই, কারন মানুষ নিজেকে মিথ্যা বলতে পারে না। এই অবস্থায় মানুষ নিজেকে সংশোধন করে জ্ঞান লাভ করতেই পারে। প্রতিটি মহাপুরুষ নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। কিন্তু সিস্টেমের কারণে যেটা দাঁড়ালো তা হল এই যে, পাপের ক্ষতিপূরণ সম্ভব। ক্ষতিপূরণ দিয়ে নরকের দ্বার এড়িয়ে যাবার উপায় মানুষকে অনুতপ্ত হতে সাহায্য করেনি। পুরোহিতরা বরাবরই বলেছেন যে, ভগবানের কাছে সব পাপ ধুয়ে যায়। এর ফলে ক্ষমতাবান মানুষ পাপ করার আগে বিশেষ দুশ্চিন্তা করতেন না।

প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম সহজ ব্যাপারটা জটিল করে দিয়েছিল। ধর্মীয় চেতনা এবং ধর্মীয় ব্যবসা এক নয়। আধিপত্য বজায় রেখে ব্যবসা করাটা প্রেম দিয়ে হত না, তাই ভয় দেখিয়ে করতে হয়েছে। এর জন্য সৃষ্টি করতে হয়েছে অনেক অনেক ভয়। সেইসব ভয় মিলেমিশে, তালগোল পাকিয়ে, মিডিয়ার কল্যাণে এমনিতেই আমাদের মনে বিমুর্ত ভাইরাসের মত বংশবিস্তার করছিল। তবুও আমরা ভাবছিলাম যে, আমাদের খুব সাহস। বিপ্লব করব। যুদ্ধ করব।

তখনি করোনা এল। মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা অজস্র অবচেতন ভয়কে অ্যাক্টিভেট করে দিল সে। ভয় না পাওয়াটা আমাদের কাছে সাহসের লক্ষণ নয়। সাহসের পক্ষে যতই যুক্তি থাক, সেটা দেখাতে গিয়ে আপনি যদি এক ঘরে হয়ে যান, তবে আপনাকে ভয় পেয়েই সমাজকে স্বস্তি দিতেই হবে। এই অবস্থায় সংবাদ মাধ্যম তার ভাষা দিয়ে সুন্দর সুন্দর গল্প বানিয়ে আপনাকে আরো আরো ভয় পেতে সাহায্য করেছে। আপনি ভয় পড়েছেন, দেখেছেন এবং ভয় পেয়েছেন। তারপর আবার দেখেছেন। ভয় লাগে বলে কি ভূতের সিনেমা দেখেন না?

সাম্প্রতিক বেস্টসেলার “সেপিয়েন্স”-এর লেখিকা কোম্পানির উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে কেবল ভাষা দিয়ে নির্মিত একটি অস্তিত্ব, যার উপস্থিতি কেবল মনে, বাস্তবে নয় — কী ভাবে বিশ্বাস অর্জন করে নেয়। মনে করা যাক “জিও” একটি কোম্পানি। বাস্তবে জিও-র কর্মী আছেন, মালিক আছেন, সম্পত্তি আছে, আরো অনেক কিছু আছে কিন্তু “জিও” বলে কেউ নেই। যা কিছু আছে তা সবই “জিও”-এর, কিন্তু এমন কিছু নেই যাকে আপনি বলতে পারেন “জিও”। তার অস্তিত্ব কেবল চমৎকার ভাষায় লেখা একটি কাহিনীতে, যাকে আমরা বলি আইন। কাহিনীটাকে আমরা বিশ্বাস করি বলেই কোম্পানি টিকে থাকে।

অবশ্য বহুকাল আগে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী এক রাজাকে বলেছিলেন, সব কিছুই রথ-এর, কোনটাই রথ নয়। যদি সবকিছু ভগবানের থাকে, তবে ভগবান না থাকলেও চলবে।

