মধুমিতা চক্রবর্তী-র কবিতা

১.


“আমি খুব ভালো আছি রে সোনাদাদা, চিন্তা করিস না এত, ঠাকুর আছেন…..”
একদল হায়নার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ফোনে বলেছিল মেয়েটা

বিশ্বাস এদিকে ভাজা ভাজা হচ্ছে রোজ কড়াইতে
ও ঘরে কথা চলছে পুত্রের দ্বিতীয় বিবাহ হবে
এবার আর ভুল হবে না, ভগবান মুখ তুলে চাইবেই

জিহ্বা যে অমোঘ অস্ত্র! তা দিয়েই
একটু একটু করে নিয়ে যেতে হবে খাদের ধারে
ঝাঁপ দেবে মেয়ে নিজেই


হাঁটুর উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছেন বিগ্রহ……..



২.


জোঁকগুলো ছেঁকে ধরে লোকাল ট্রেনে চতুর্দিকে সুযোগসন্ধানী হাত

কখনও গর্জে উঠি, কখনও উঠি না
সেসব স্পর্শ স্নান করে ধুয়ে নেব সাবানের সাথে
                                                                    জীবানুর মত

ট্রেন থেকে রাস্তায়
তেতো ঝাল কাঁচামিঠা দৃষ্টি
ঝাঁকে ঝাঁকে
অম্লবৃষ্টির মত ঝরে   
বাড়ি ফিরে কাঁকড়ের সাথে বাছতে দেবো কোনো নারীবাদীকে

যদি অন্ধকার
ঘন হয়ে আসে বাইকওয়ালা চারজন
                                                                                ধীরে ধীরে
শরীরে না দেয় আর
                                                যদি ধর্ষণটা হয়েই যায়

শরীরটা ছেড়ে ফেলে
মনটাকে পুঁতে দেব রাস্তার ধারে
বিজয়ীর ফেরার পথে আলপনা দেবে        ঋতুরক্তবিন্দু

রাত্রি যতই হোক
তবু বাড়ি আমি ফিরবই


Facebook Comments

Leave a Reply