পৌষালী চক্রবর্তী-র কবিতা
ঋণ
প্রবাহসুখের থেকে দূরে গেছে জল
আগাছাকে জায়গা করে দিয়ে…
দাম,গুল্ম, জলঝাঁঝি
তার নীচে যে দেওয়াল
সে চায় রৌদ্রদিন,
শীতের পুরানো গলি
উঠে আসে ঋণভার চাষী এক
স্বচ্ছ দরোজা ঠেলে…
চোখে তার আগ্নেয়শিলা
কবেকার নির্জলা নদীদের মাঠে
শস্যবাসনা তার
দারুভূত কাঠামো হয়ে আছে।
তবু থেকে যেতে চায়
জলের ছোঁয়াচ মেখে
তাকে খুঁজে নেয় জন্মান্ধ কবিচোখ
পাঁচ হাজার বছরের ঘুম ঠেলে।
ভাসমানতার পাঠ
তোমাকে ভুলতে চেয়ে , দ্যাখো আজ সরোবরে
কলার মান্দাস হয়ে শিখি পাঠ ভাসমানতার
যে পথে এতটা আসি, মুঠো মুঠো খই ফুটে আছে
অনন্তলোকের দিকে কার যাত্রা হল শুরু?
কাগজফুলের শাখা আরেকটু নুয়ে আসে
শববাহী গাড়িটির ছাদে
আমাকে নিরক্ষর জানো, অপবাদ ফিরি করো
শহরতলী জুড়ে, আমাদের ছায়া পড়ে সমানুপাতিক হারে
দীর্ঘ সাঁতার শেষ , দ্যাখো কোনও চিহ্ন নেই জলে
নতমুখ হাওয়া বলে গেল কানে
কবি পেরোচ্ছে সরণি…
একটি নয়নপাতে
কতদিন তাকিয়ে থেকেছি আমি পাতার ফাঁক দিয়ে
অপার চৈত্র মাস ,
কবে যেন হেঁটে গেছি নীল ওই আলপথে
ফসলের শূন্য মাঠে ,
শুকতারা নিভে গেল তোমার ঠোঁটের কাছে
তোমাকে ভুলেছি আমি আত্মার ভিতর
একটি শালের ফুল ঝরে গেছে অন্ধতায়, একা…