ভয় মানে তো কিছু হারানোর ভয়। সেটা প্রাণ হতে পারে। হতে পারে সম্মান। প্রিয়জন ইত্যাদি। বহু ক্ষেত্রেই ভয়ের অস্তিত্ব আসলে কোম্পানির মত। বাস্তবে সেটা নেই। কিন্তু আমাদের অঢেল বিশ্বাস আছে। গোটা পৃথিবীতেই এই “ভয় কোম্পানি” পুরোহিত দ্বারা পরিচালিত হয়েছে শাসকদের আনুকূল্যে। তাঁরা শিখিয়ে দিয়েছেন এমন একটা বাক্য, যা আসলে প্রলাপ মাত্র। সেটা হলো “পরধর্মে উন্নতির চাইতে স্বধর্মে নিধন ভালো।” এটা আদৌ কোন কাজের কথা নয়।

এ কালের হিন্দুদের নতুন ভয় হল “হিন্দুত্ব বিপন্ন”। সাম্প্রতিককালে যে সব মুসলিম সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ছেন বা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করছেন, তাঁরাও আসলে একই ভয়ে আক্রান্ত। সেই “ভীত”দের দেখিয়েই হিন্দুর জন্য আমদানি করা হয়েছে নতুন ভয়টা। বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলা যায়, হিন্দুরা ভয়টা ভালোই খাচ্ছে। কেন খাচ্ছে? কারণ ভয়টাকে খুব মনোহর ভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

করোনাকে কেন্দ্র করে মানুষ যে ভয়গুলি পাচ্ছে তার পুরোটাই আক্রান্ত হয়ে মরে যাবার ভয় নয়। কেউ মরে যাবার চাইতেও বেশি ভয় পাচ্ছেন নার্সিংহোমের বিল নিয়ে। কারোর ভয় অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। অর্থনীতি নির্ভর যুগে লেনদেনের ছন্দ আচমকা স্তব্ধ হয়ে গেলে যে সংকট উপস্থিত হয়, আমরা তার মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমরাই সংকটের সাথে অভ্যস্ত হয়ে রাস্তা খুজবো, নাকি অপেক্ষা করবো কোন মিরাকল-এর? করোনা দূরীকরণ উপলক্ষে ঘন্টা বাজানো প্রমাণ করে দিয়েছে যে মিরাকেলের আশা আমাদের কাছে যুক্তিসম্মত।

ঘন্টা বাজানোটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমরা আসলে ধর্ম নির্দেশিত ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত হতে পারিনি। ঘন্টা বাজানো আমাদের কাছে কোন অস্বাভাবিক নির্দেশ নয়। এটাকে “অদ্ভুত” মনে করার কিছু নেই। মানব মস্তিষ্কের সেই আলস্য প্রিয়তাকে ডিস্টার্ব না করে ঘন্টা বাজানোর ব্যাপারটা বিশ্বাস করে নিলে আর চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া ধর্মগুরুরা প্রশ্ন করায় উৎসাহ দেয় না। তাঁরা বরং বলেন, নিজেকে প্রশ্ন করো। ফলে উত্থিত অজস্র প্রশ্ন মনের মধ্যে চেপে রেখে, দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে, উত্তর খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত এক মনের মত শত্রুর ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে স্বস্তি বোধ করেন।

ভারতবর্ষের মতো দেশে এই “মনের মত সহজ শত্রু” হলো ভিন্ন ধর্মের লোক।

কিছু কিছু ভয় বাঙালির আগে ছিল না। যেমন, কবিতা ছাপা না হওয়ার ভয়। চিত্রপরিচালকের চোখে খারাপ হয়ে যাওয়ার ভয়। বড় অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার ভয় ইত্যাদি। শিক্ষাব্যবস্থায় যে নাম্বার দেওয়া হয় তা জানার জন্য, কিন্তু জানা বিষয়টিকে বিশ্বাস করে কি না, তা যাচাই করার নিয়ম নেই। জ্ঞানের অপরিহার্য শর্ত হলো বিশ্বাস। ” বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান” — পড়া কঠিন নয়। অর্থ বোঝা সহজ। পড়ে বুঝে পরীক্ষার খাতায় লিখে নাম্বারও পাওয়া সোজা, কিন্তু বিশ্বাস করা কঠিন। বিশ্বাস না করেও নাম্বার পাওয়া যায়। এমন কি নিজের বিশ্বাস না করলেও স্বার্থের কারণে অন্যকে বিশ্বাস করার পরামর্শও দেওয়া যায়।

ধর্মব্যবসায়ীরা ঠিক এটাই করেছেন। তাঁরা ভগবান সম্পর্কে লিখেছেন, পড়েছেন, জেনেছেন, কিন্তু বিশ্বাস করেন নি। যদি করতেন তাহলে নিজের-নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করে বিদ্বেষ ও হিংসা ছড়াতেন না। কিন্তু এসব তাদের ছড়াতে হতোই। যুগ যুগ ধরে তাঁরা উপহার দিয়ে গিয়েছেন ভয়। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় যে, মানুষ আর ঈশ্বরের মাঝখানে যদি পুরোহিত শাস্ত্র মন্দির মসজিদ না থাকতো, মানুষের জীবন হতো আরো নির্ভীক।

কবিতা ছাপা না হওয়ার ভয় পাওয়াটাও এক ধরনের বিশ্বাসহীন জানার প্রতিফলন। প্রাচীন জার্মান প্রবাদে আছে, “শ্রেষ্ঠ রাজা জ্ঞানীর কাছে যায়, নিকৃষ্ট জ্ঞানী রাজার কাছে যায়।” কবি জানেন তাঁর দরকার নেই রাজার কাছে যাবার। কিন্তু কবি বিশ্বাস করতে পারছেন না। মানসিক দোদুল্যমানতা ভয়ের উৎকৃষ্ট ক্ষেত্র।

আধুনিক যুক্তিনির্ভর শিক্ষার প্রসারের পর রহস্য জানার যে পদ্ধতি চালু হয়েছে, সেখানে ঈশ্বরের কোন ভূমিকা নেই। এটা ইউরোপে আগে শুরু হয়েছিল। গোড়ায় বিরোধিতা করলেও খ্রিস্টান ধর্ম বাধ্য হয় ভয় দেখানো বন্ধ করতে। ইউরোপের শখের ভূতাত্ত্বিকরা যখন বুঝতে পারছিলেন যে পৃথিবীর বয়স কয়েক কোটি বছর, তখন অনেক দিন পর্যন্ত সেটা ভয়েই বলতে পারেননি। কারণ বাইবেলে বলা হয়েছে সৃষ্টির বয়স ছয় হাজার বছর। আমাদের দেশে যখন এই শিক্ষাব্যবস্থা এল, তখন দেশের রাজা ইংরেজ। ফলে এ দেশে আধুনিক শিক্ষা প্রসারের জন্য বেদ-কোরানের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন ছিল না। এই শিক্ষার কারণে এদেশে ধর্মীয় সিস্টেম একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলো। বিজ্ঞানের শাণিত যুক্তি, প্রমাণ তাদের বিপর্যস্ত করলো। দাঁড়াও মনে মনে ভাবলেন, আচ্ছা! আমরাও এর প্রতিশোধ নেব। যাকে তোমরা বিজ্ঞান বলছ সেটা ও ঈশ্বরের সৃষ্টি!

তবুও, ঈশ্বর যে নেই — এটা উনবিংশ শতকের মহাপুরুষদের মধ্যে অতি অল্প কয়েকজন ভাবতে পেরেছিলেন। ফলে একটা “ব্রাহ্মধর্ম” হল। ব্রাহ্মরা এমন এক নির্মাণ করলেন যার মাপকাঠিতে বাঙালির নিজের গান সাহিত্য-সংস্কৃতি — সব হয়ে গেল “অশ্লীল”। অর্ণব সাহা তাঁর উনিশ শতকে বাঙালির যৌনতা বিষয়ক গ্রন্থ দেখিয়েছেন যে, সাধারণ বাঙালির কাছে “অশ্লীল” শব্দটি এতোই নতুন ছিল যে অনেকেই তার মানেই বুঝতে পারতেন না।

আধুনিক বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে এখনো অশ্লীলতার ভয় মাথায় নিয়ে চলতে হয়। জীবনানন্দের কবিতার বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ আসলে এক না বলা ভয় থেকে উত্থিত। প্রথাবিরোধী চিন্তার প্রতিক্রিয়া থেকে ভয়কে চিহ্নিত করা খুব একটা কঠিন হয় না। আপনারা বুদ্ধদেবের চারটি আর্যসত্য-এর কথা শুনেছেন। এবার ভয় সম্পর্কে চারটি আর্যমিথ্যের কথা শুনুন।

১) ভয় থাকতে হবে।
২) ভয় থাকার জন্য ভয়ের কারণ থাকবে।
৩) ভয়ের সেই কারণ থেকে মুক্ত হবার পথও থাকবে।
৪) সেই পথ ঈশ্বরের পথ।

ঈশ্বরকে তো আপনি পাচ্ছেন না। আপনাকে তাঁর এজেন্টের কাছেই যেতে হবে।

আধুনিক শিক্ষা প্রবর্তনের পর ধীরে ধীরে সমাজের ওপর থেকে আধিপত্য হারিয়ে ফেলার দুঃখ দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি ভুলতে পারেনি। দেশের এই দুঃখ না ভোলা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তে প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় ব্যবস্থাই অনেক বেশি কাম্য। হাজার, দু-হাজার বছর আগে কোন ধর্মগুরু কী বলেছিলেন, সেটাকে তারা এই যুগেও একশ ভাগ উপযুক্ত বলে মনে করেন। পিছিয়ে থাকার এই অদম্য প্রবণতা যে যুক্তির সাহায্যে প্রতিষ্ঠা করা যাবে না সেটা তাঁরা ভালোই বোঝেন। তাই তৈরী করে নেন একটি মনোহর যুক্তিশৃংখল যার প্রধান আশ্রয় বাক্য প্রমাণিত নয়। আসলে সেই আশ্রয় বাক্যের বাস্তব অস্তিত্বই নেই। সেটা একটা কল্পিত ভয় মাত্র। কল্পিত কিন্তু কার্যকর।

“হিন্দু খতরে মে হ্যায়” —- হলো সেই প্রধান আশ্রয় বাক্য। অথবা মুসলিম। এতে বিশ্বাস করিয়ে টেনে নিয়ে আসা যায় অনেক অনেক সিদ্ধান্ত। কোম্পানির মতোই সেইসব সিদ্ধান্ত আসলে চমৎকার ভাষায় লেখা গল্প এবং তা অবিশ্বাস করতে ভয় পাই। ধর্মীয় চেতনা নিশ্চয়ই উচ্চমানের জিনিস, কিন্তু ধর্ম যখন প্রতিষ্ঠানের অন্তর্গত হয়, তখন তা হয়ে ওঠে ভয়ের মূলাধার।

ঈশ্বরের মূল ভয় হলো মানুষের অস্বীকৃতি। সাফল্যের জন্য ঈশ্বরকে একটাও ধন্যবাদ দিলেন না? বললেন না যে তোমার আশীর্বাদে এই সাফল্য? ওরে মানুষ তোর এত সাহস!!

ছাপোষা লোক: এমন একটা রোগ যাতে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৭%। এই রোগের ওষুধ বানানোর প্রচেষ্টা হলো না। একবারে সবাইকে দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন-ই বানিয়ে ফেলল!!??

বিশেষজ্ঞ: আপনি কি ডাক্তার?

ছাপোষা লোক: ডাক্তাররাই তো অনেকে এসব বলছেন!

বিশেষজ্ঞ: আপনার লজ্জা করেনা? এত এত লোক আক্রান্ত হচ্ছেন! এত এত লোক মারা যাচ্ছেন!

ছাপোষা লোক: (সামাজিক অপমানের ভয়ে) আচ্ছা আচ্ছা! ভ্যাকসিন দিন।

Facebook Comments

Leave a Reply